এক নারী তার কষ্ট গুলো শেয়ার করতে চাইলো শীতের কোনো এক মধ্যরাতে। যখন চারিধার নিশ্চুপ…নিঝুম নিমগ্ন সুখে! নৈশব্দের তীব্র একাকীত্ব মাঝে নিজের দেহের উষ্ণতা ধার দিতে চাইলো সে।
আমি দু’টার একটাও নিলাম না! শীতের রাতে যে নারীরা বোধের অবোধ্য অনুভবে উষ্ণতর সোপানে আরোহন করতে চায়, তাদের যন্ত্রণা আমাকে প্রলুব্ধ করে না। আমি উষ্ণতা এবং কষ্ট ধার নেই না তবে সমবন্টনে বিশ্বাসী। কষ্ট আমার ও অঢেল আছে। তবে কেন আরো বাড়ানো?
তারপরও সেই নারী প্রতিটি মধ্যরাতে নিজের কোমল অনুভবে প্রহরের পর প্রহর আমাকে প্রলুব্ধ করেই যায়…
শরীর দেহের খোঁজে অস্থির, মন অন্তরের। নারীর উষ্ণতা কি সুপেয় হ্রদের অনন্ত গভীরতায় তৃষিত দেহের আজনম মেঘবতী হবার অনুরণন? রক্তকণিকাদের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠে নতজানু অনুভবে প্রচন্ড গতিতে কোষে কোষে তড়িৎপ্রবাহ? জ্বালা ধরায়- জ্বালায়- নেভায় কিন্তু তৃপ্তি মিটায় না!
মধ্যরাতের নারীরা নিজেদের চোখের আগুনে নিজে ও জ্বলে.. পুরুষকে ও জ্বালায়! ভালোবাসাহীন দেহ কামনার উষ্ণতায় থেকে থেকে কেঁপে উঠে.. অন্যকে ও কাঁপায়!
________________________________________
একজন গল্পকার একই ধাঁচে লিখবেন,সেটাও ঠিক না। মাঝে-মধ্যে তাকে ‘কুশ্লীল’ (অশ্লীলের খালতো ভাই টাইপের) গল্পও লিখতে হবে। দেখা যাক, একজন ‘কুশ্লীল অণুগল্পকার’ হিসেবে কতটা দূরে যেতে পারি আমি।
মধ্যরাতের_নারী_অণুগল্প_৪১৮
loading...
loading...
শব্দ সাহিত্য কে আমি সম্মানের সাথে দেখি। স্বতন্ত্র ধারার লিখা হিসেবে লিখাটি অনন্য।
loading...
আপনার অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। ধন্যবাদ।
loading...
শুভেচ্ছা নিন সুপ্রিয় গল্পকার।
loading...
নিলাম প্রিয় দিদি।
আপনার জন্যও নিরন্তর শুভেচ্ছা রইলো…
loading...