দ্রুত বেগে চলে যায় ট্রেন নানান গন্তব্যপথে,
যাত্রা বিরতিতে মানুষের কোলাহল-
প্রাণহীন বগি গুলো-
জীবন্ত সত্তার গল্প বয়ে বেড়ায়।
অভুক্ত কতক প্রাণের শক্তিহীন দেহ গুলো লুটিয়ে পড়ে,
স্টেশনের বেঞ্চি গুলোর ঠিক হাত দশেক দূরে-
বাহারি পদের খাবারের পসরা বসিয়েছে সর্বত্র,
লুটিয়ে পড়া দেহ গুলোর প্রবেশে বাঁধা।
সকিনা,জমিলাদের হাত গুলো স্থির নেই,
বড়ো বাবুদের যদি একটু দয়া হয়-
দুচারি খুচরো পয়সায় শিঙাড়া কেনা যাবে,
বৃদ্ধ মজিদ মিয়া পয়সা পায় না,অবহেলিত।
এক ঝাঁক কচি সোনাদের দুরন্তপনা-
নানান কথা নানান অঙ্গভঙ্গি,
কেউ কম যায় না কারো সাথে-
গল্প গুলো চলন্ত ট্রেনের মতো চলছে অবিরাম।
হাজারো স্বপ্নের কতক মানুষের চোখ যুগলে দেশ,
উদাস বালকের কবিসত্তা লাভ-
কিংবা নব প্রেমিক-প্রেমিকার খুনশুটি-
চায়ের দোকানের ছেলেটা চিৎকার করছে-
এই গরম চা,গরম চা!
গল্প থামে না-
সম্বলহীন করিম চাচার সব হারানোর গল্প,
কিংবা-
জমিরনের স্বামীর অত্যাচারের ইতিহাস।
মানুষের গল্প জমিয়ে রাখে প্রাণহীন স্টেশনটা,
নতুন ভোর হয়,
আবার গল্পের শুরু-
প্রেম,বিরহ,ব্যর্থতা কিংবা মানুষের,
স্টেশন চত্বরটা একটা পাণ্ডুলিপি-
বেরসিক কবি সত্তারে নানান গল্প শুনিয়ে বেড়ায়-
ঝক ঝক শব্দে আবার ট্রেনের আগমন-
আবার গল্পের শুরু-
অবিরাম বকবক চলছে-
গল্প চলছে!

স্টেশন চত্বরের গল্প, 5.0 out of 5 based on 1 rating