কবরের পাশে শ্মশানের পোড়া
গন্ধ এসেছিল, গন্ধ শুঁকে কবর
বুঝে ফেলেছিল এ নির্ঘাত নিতাই।
শ্মশানের নিতাই আর কবরের
বজলু একে অপরের গন্ধ ভালই
জানে, তারা হরিহর আত্মা ছিল।
গঞ্জের ওইসব ঘরে টাকার বিনিময়ে
মালতিবালাকে ভাগে ভোগ করেছে;
অন্যদিন সায়রা খাতুনও খোশ
করেছিল বেশ। পালদের মেয়ে
বজলুর প্রেমে পড়েছিল, নিতাই
চিঠি বাহকের কাজে গাফলতি করেনি।
যদিও পালদের দেশ ত্যাগে মহৎ প্রেম
পূর্ণতা লাভ করতে পারেনি।
নিতাইয়ের কনে দেখায় বজলু অগ্রে
ছিল, তার পছন্দ নিতাইয়ের পছন্দ
কনেপক্ষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
নিতাইয়ের পত্নীর সাক্ষাৎ দাদার
চেয়ে বজলু দাদা প্রিয় ছিল, বজলু
বোনের মর্যাদা সব সময় অক্ষুন্ন রেখেছে।
হনুমানের কোলে কোরান নিতাই রাখেনি
এত অধঃপতন তার হয়নি, তবু এই
দোষে তাকেই যখন আক্রমণ করা হয়
বজলু সামনে দাঁড়ায়, চোখের সামনে
বোনের শ্লীলতাহানি সহ্য করতে পারে
কোন ভাই! মালাউনের প্রতি অতিরিক্ত
দরদের কারণে বজলু মারা যায়।
গতকাল তাকে দাফন করা হয়েছিল
আহত নিতাই যে আজ চিতায় চড়েছে
পোড়া গন্ধ তারই বার্তা ছড়াচ্ছে।
গত পরশু রাধাপদের দোকানে এক
কাপ চা ভাগে খেতে খেতে তারা
মালতিবালার পরিকল্পনা করছিল
আরেকবার গঞ্জে গেলে মন্দ হয় না!
loading...
loading...
জীবনের অসামান্য অনুভূতি শাব্দিক বিন্যাসে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
loading...