জিতেনের হয়েছে বড় সমস্যা; রুমকি কে মুখ খুলে বলতে পারছে না। অথচ বললেই ল্যাঠা চুকে যেত।
জিতেন রুমকি কে নয় রুমিকে ভালোবাসে কিন্তু রুমকি জিতেন কে নিজের খরিদ করা মাল ভেবে বসে আছে। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করে।
রুমি জিতেনের চোখাচোখি কয়েকবার হয়েছে, রুমির চোখে প্রণয়ের আভাস আছে। এগোনো যে যাবে সে ব্যাপারে জিতেন নিশ্চিত।
এখন শুধু রুমকি বিপদ পার হওয়া। জিতেন আজ ঠিক করে এসেছে যে ভাবেই হোক সত্য কথা বলে যাবে। রুমকির শাষনে জিতেন অতিষ্ঠ, খোলাশা করা ছাড়া মুক্তি নেই।
রুমকির সাথে রুমিকেও দেখা যাচ্ছে। এদুটি প্রাণী একসাথে ছাড়া চলতে পারে না, এদের গাঁটছড়া জীবন একজনকে টান দিলে অন্যজনও এসে পড়ে। জিতেন ভাবে আজকে রুমির সামনেই রুমকিকে বলে দিতে হবে, ঝামেলা ঝেড়ে ফেলতে হবে।
পার্কের বেঞ্চে পাশাপাশি তিনটে প্রাণী বসা, এই মুহূর্তে যে আলাপ সম্পন্ন হয়েছে। জিতেনের পক্ষে তা হজম করা মুশকিল হচ্ছে। জিতেন রুমকিকে বলতে পেরেছিল, রুমকি যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। রুমকি বলল ‘অনেকদিন থেকেই তোমাকে এই কথা বলতে চেয়েছিলাম তোমার সাথে আমার মিল হবে না, আমি রুমিকে ভালোবাসি, আমরা একসাথে জীবন কাটানোর স্বপ্ন দেখি’।
জিতেন রুমির মুখের দিকে তাকালো, চোখের দিকে তাকাল সেখানে স্পষ্ট সমর্থনের ইঙ্গিত। অর্থাৎ রুমকির সাথে যৌথ জীবনে রুমির আপত্তি নেই।
জিতেন বিভ্রান্ত, তার মুখে কোন কথা সরলো না। সে কিছুক্ষণ কথা না বলে বসে থাকল তারপর উঠে ধীরে ধীরে চলে গেল। রুমকি রুমি হাত ধরাধরি করে বসে অনেকক্ষণ জিতেন এর চলে যাওয়া দেখল।
loading...
loading...
শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় কবি প্রিয় আবু মকসুদ ভাই।
loading...