ফাৎনা জলের নিচে ডুবে যেতেই ছিপ সজোরে পেছন দিকে নিয়ে আসে রতন। অবশ্য এলাকায় সে নিজের পরিবারের তিন সদস্যের বাইরে সবার কাছে ‘রত্তন চোরা’ হিসেবে পরিচিত। নিজের বাপ-দাদার এক রত্তি এই ভিটে সংলগ্ন পচা ডোবায় মাছ ধরছে। টাকি মাছের শরীর বড়শিতে গাঁথা অবস্থায় রোদ লেগে ওর চোখে রুপালি ঝিলিক মারে। দুই হাঁটু’র ওপর থুতনি রেখে বসে থাকা ছোট ছেলের দিকে তাকায় সে। চোখে বিজয়োল্লাস। সেই উল্লাসের কিছুটা জ্যোতি ছেলের চোখেও লাগে। সে বসা থেকে ওঠে। কচু পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা পুরনো বদনার মুখ উন্মুক্ত করে বাপের হাত থেকে মাছটি নিয়ে ভিতরে রাখে। আবার বড়শি ফেলে রতন।
নিজের চারতলা বাড়ির দু’তলার ব্যালকনিতে বসে পেপার পড়ছিলেন অরুপ রতন চক্রবর্তী। সামনে টি-টেবিল। পিরিচে ঢাকা চা’র কাপের পাশেই এস্ট্রে। সেখানে পুড়তে থাকা বেনসন এন্ড হেজেজের জ্বলন্ত অগ্রভাগ দিয়ে নীলচে ধোঁয়া বের হচ্ছে। দুষ্টু বাতাসের কারসাজিতে ধোঁয়া এসে তার বাম চোখে লাগে। চোখ জ্বালা করে ওঠে। পেপার থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে বাম হাতে সিগ্রেট নিয়ে কষে পাফ করেন। ঠিক তখুনি ভেতরের রুম থেকে ল্যাণ্ড ফোন বেজে ওঠার আওয়াজ পান। ভ্রুযুগল কুঁচকে ওঠে। সিগ্রেট হাতেই ভেতরে চলে যান ফোন রিসিভ করতে।
পুলিশ স্টেশন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে সাব-ইন্সপেক্টর প্রবেশ করেন। ওসি সাহেব সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন। গরম বলে মুখে দিতে পারছেন না। সিঙ্গারাটি ভেঙ্গে ছড়িয়ে রেখেছেন। এক এক টুকরা ফু’ দিয়ে মুখে দিচ্ছেন। সাব-ইন্সপেক্টরকে দেখে জিজ্ঞাসু নেত্রে চাইলেন,
‘কিছু বলবে মোখলেস?’
– জি স্যার। গতকাল রাতে এলাকায় এক মারাত্বক চুরি হয়েছে। সবুজবাগের চৌধুরী পাড়ার আমিন চৌধুরীর বাড়ি। চোর একেবারে সাফ করে দিয়েছে।
‘ হুম.. কি কি নিয়েছে? সাফ বলতে তুমি কি বুঝাতে চাইছ?’
– স্যার, অভিযোগ এসেছে আলমিরার ভেতর থেকে সোনাদানা আর নগদ টাকা যা ছিল সব নিয়েছে। সব মিলিয়ে তা প্রায়..
‘ আরে রাখ মিয়া।‘ এস.আই মোখলেসকে কথা শেষ করতে না দিয়ে বলেন ওসি। গরম এক টুকরা শিঙ্গারা মুখে ফেলে কয়েক চাবান দিয়ে ক্যোঁৎ করে গিলে ফেলেন। ‘ চুরি হলেই সবাই সোনা-দানা আর নগদ টাকার কথাই বলে অথচ দেখ গিয়ে পুরনো কিছু লুঙ্গি-শাড়ি কাপড় কিংবা রান্না ঘর থেকে কিছু থালা-বাসন চুরি হয়েছে। মানুষ আজকাল সোনাদানা আর টাকা ব্যাংকের ভল্টে রাখে।‘
– স্যার, সমস্যা আছে এখানে।
‘মানে?’
