একদিন, বাজারে বিক্রি হওয়া প্রমাণ সাইজের একটি আর্ট পেপার কিনেছিলো শিহাব। আর, নীল খাম কয়েকটা। কণাকে বিশাল এক চিঠি লিখতে বসেছিলো। বিয়ের পরে.. একেবারে প্রথমদিকে। এক মধ্যরাতে। শীতের দীর্ঘ রাত ছিলো।
হারিকেন কুপির রহস্যময় আলোয় নীল খামগুলি, ততোধিক রহস্যের অবগুণ্ঠনে ঢেকে ছিলো বলে মনে হচ্ছিলো শিহাবের। মশারির ভিতর থেকে অস্পষ্ট শিহাব। কালো অক্ষরের গুটি গুটি অনুভূতি দিয়ে লাইনের পর লাইন সাজিয়ে চলা, দেড় দশক আগের সেই শিহাবের অনুভব কেমন ছিলো?
– কি কথা ছিলো তখন তোমার মনে?
– এতো কথা কোথায় জমিয়ে রেখেছিলে যে, আস্ত একটা আর্ট পেপারই লিখে পূর্ণ করতে হয়েছিলো সেই আস্ত এক শীতের রাতে?
– কি কথা ছিলো তাহার সনে?
রুমের অন্য দুই বাসিন্দা- একজন প্রভাষক, অন্যজন সিনিয়র শিক্ষক, পালাক্রমে দু’জনই জেগে উঠে একই প্রশ্ন করেছিলেন দুই ভিন্ন সময়ে,
– স্যার! এখনো লিখছেন!
তাদের দিকে না তাকিয়ে ভাবনায় বুঁদ শিহাব উত্তর দিয়েছিলো,
– হ্যা। লেখছি।
হয়তো রহস্যময় হারিকেনের আলোয় তাদের ঘুম ভেঙ্গে যাছিলো।
ঐতিহাসিক সেই চিঠিটি, কানে কম শোনা দপ্তরীর লাল মোরগটির প্রথম চিৎকারে, প্রহর শুরুর সাথে সাথেই লেখা শেষ হয়েছিলো।
প্রিয় সেজ অনুজ সেই গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলো :D নিজেই কণার শহরের বাসায়, কনার কাছে ‘হ্যান্ডওভার’ করেছিলো চিঠিটা।
– এখন সারাক্ষণই কণা তোমার কাছে। কিন্তু বলার মতো কী কথা আছে এখন তোমার?
নিশ্চুপ শিহাব একা একা ভাবে,
– কথাগুলো কোথায় হারালো?
তাই তো!
কথাগুলো হারালো কোথায়?
.
#হারিকেনের_আলোয়_কয়েকটি_নীল_খাম_মামুনের_অণুগল্প
loading...
loading...
তাই তো!
কথাগুলো হারালো কোথায়?
loading...
বেশ অনেকদিন পর শিহাব !! কথা যেন হারিয়ে না যায় প্রিয় গল্প দা।
loading...
মুগ্ধ পাঠ আল মামুন খান ভাই।
loading...
সুন্দর অণুগল্প।
loading...
loading...
পড়লাম।
loading...