মন বৃক্ষের নিচে একদিন ভয়ানক কান্ড ঘটে গেল, এই কাণ্ডের রেশ দীর্ঘ দিন আমাদের তাড়া করেছে।
শীলা নামের যে মেয়েটা মৃদুল কে ভালোবাসতো এক ভোরে তাকে দেখা গেল মন গাছে ঝুলে আছে।
ধরাধরি করে তার লাশ যখন নামানো হলো, আমরা তাকাতে পারিনি, তার জিব্বা মুখ থেকে অনেকখানি বেরিয়ে আছে। তাকে বীভৎস দেখাচ্ছে, যে স্নিগ্ধ মুখ আমাদের উৎপীড়িত করত সে মুখের এমন বীভৎস রূপ আমরা সহ্য করতে পারিনি।
অথচ তাকে প্রেমিকা ভাবার কোন কারন নাই, সে বিশ পেরিয়েছে আমরা টিনএজ বয়সও ছুঁতে পারিনি। তবু তাকে প্রেমিকা ভাবতাম, তার আশেপাশে ভিড় করে থাকতাম। শীলা আমাদের প্রশ্রয় দিত, বোনের আদরে গালে চিমটি কাটতো। তার একটুখানি আদরে আমরা দিশেহারা হয়ে যেতাম।
মন গাছের পাশ দিয়ে যে সরু রাস্তা পাড়ায় ঢুকেছে সেই সরু রাস্তায় একদিন মৃদুল কে দেখা গেল বর বেশে বধু নিয়ে আসছে।
তার বধু শীলার মতই স্নিগ্ধ, অথচ তাকে আমরা ডাইনি ভাবতাম। সে ডাইনি ছিল না, আমাদের মন পাবার জন্য সে সর্বোচ্চ চেষ্টা করত। আমরা তাকে ঘৃণা করতাম বলতাম ‘ডাইনি তুই মর’।
একদিন তাকেও ডাইনির মত মন গাছে ঝুলতে দেখলাম, মৃদুল আরেক ডাইনিকে বিয়ে করে নিয়ে এলো।
loading...
loading...
এভাবেই আমাদের যাপিত জীবনের অনেক গল্পই আপনার হাতে উঠে আসে। বেশ।
loading...
শুভ্রতায় আপনার সাহিত্য জীবন চলুক।
loading...
চমৎকার লিখেছেন, আধুনিক সুন্দর কবিতা…
loading...