-আমিন চৌধুরী এম.পি সাহেবের খুব কাছের লোক।
ওসি সাহেব তার প্রিয় এই এস.আই’র দিকে কয়েকমুহুর্ত তাকিয়ে থাকেন। শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
‘এই দেশে সবাই-ই কারো না কারো লোক। কেবল আমরা-ই কারো লোক না। আমরা পুলিশ।’
-জি স্যার।
‘ খোঁজ নাও তো রত্তন চোরা কোথায়? কাল রাতে কই ছিল সেটাও জানবে।‘
– আপনার কি মনে হয় স্যার, রত্তন কাজটা করেছে?
একটু থামেন ওসি সাহেব। কিছু একটা ভাবেন। শেষে বলেন,
‘করেছে কি করে নাই সেটা তো পরের ব্যাপার। ওকে ধরে নাকের ভেতর গরম পানি ঢাললে-ই আসল ব্যাপার বের হয়ে যাবে।‘
– ওকে স্যার।
এটেনশন হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় এস.আই। তার পেছন দিকে তাকিয়ে থেকে সিঙ্গারার আরো একটা অংশ মুখে পুরে দেন ওসি। কিন্তু না দেখে নেয়াতে বেশ বড় একটা অংশ মুখে চলে যায়। প্রচন্ড গরমে মুখ পুড়ে যায় তার। ভয়ংকর ক্রোধে মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায় ওনার। কিন্তু ক্রোধটা ঠিক কার ওপর বুঝতে না পারায় শেষে রত্তন চোরার ওপর গিয়ে রাগটা স্থির হয়।
টেলিফোন ক্রেডলে রেখে ঘুরে দাঁড়ান অরুপ রতন চক্রবর্তী। একজন শুল্ক কর্মকর্তা। দুর্ণীতির অভিযোগে কিছু দিন সাসপেন্ড ছিলেন। তার সাথে আরো কয়েকজন ছিলেন। শেষে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে ওনারা নিজেদের সাসপেনশন ‘উইথড্রো’ করতে পেরেছেন। সেই সুখবরই ওনাদের উকিল জানালেন এইমাত্র। মুখে বিজয়ীর হাসি নিয়ে ভেতরের রুমের দিকে এগুলেন তিনি। সহধর্মিনীকে না জানালেই নয়। তাড়াহুড়ায় হাতের সিগ্রেট ফ্লোরের দামী কার্পেটে পড়ে যায়। ওটাকে স্লিপার দিয়ে পিষে দামী কার্পেট নোংরা করে ফেলেন। কিন্তু সে জন্য একটুও বিরক্ত হন না। এমন দামী কার্পেট জোগাড় করা তার জন্য মুহুর্তের ব্যাপার।
অনেকগুলো টাকি মাছ পেয়েছে রতন। সে নিজেই কিছু ছাই নিয়ে কুটতে বসে গেছে। ওর দুই ছেলে বাপের পাশে বসে অবাক হয়ে দেখছে। ওদের মা ঠিকে-ঝি’র কাজ করে। সে আজ কাজে যায়নি। গত রাতে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রতন সারা রাত তার পাশে জেগে ছিল। সেও দাওয়ায় বসে রতনের মাছ কুটা দেখে। অসুস্থ চোখেও কেমন এক ম্লান আভায় সে পরম মমতায় তার এই ‘কথিত চোর স্বামীকে দেখতে থাকে। কাজের এক পর্যায়ে রতন বউকে বলে,
‘বেশী ঝাল দিয়া বউ, মাছের ভর্তা করিস। আর বাকিগুলান দিয়া সালুন রান্ধিস। মাহা মাহা ঝোল।‘
