সমুদ্রের শয্যাপাশে
খোলা পিঠে ধাক্কা দিচ্ছে সূর্য
নিয়তি ঠোকরাচ্ছে-
দূরত্বে
গভীর নীল সমুদ্রের খাড়ি, বালুকণা
মৃতদেহের ওজনের
ভার বহনে অক্ষম।
জীবনের হাসি খেলায়
একটা কর্কশ কুক্কটী
ডেকে উঠে মৃত্যুর সাক্ষী হয়ে
শেষ মুহূর্ত অবলোকনের আশায় দৌড়াই
সামনেই তড়পায় আত্মা!
কালো প্রাচীরের আঁধারে
জেগে উঠবো ভেবে
মনে- মনঃসংযোগ করি
কিন্তু কেউ আটকে রাখে
তার চাপে হৃদয় আচ্ছন্ন হলে
ফুসফুসে অনুভব করি হাওয়া শূন্যতা
জল তেষ্টায় সাঁতরাই
খোলা আকাশের কাঙ্ক্ষা মনে জাগলে
ফুসফুস হাঁসফাঁসে ক্ষীণ হয়
অসহায় কিছু একটা আঁকড়াতে চাই
কোনও ব্রথেলের বেশ্যা যেমন
সঙ্গমের শেষে আঁকড়ায় নিজস্ব অস্তিত্ব
স্বপ্ন শেষে
আরক্ত চোখ খুলে দেখি
মাঠের ওপারে পড়ে আছে ভয়ঙ্কর দৃশ্যাবলী
ভুল হলে ক্ষমা করো-
এই বার বর্ণিত হবে কিছু অদেখা দৃশ্য
সমুদ্রের শয্যাপাশে এককালে ছিল কিছু
অশ্বথ বৃক্ষ, উঁচু টিলার মত জায়গায়
এখনো রয়েছে কবর
যে সমুদ্র একদা পা ধুইয়ে দিতো
সে ধীরে ধীরে সরে গেছে, সেই শোকেই
ক্ষয়িত হয়েছে অশ্বথের হৃদয়
অশ্বথ বৃক্ষের কবরে মানুষের আহাজারি
শুনতে শুনতে চোখ আর্দ্র হয়ে উঠলে
পাখিরা অভিশাপ দেয় নোনাজলের সমুদ্রকে
তখন কতিপয় সী-গল উড়ে এসে
অশ্বথ বৃক্ষের কবরে সাথে প্রাকৃতিক কর্ম
এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য আসলে জীবনেরই অংশ
পৃথ্বীর মাটিতে এমন গল্প খুঁজলেই
পাওয়া যাবে, বন বাদাড় উজাড় হওয়া
এখন আর বড় কিছু না
বন্যা, মহামারি, খরার কালের মত
আমরা এখন হরিদ্বর্ণ কালও ভুলতে বসেছি
আমিষের এই যুগে নিরামিষের স্মৃতি বেখাপ্পা মনে হয়
আর তাই
অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ব্যস্ত মনুষ্য সময়
আমাদের সকল পথ
যাচ্ছে অস্ত্রের দিকে
অসহায় আমরা
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
নিজেদের অধঃপতন!
loading...
loading...
'উঁচু টিলার মত জায়গায়
এখনো রয়েছে কবর
যে সমুদ্র একদা পা ধুইয়ে দিতো
সে ধীরে ধীরে সরে গেছে, সেই শোকেই।'
অসাধারণ লাগে আপনার কবিতা গুলো। তবে খুব অনিয়মিত পাই আপনার লেখা।
loading...
অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়লাম মনে হলো। দীর্ঘকাল শব্দনীড়ে থেকে বুঝতে পারি; কার কার লিখা মিস করেছি। আপনিও আছেন।
loading...
পুনঃস্বাগতম প্রিয় কবি আবু মকসুদ ভাই। আশা করবো আপনার লিখা নিয়মিত পাবো।
loading...
অসহায় আমরা
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি
নিজেদের অধঃপতন!
* শুভ কামনা নিরন্তর…

loading...