এক_চিলতে_আকাশ
একটা প্রচন্ড মন খারাপ করা অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে নীলা বারান্দায় চলে এলো। বাইরের আকাশ আর নীল মহাশূন্য ওর মনের অসীম শুন্যতাকেই যেন তুলে ধরছে। বাসার সবার থেকে এই প্রকৃতিই ওর অনেক আপন। মনের গুমোট ভাবটা একটু একটু করে কেটে যাচ্ছে। একসময় কলেজের শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিল। সেই সুবাদে নিজেরও কিছু লেখা-লেখির হাত তৈরী হয়েছে। কিন্তু সময় এখন এতোটাই বিরূপ যে, কোনো কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না। ইচ্ছের উৎসটাই মরে গেছে।
ইকবালের কোন জিনিসটা নীলার খারাপ লাগতো? একটা সময় ছিল, ইকবাল নামটা শুনলেই পৃথিবীর সব ভাল লাগা ওর মনে এসে জড়ো হতো।
আর এখন?
আবার মনটা খারাপ হওয়া শুরু করেছে। আকাশের দিকে তাকিয়েও এখন আর মনকে খারাপ হওয়া থেকে ফিরাতে পারছে না। এই বারান্দাটা ওর নিজের। এই বাসাটা এমন একটা জেলখানা, যার ভিতরে একচিলতে মুক্তাঙ্গন- এক চিলতে আকাশ হল এই বারান্দাটা!
মন খারাপের এক বিকেল বুকের ভিতরে নিয়ে নীলা ওর জন্য নির্ধারিত জেলখানায় ফিরে আসে। নীচে ইকবালের প্রাইভেট কারের হর্ণ শুনতে পাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পরেই একটা ভালবাসাহীন ভাললাগার লেনদেন করতে হবে।
#এক_চিলতে_আকাশ_অণুগল্প_৩০৯
loading...
loading...
এ যেন জীবনের এক চিলতে আকাশ। পরিষ্কার কাঁচের পরে নিজের আদল।
loading...
দারুণ
loading...
”ভালবাসাহীন ভাললাগার লেনদেন”

লেনদেনে ভালোলাগারো কোন দরকার পরে না ,যেখানে শুধুই দুটো চোখ পন্য বিনিময় করে।
loading...