বউয়ের চোখে আনন্দের আলো চোখে পড়ে রতনের। আনন্দ আর দুঃখ- এরা বোধহয় হাত ধরাধরি করে থাকে মানুষের সাথে। ওদেরকে দেখা যায় এই চোখের আলোয়। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রতন ভাবনায় ডুবে যায়। লেখাপড়া শিখে নাই। তেমন কোনো কাজও জানে না। আর শরীরেও শক্তি বেশী নাই। কোনো ভারী কাজ করতে পারে না। তবে ওর বাপ যা রেখে গেছে, তাতেই ওর চলে যেত। কিন্তু সঙ্গ দোষে এলাকার মানুষের গাছের ফল, মুদি দোকান থেকে কলাটা কিংবা কেক-বিস্কিট এগুলো শ্রেফ আনন্দের জন্য চুরি করা শুরু করে। বন্ধুদের কাছে নিজের এই ‘চৌর্য্যবৃত্তির’ জন্য কেমন যেন গর্ব বোধ করতো সে। এভাবেই শুরু। বাবা মারা যাবার পর সে-ই আক্ষরিক অর্থে নিজের পরিবারের প্রধান হয়ে ওঠে। মা আর এক বোন। মাত্র তিনজনের এই সংসার। বোনের বিয়ে হয়। কিছুদিন পরে মা মারা যান। তবে মারা যাবার আগে এক মাত্র ছেলেকে বিয়ে দিয়ে যেতে পেরেছিলেন। এরপর মা মারা গেলে মুরব্বি বলতে রতনের আর কেউ রইল না। এরপর ওর স্বাধীন জীবন। এবার মানুষের ঘরের বাইরের জিনিসপত্র নেয়া শুরু করল। তবে কেবল মনের আনন্দে সে চুরি করে। এ এক বিকৃত আনন্দ। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের ফলে এসেছে এই বিকৃতি। প্রথম সন্তান হবার পর একদিন বউ ওকে এই চুরি-চামারি করতে নিষেধ করে। ছেলে বড় হলে সবাই তাকে চোরের ব্যাটা বলবে। এটা কি রতনের ভাল লাগবে? সেদিন বউকে কোনও কথা না দিলেও, এরপর থেকে আর কখনো রাতে চুরি করতে সে বের হয়নি। কিন্তু ইতোমধ্যে ‘চোরা’ নাম সে অর্জন করে ফেলেছে। যে কোনো চুরি হলেই সবাই রতনকে সন্দেহ করে। থানায় ও কয়েকবার যেতে হয়েছে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে হাল্কা মাইর দিয়েই ওকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এরকম কয়েকবার-ই হয়েছে ওর সাথে। তাই পুলিশের ‘ব্যাড-বুকে’ ওর নাম লেখা হয়ে গেছে।
ভাবনা সম্পুর্ণ করতে পারে না সে। এর আগেই এস.আই মোখলেসের নেতৃত্বে দু’জন কনস্টেবল ওর উঠানে এসে থামে। একটু অবাক হয় রতন। এস.আই সরাসরি ওকে জিজ্ঞেস করে সে গতকাল রাতে কোথায় ছিল। যা সত্য সে সেটা-ই বলে। কিন্তু ওরা তার কথা বিশ্বাস করে না। আসলে পুলিশেরা কেবল রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসে নাই। ওরা এসেছে ওকে থানায় নিয়ে যেতে। রতনের বউ এবং ছেলেরা যতই বলার চেষ্টা করল যে, গতরাতে রতন বাড়িতেই ছিল, ওরা সে কথা কানেই তুলল না। রতনের কোমরে দড়ি বেঁধে গাড়ি পর্যন্ত হাঁটিয়ে নিয়ে চলল। দুই ছেলে কেঁদে কেঁদে বাপের পিছনে.. অসুস্থ বউ এলাকার কাউন্সিলরের বাড়ির দিকে দ্রুত পদে হেঁটে চলে। রাস্তায় পরিচিত লোকজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে। একজন চোর আমাদের সমাজে উপভোগের উপকরণ ছাড়া অনেকের কাছে আর কিছু কি? কেউ কেউ তীর্যক মন্তব্য করে। একজন চোরের বউয়ের শরীরে সেগুলো কতটা জ্বালা ধরায়, সাধারণ মানুষ তার কতটুকু অনুভব করে?
