তবুও_একা_অণুগল্প
আইসক্রিম পার্লারের সামনে দিয়ে মাকে নিয়ে হেঁটে যায় কণা।
ভিতরে জোড়ায় জোড়ায় ছেলেমেয়ে বসে আছে। একজন অন্যজনকে আইসক্রিম খাইয়ে দিচ্ছে। একটু দূরে বসা এক জুটি একই আইসক্রিম দুজনে দু’পাশ থেকে কামড়ে খাচ্ছে দেখতে পেলো কণা কাঁচ ভেদ করে।
ওর শরীর কেন জানি শিরশির করে উঠলো!
ইদানিং এরকম আবেগঘণ দৃশ্য দেখলে কণার চব্বিশ বছরের শরীরটি কেন জানি কেঁপে উঠে। ভিতরে কোথায় যেন সুউচ্চ পাহাড়ের কান্না জমা শীতল জল গড়িয়ে পড়ার শব্দ শুনতে পায়। সেই শীতল জলে অবগাহনের প্রচন্ড এক ইচ্ছে জাগে মনে। আর ক্রমশঃ শরীর উষ্ণ হতে থাকে।
দোকানটি পার হতে হতে কনার মনে হয়, ওদের আকদের আগে এক সন্ধ্যায় সে আর রায়হান এই জায়গাটিতে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছিল। মা কে রিতার বাসায় যাবার কথা বলে সেদিন রায়হানের সাথে ছিল সে। ঐ দূরের ছেলেমেয়েটির মত একই আইসক্রিমে কামড় দিয়েছিল নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকে! এখন ভাবতেও কেমন লাগছে যেন।
নিজের ওপর কি ঘেন্না হচ্ছে ওর?
মায়ের পাশে হেঁটে যেতে যেতে এক যুবতী যার সদ্য বিয়ে হয়েছে, কিন্তু নিজের মানুষটির ধারে কাছেও সে যেতে পারছে না, হৃদয়ে প্রচন্ড এক ভালোলাগা কিছু অসমাপ্ত প্রশ্নকে সাথে নিয়ে থেকে থেকে ওকে প্রগলভ করে তুলছে। কিন্তু সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর কোথায় কিংবা যে দিতে পারবে, সেটি জেনেও সে কিছুই করতে পারছে না।
হাতে বরফের কোণ… হৃদয়ে আগুনের আঁচ। সদ্য নাক ফোড়ানো এক যুবতী লম্বা পেভমেন্ট ধরে অনেক মানুষের ভীড়ে তাঁর মায়ের পিছু পিছু হেঁটে চলে… অনুভূতিতে একেলা! এমন এক বিরানভূমিতে সে বিরাজ করে, যেখানে দূরে মরীচিকার মতো একটি প্রিয় মুখ তাকে ডাকে। কিন্তু সে যতই কাছে যায়, সেই মুখটি ততো দূরে সরে যেতে থেকে।
এতো কষ্ট কেন ভালোবাসায়?
#তবুও_একা_অণুগল্প_৩০৮
loading...
loading...
কষ্ট বুঝি ভালোবাসাতেই। এই ই জীবন।
ছোট পরিসরের অনূলিখন পড়তে ভালো লাগে মি. মামুন। শুভেচ্ছা জানবেন।
loading...