আমাদের জমানায় মুজিব ছিলেন না। যখন বড় হচ্ছি সানগ্লাস মেজরের রমরমা অবস্থা, চারদিকে প্রচুর খাল খনন কুমির আনা হচ্ছে। ঘোষক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে, প্রথম বাংলাদেশ শেষ বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু তিরোহিত; তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ তাঁকে খুঁজছে না।
খাল কাটা বিপ্লবীর করুণ অন্তের পরে বিশ্ব বেহায়ার আগমন, এসেই পূর্বমুখী সেজদা করা শুরু করে দিয়েছে। স্যাটেলাইট মেজর উল্টো পথে হাঁটার যে প্রথা শুরু করেছিল; লেজোহোমো সে পথে রকেট গতি লাগিয়ে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত হন না, তিনি ছিলেন বলে মনে হয় না।
বঙ্গবন্ধু ঘাতকের হাতে নিহতের সময় আমার বয়স পাঁচ, আওয়ামীলীগ পুনরায় ক্ষমতা আরোহণের সময় ২৬। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে আমরা বড় হয়েছি, বঙ্গবন্ধু ছাড়া বড় হয়েছি।
আমরা খালকাটার অনুসারী হতে পারতাম; অথবা বিশ্ব বেহায়ার, অনেকেই হয়েছে। বিষয়টা সহজ ছিল, রাবণের সহযাত্রী হওয়া সহজ কিন্তু সূর্যকে সবাই ধারণ করতে পারে না, পারে না বলে অন্ধকারের সহযাত্রী হয়।
কিন্তু আমরা সূর্যের অস্তিত্ব জানতাম, তাই কোন অন্ধকার আমাদের প্রভাবিত করতে পারেনি। কৃষ্ণ অন্ধকার কালে আমাদের বুকে বঙ্গবন্ধু সূর্য আলো দিয়েছিল। আমরা সেই আলোক ধারণ করেছি, করে আছি, থাকবো।
আমরা নিজেদের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে খুঁজেছিলাম, নিজেদের চিনবো বলে তাঁর ঠিক ঠিকানার প্রয়োজন ছিল। যখন তাঁকে পেয়ে গেলাম দেখলাম আমাদের আত্মায় তার ঠিকানা, তিনি ছেয়ে আছেন আমাদের মন-মগজ।
অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু চিনেছিলাম। তখন তিনি আকাশের তারা হয়ে ছিলেন, এখন তিনি সমগ্র আকাশ হয়ে আছেন।
loading...
loading...
অন্ধকারে বঙ্গবন্ধু চিনেছিলাম। তখন তিনি আকাশের তারা হয়ে ছিলেন,
এখন তিনি সমগ্র আকাশ হয়ে আছেন।
loading...