অনিমেষ পাল নৌকার মাস্তুলে পাল খাটাবার কাজ করে, তার কাজ এটুকুই। এর পর ছইয়ের ভিতর ঘুম। অনিমেষ যদি ঘুম জমাত; তাহলে ব্যাংকের কোন ভোল্টে জায়গা হত না। ইদানীং অনিমেষ ঘুমোতে পারছে না, ঘন্টার পর ঘন্টা অসল বসে থাকছে। দুই চোখ বুজে দেখেছে কিন্তু ঘুম আসছে না। সেই মধুর দৃশ্য বারবার ভেসে উঠছে।
রবিন পোদ্দার মাঝি; নৌকার বস কী কুক্ষণে গত সপ্তাহে তার বাড়ি যাওয়া হয়েছিল। এই যাওয়াই কাল হলো। রবিনের স্ত্রী মালতী নিচু হয়ে তার পাতে ভাত বেড়ে দিয়েছিল, মালতীর গোপন অঙ্গের কিছু অংশ সে দেখে ফেলেছিল।
এই দেখানো ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছায় এই দ্বন্দ্ব তার কাটছে না। তার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কোনভাবেই এই দৃশ্য তাড়াতে পারছে না। উনিশ বছরের অনিমেষ বড় কষ্টে আছে, কষ্ট কথা কাউকে বলতে পারছে না।
রবিন পোদ্দারের বাড়ি পুনরায় যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা কিন্তু সেটাও হয়ে উঠছে না।
অনিমেষ বাতাসের গতি বুঝে পাল খাটায় কিন্তু নারীর মনের গতি বোঝা তার সাধ্যের বাইরে।
loading...
loading...
সুন্দর লিখা।
loading...