(১)
আঁধারের মাঝে নিঃশব্দে লিখে রাখি সমস্ত বার্তা,
কোনো আকালিক সূর্যাস্তের পর নিমগ্ন পাঠে
হারিয়ে যাই লোকালয় ছেড়ে, পাথর উল্লাসে।
(২)
যে জলের আস্তরে ভাসে পালকের তাপ
বুকের নিরালায় বুনে পলির কাঁথা;
আজ সেই জলস্নানেই খোঁজে ফেরে শুদ্ধতা!
বাহারি মলাটে যখন বন্দি সকল দুপুরি পাপ
সন্ধ্যা না’হয় কেটে যাক পাথরের নিরবতায়,
পবিত্র আজ নাই’বা হলাম; দহন জলে গা পুড়িয়ে!
(৩)
আমিতো জানি জলের সূত্র,
অস্তাচলের পিঠে লিখে রেখে পরিণয়;
নিঃশর্তে উনুনমুখে মেলে দেই পালকের ভাঁজ!
(৪)
সময়ের ভারে
শব্দ বেচে কিনেছি
নূতন দিন।
(৫)
আমি তবুও সুখী সমুদ্র কিনারে,
সকাল বিকালে জল এসে আছড়ে পড়ে
মরা পাথরে খোদাই নামের বানানে!
(৬)
অধিক প্রাপ্তি তুলনার জন্ম দেয়, আর সেই তুলনার মাঝেই প্রপ্তিগুলো তার উপযোগিতা হারায়।
(৭)
ধূলোপথেই বেড়ে উঠা, পাঁপড়িতে নেই টুকটুকে লাল ধরা,
তবুও কখনো যদি দূরের বৃষ্টি হাত ছুঁয়ে দেয়
আমাকে কি তুলে নিবে চূঁড়োখোঁপায় গুঁজে দিতে?
(৮)
কখনো ইচ্ছে করে হেঁটে যাই জলের উপর,
কাঁদামাটি দিয়ে গড়ি নগদ সংসার; শুনেছি সেখানে-
ঝিনুক শরীরে লেগে থাকে সঙ্গমের বিষাক্ত দাগ!
(৯)
বুকে জড়িয়ে ছিল বেনামী অজস্র পাতাদল,
বসন্তের সিংহাসনে অতিথি পাখি সমগ্র,
বাতাসের নিরব মৈথুনে গলিয়ে বুক পাঁজর
আজ কেবল আঁকে শূন্যতার বিরাম চিহ্ন।
ছবির স্থানঃ পার্কির চর, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম এবং
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
loading...
loading...
বুকে জড়িয়ে ছিল বেনামী অজস্র পাতাদল,
বসন্তের সিংহাসনে অতিথি পাখি সমগ্র,
বাতাসের নিরব মৈথুনে গলিয়ে বুক পাঁজর
আজ কেবল আঁকে শূন্যতার বিরাম চিহ্ন
loading...
ধন্যবাদ ভাই। সদা সুন্দর থাকুন।
loading...
* কবি, অসাধারণ…
loading...
ধন্যবাদ কবি
loading...
“আমিতো জানি জলের সুত্র, অস্তাচলের পিঠে লিখে রেখে পরিণয়;
নিঃশর্তে উনুনমুখে মেলে দেই পালকের ভাঁজ।”
অনেক অনেক প্রিয় এবং পরিচিত কথন; ভালো থাকুন সবসময়।
loading...
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
loading...
ছবি আর লিখায় পোস্ট অসাধারণ সাজে সেজেছে। ভীষণ পছন্দ করলাম কবি।
loading...
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
loading...
অনেক সুন্দর ছবি ও লেখা
শুভ কামনা থাকলো।
loading...
ধন্যবাদ কবি।
loading...