ধ্রুব আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কয়েকটি শুভ্র তারা-
নীলিমার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে।
আমার কাছে মনে হয়েছিল আকাশটা অনেক ছোট,
যেখানে শুধু নীলেরা নীলিমা ছড়ায়।
সন্ধ্যায় যখন মা কেরোসিনের আলো জ্বালতো-
আকাশ তখন ওর বুকে জোনাকি জ্বেলে দিত।
ভাবতাম আকাশ বোধ হয় জোনাকির মা।
একদিন খুব অভিমান হয়েছিল-কার উপরে জানিনা
শুধু মনে পড়ে-
আকাশ তুমি ছোট কেন, তোমাকে এত সুন্দর দেখায়,
তোমার সন্তানেরা কি সুন্দর আলো দেয়, সে আলোয়-
মায়াবী অন্ধকার নেমে আসে, ঠিক আমার মায়ের মত।
আমি তোমার বিশালতাকে দেখতে চাই, তোমার ছাউনির
নিচে আমি সমগ্র ধরণীকে নিরাপদ দেখতে চাই।
কিন্তু আকাশ, তুমি এত ছোট কেন?
আমার খুব রাগ হতো আকাশটার উপরে, ওটা ছোট্ট বলে
একদিন মাকে জিজ্ঞেস করলাম-
মা আকাশ অত ছোট কেন, ও শুধু কয়টা তারা বুকে বড় করছে।
আমি সেদিন আবিষ্কার করলাম, আমি অনেক বোকা,
না আমার মা বলেনি যে আমি বোকা, আমার মায়ের হাসি বলেছিল।
মা বলেছিল-
তোর জানালা যে ছোট, তাই তোর দেখা আকাশটাও ছোট।
যা পাগল বাইরে যা,
আকাশ দেখতে হলে তো আকাশের নীচে যেতে হয়,
তখন দেখবি আকাশ কত বড়।
মায়ের কথায় সাঁঝের বেলায়-
দরজার চৌকাঠ পাড়ি দিলাম, মা হাত ধরে নিয়ে গেলো
আমি আর মা আর আকাশের বুকে তারা।
মা দেখো দেখো কাল কি ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশের বুকে
ওটা কাল মেঘ, আকাশে প্রায় কাল মেঘ জমে, মা বল্ল।
আমার মনটা ভারি হয়ে গেলো, আকাশের বুকে কাল আকাশ
মায়ে হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে মাকে বললাম মা-
আমি আরও বড় আকাশ দেখবো আরও বড় আকাশ, মেঘ মুক্ত আকাশ।
শরতের কোন সন্ধ্যায় মা আমাকে মস্তবড় আকাশ দেখালো।
যে আকাশে ছিল হাজারো তারা,
তারাগুলো ঢেকে দিয়েছিল মেঘামালাকে
এ যে, মায়ের আকাশ।
loading...
loading...
বেশ অনেকটা গোছানো এবং শুদ্ধ চেতনা এবং মনন বোধের একটি কবিতা।
বেশ লম্বা বিরতির পর আপনার লিখা পড়লাম। আশা করবো ভালো ছিলেন।
loading...
প্রকৃতপক্ষে আমি শব্দনীড়ের সাথে সব সময় থাকতে চাই। কিন্তু অফিসের কাজ ও বিশেষ কিছু পড়াশোনার কারণে হয়ে উঠেছে না। তবে আমি অবশ্যই শব্দনীড়ের সাথে থাকব।
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
loading...