১.
আগে আমাকে আমার সব চেয়ে কাছের মানুষটি ভণ্ড বলতো। তখন ভণ্ড ছিলাম, তাই তা নিয়ে ভাবতামই না। এখন একটু একটু ভাবছি…
সিগ্রেটের প্যাকেটের গায়ে ‘ধূমপান ক্ষতিকারক’ বা ‘ধূমপান মৃত্যু ঘটায়’ লিখে বাজারজাতকরণের অনুমতি প্রদান। মৃত্যুর লাইসেন্স দেয়া একটা চরম ভণ্ডামি ছাড়া আর কি। তবে এই ভন্ডামির পিছনে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর প্রভাবকে সরকার কাটাতে পারে না বিধায় এটা করতে বাধ্য হয়।
দূরপাল্লার বাসে নাইটকোচের যাত্রী। নন-এসি কোচ। ঠান্ডা থাকায় সবাই জানালা বন্ধ করে রেখেছে। হঠাৎ সিগ্রেটের গন্ধে একজনের উঠে দাঁড়ানো, সরাসরি ড্রাইভারের সামনে হাজির। ড্রাইভারের সাথের ইঞ্জিন কাভারের উপর বসে সুপারভাইজার ও হেল্পার সিগ্রেটে দম দিচ্ছিলো। ড্রাইভারের হাতেও একটা দেখলাম। এ যেন পারিবারিক ধূমপানের মহাউৎসব!
সেই ভদ্র লোকটি বাসের ভিতর কেন ধূমপান করা হচ্ছে জানতে চাইলে ড্রাইভারের উত্তর, – নন-এসি বাসে ধূমপান করা যায়। আপনার সমস্যা হলে এসি বাসে চলাফেরা করেন। আর আমি ড্রাইভার, সিগ্রেট না খেলে গাড়ি চালাতে পারি না।
বাহ! কি কঠিন যুক্তি। সরকার পাবলিক প্লেসে ধূমপান করার বিরুদ্ধে আইন করেছে, জরিমানার ব্যবস্থাও নাকি আছে। কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে কোথায়? তবে জনগন অনেক সচেতন হওয়াতে আগের থেকে অনেক এই সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু বাসের ড্রাইভারের কথাটা কেমন যেন লাগলো। আইনের বাহিরে গিয়ে সে ধূমপান করবে, আর আমরা সামর্থ্যের বাহিরে গিয়ে গাঁটের পয়সা খরচ করে এসি কোচে চলাফেরা করবো?
২.
আমি পুরুষ।
তাই
হৃদয় শব্দটা এলেই আমার কাছে কোমল… নরম… অনেক মমতার আঁধার – এসবে মিলানো এক নারীর কথা মনে হয়।
কেন একজন পুরুষের কথা মনে হয় না? চোখের সামনে ভেসে উঠে না এক পুরুষ হৃদয়! তবে কি পুরুষের হৃদয়ই নাই? থাকলে নারী যে ছলনায় এক্সপার্ট সেটা জেনেও নিরন্তর ওদের পিছনে ছুটতে থাকেনা!
হৃদয়ের কাজই তো সত্যকে অনুধাবন করা।
হৃদয় থেকেও পুরুষ কি তবে জেনে শুনে মিথ্যাকে গ্রহন করে?
৩.
একদিন এক বন্ধু জানতে চাইলো,
– আমার বিরুদ্ধে তোর কি কি অভিযোগ, ইনবক্সে জানা।
কি জানাবো?
বন্ধু যখন মেনেই নিয়েছি, অভিযোগগুলোও কি বন্ধু হয়ে যায়নি?
৪.
অনেক কষ্টকর কাজ আমাকে করতে হয়। বিব্রতকর গুলোও। কারো রিজিকের সাথে জড়িতো কাজগুলো করতেই আমার বেশী খারাপ লাগে।
বাসার কাজের বুয়াকে বাদ দিতে হবে… আমাকে যেতে হয়
মেয়েদের টীচার বদলাতে হবে… সেখানে আমি কথা বলবো
বউ কাউকে টাকা ধার দিয়েছে… লজ্জিত মুখে আমাকেই চাইতে যেতে হয়.. ইত্যাদি ইত্যাদি।
যখন গোলাম ছিলাম, অফিসে পুলিশের দায়িত্বটাও ছিলো আমার। কাউকে Show cause Letter /Warning Letter / Termination Letter দিতে হবে, আমাকেই ইস্যু করতে হতো।
এমন অনেক কষ্টকর কাজগুলো অনেক ভালোবাসা বুকে নিয়েই করতে হয়েছে/হচ্ছে আমাকে।
৫.
এক বন্ধুকে খুব হাসি-খুশী দেখে ভাবতাম, সকল সুখ মনে হয় ওকে ঘিরেই। নিজের অসুখকে ওর সুখের সাথে তুলনা করে একটু জেলাসিও যে হত না তাও নয়।
একদিন ওর একটু ভিতরে… মনের ভিতরে তার অনুমতি নিয়েই গেলাম। সেখানে এক ঝলমলে বিকেল আবিষ্কার করতে গিয়ে নিজেই হারিয়ে গেলাম… মেঘের আড়ালে!
কালো মেঘ বিকেলটাকে ঢেকে রেখেছে!
আমার জেলাসিকে ঢেকে দিয়ে ওর জন্য এক মমতার পরশমাখা অনুভুতির জন্ম হয়েছিলো সেদিন। এক সকালে… দেখেছিলেম ভালবাসার অন্য আর এক রুপান্তর!
শরীর ছাপিয়ে এমন এক ভালোবাসা সেখানে মনের কালো সাপ নেই।
loading...
loading...
কবিতা গল্পের ভীড়ে সানন্দে পড়লাম আল মামুনের স্ট্যাটাস আর যুক্তি গুলোন।
loading...
অনেক ধন্যবাদ কবিদা' আপনাকে।
শুভেচ্ছা…

loading...
দারুণ উপস্থাপন গল্প দা।
loading...
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা প্রিয় রিয়া দিদি।
loading...
অসাধারণ সব স্ট্যাটাস মি. মামুন।
loading...
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার অনুভব আমার জন্য সবসময়েই প্রেরণাদায়ক।
শুভেচ্ছা…

loading...
* নিঃসন্দেহে সুন্দর ভালোলাগার মত বিষয় …
loading...
ধন্যবাদ প্রিয় দিলোয়ার হুসাইন ভাই।
শুভেচ্ছা…
loading...
বেশ বেশ – ভাল লাগল পড়ে আপনার এবেলার-ওবেলার গল্প
loading...
আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় অনিক।
শুভেচ্ছা
loading...