কাউন্সিলর বাড়ির ভিতরে ছিলেন। রতনের বউয়ের ডাকে কিছু সময় পরে তিনি সামনে এলেন। সব শুনলেন। কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। তারপর নিজের অপারগতা সরাসরি জানালেন। একজন চোরের জন্য তার কিছু-ই করার নাই। রতনের বউ তার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে নীরবে ফিরে আসে। তবে তার মাথা নিচু হয় না। ফেরার পথে কাউন্সিলরের নতুন প্রাইভেট কারটি চোখে পড়ে। এক বছরের ভেতর টিনশেড সেমি-পাকা বাড়ি তিনতলা বিল্ডিং হয়েছে। বারো লাখ টাকা দামের গাড়ি চকচক করছে। বেশ উন্নতি হয়েছে। তো এমন একজন মানুষ কেন-ই বা একজন চোরের জন্য থানায় যাবে? নিজের চোখ পাথরে পরিণত হয় ‘চোরের বউয়ের’। তবে ধীর পায়ে ফিরে চলতে চলতে সে ভাবে, কাউন্সিলর নির্বাচনের সময়ে এই ‘চোরের’ কাছেও আসতে হয়েছিল মানুষটিকে। তখন বোধহয় ওর স্বামী চোর ছিল না। নিজের বাড়ির পথটি নজরে আসে। দূর থেকে দাওয়ায় বসা দুই ছেলের আবছা অবয়ব দেখে একজন ‘চোরের বউ’.. একজন প্রিয়তমা স্ত্রী.. একজন মমতাময়ী মা।
অরুপ রতন চক্রবর্তীর বাড়িতে বেশ আলোকসজ্জা। বাড়ির ভেতরে এবং বাউন্ডারি দেয়াল ঘেঁষে আরো কয়েকটা গাড়ি পার্ক করে আছে। ভেতরে আনন্দ চলছে। ছাদে সাউন্ড সিস্টেম থেকে দ্রুত লয়ের ইংরেজী গান ভেসে আসছে। এমন সময়ে ফ্ল্যাগ উড়িয়ে প্রটোকল সহ একজন মহামান্যের আগমন ঘটে। উপর থেকে কয়েকজন ভদ্রলোক নেমে আসেন। অরুপ রতন চক্রবর্তী তো আছেন-ই। অন্যদের ভেতর একজন পুলিশ সুপার, সহকারী কমিশনার অব পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার অব ফুড, আয়কর বিভাগের সহকারী কমিশনার, সরকারি কলেজের প্রভাষক সহ আরো অনেকে। এরা সবাই পরিচিতি এবং চাকুরির সুবাদে একত্রিত হয়েছেন। কয়েকজন অরুপ রতন চক্রবর্তীর ভার্সিটির সময়ের বন্ধু। সবাই মিলে ‘মিনিষ্টার’ সাহেবকে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দিয়ে ওপরে নিয়ে গেলেন। আলো এবং আলোয় ভরা চারিদিক। এর ভেতরে কিছু কালো হৃদয় নিজেদের অন্ধকার বিলাতে একত্রিত হলেন। আলোর কণ্ঠরোধ হওয়াতে ধীরে ধীরে ম্লান হতে হতে একসময় আঁধারে ডুবে যায়!
নিজের চেয়ারে বসে আছেন ওসি সাহেব। বাসায় যাবার ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারছেন না। একটু আগে স্থানীয় এম.পি’র পি.এস ফোন করেছে। চৌধুরী বাড়িতে হওয়া চুরির ব্যাপারটা নিয়ে এম.পি সাহেব বেশ উদ্বিগ্ন। কেসটা যেন ‘বিশেষ বিবেচনায়’ দ্রুত সমাধা করা হয়। এতটুকু-ই বলার ছিল তার। বেশ রাগ হল ওসি মাঈনুদ্দিনের নিজের উপর। কেমন এক বিবশ অসহায় অনুভব করছেন আজ। এস.আই মোখলেস নীরবে ভিতরে আসে। বেশ পরিশ্রান্ত দেখা যাচ্ছে তাকে।
‘কি? মুখ খুললো?’
– না স্যার। এত ভাবে চেষ্টা করার পরও মুখ খুলছে না। আমার মনে হয় এ জড়িত থাকলে এরকম ডলার পরও মুখ বুজে থাকত না।
‘হুম.. এখন কী অবস্থা ওর?’
– স্যার, রক্তবমি করছে। এই অবস্থায় আর কিছু করা ঠিক হবে না।
ওসি তার প্রিয় এস.আই’র দিকে নীরবে তাকিয়ে থাকেন। ভেতরে তার ভাঙ্গাচুরা চলতে থাকে। অনুভবের ভাঙাচুরা হৃদয় বিদীর্ণ করে চলে.. পোষাকধারী একজন মানুষের।
রত্তন চোরার বাড়িতে কোনো আলো জ্বলে না। ছেলেরা মাকে ঘিরে বারান্দায় বসা। বেশ ঝাল দিয়ে টাকি মাছের ভর্তা বানানো হয়েছে। আলু-বেগুন সহযোগে মাছের ঝোলও করা হয়েছে। সব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা আছে। ছেলেরা এবং ওদের মা, তাদের প্রিয় মানুষটির আসার অপেক্ষায়।
একটি এ্যাম্বুলেন্স তীব্র সাইরেন বাজিয়ে এগিয়ে চলেছে। প্রচন্ড জ্যাম রাস্তায়। এর ভেতর দিয়ে-ই যতটুকু যাওয়া যায়। তবে বাহনটির ড্রাইভার বেশ উদ্বিগ্ন। ভেতরে একজন মানুষ রয়েছে। খুব দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। পাশে বসা পুলিশটির দিকে তাকায় সে। বেশ নির্বিকার ভঙ্গিতে সে মোবাইল দিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে। ট্রাফিক বাড়ল কি কমল, তাতে তার কিচ্ছু যায় আসে না। ভেতরে তো রত্তন চোরা।
জ্যামের ভেতর কোন গাড়িতে যেন নচিকেতার গান বাজছে। এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার অলস বসে বসে শোনে…
…’সে দেশে, অর্থের কারচুপিতে সিদ্ধ যিনি অর্থমন্ত্রী
দেশের শত্রু মাঝে প্রধান যিনি প্রধানমন্ত্রী’…
★ছবিঃ নেট থেকে কপি করা।
loading...
loading...
খুব বাস্তব ধর্মী লিখা।
অভিনন্দন জানাই প্রিয় …
loading...
সাথে থাকার শুভেচ্ছা গ্রহন করুন, স্যার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
মামুন ভাই জিন্দাবাদ!
ডাইনে বায়ে পূবে পচ্চিমে যা হয় তাই জানি কেমনে লেইখা ফালায়!
loading...
লেখার সময়ে দশ দিকের কোনো দিকে তাকাই না, চোখ আর মন – এই দুই দিকে চেয়ে লেখি।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খালিদ ভাই।

অনেক ভালোবাসা।
loading...
আগন্তুক: ধারাবাহিক উপন্যাস কিনা ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলাম।
পড়ে দেখলাম কমপ্লিট গল্প। বেদনার্ত পরিবেশের হলেও ভালো আপনার প্লট বুনন।
ধন্যবাদ মি. মামুন। শুভেচ্ছা রইলো। শুভ সন্ধ্যা।
loading...
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার অনুভব লেখার প্রেরণা হলো।
ধারাবাহিকটির মাঝে মাঝে দু’একটা গল্প হলে টানা পড়ার একঘেয়েমি কাটবে।
ভালো থাকুন।

শুভেচ্ছা
ভালোবাসা।
loading...
সিরিজ প্রকাশনায় আবদ্ধ করলে লিখক যেমন দায়সারা হয়ে উঠেন আবার পাঠকও অবসাদে ভোগেন। মাঝে মাঝে লিখা পরিবেশনায় চমক আনতে হবে।
যেমনটি এনেছেন। ভেরি গুড এ্যাণ্ড গুড মর্নিং মি. মামুন।
loading...
সুন্দর এবং অসাধারণ বললেন ভাইয়া।
সহমত আপনার অনুভবের সাথে।
শুভ সকাল।
loading...
যখন আপনি চুরি হয়ে যাই— তখন আর চোর মনে হয় না নিজেকে। যেভাবে একজন দক্ষ চোর সেচ্ছায় ধরা দেয়। তার ছিলো অদ্ভুত রোগ! এরপর তাকে ফাঁসি দেয়া হলো— এবং মৃত্যুর পূর্বে তার কোন নাম জানা গেল না। এমন রহস্য উন্মোচনে কবি মাত্র একটি রাত অনুবাদ করলেন; যখন তারাগুলি নিঃশব্দে মিলিত হয়। এক, দুই, তিন… এরপর সব চোর চুপিচুপি গুহার ভেতর ঢুকে পড়ে; চুরি শেষে ফিরে আসে আবার। অথচ যে চোর নখের ভেতর সমগ্র পৃথিবীকে চুরি করে রেখেছিল— তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি।
শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা জানবেন মিতা। শুভ রাত্রি।
loading...
মন্তব্যটিকে শুধু অসাধারণ বললে ভুল বলা হবে। অতি-অসাধারণ বলি?
অনেক শুভেচ্ছা মিতা সাথে থাকার জন্য।

ভালোবাসা
শুভরাত্রি।
loading...
** মনোযোগী পাঠক হয়ে পড.লাম…..
loading...
অনেক ধন্যবাদ গল্পটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভ রাত্রি।
loading...