জরুরী প্রয়োজনে পেনসিল আর কাটার কিনতে হবে, স্টেশনারিজ আইটেমের পরিচিত দোকানে ঢুকেছি। কাউন্টারে দাঁড়ানো নতুন সেলসম্যান, এক মাস আগেও তাকে দেখি নাই।
নতুন সেলসম্যানের কাছে এক প্যাকেট পেনসিল আর কাটার চাইলাম, সে অতি দ্রুততার সাথে হাসিমুখে এক প্যাকেট স্টেনসিল পেপার এগিয়ে দিলো।
এমন অবস্থা দেখে তাকে ভেঙে ভেঙে বললাম, প্রথমে এক প্যাকেট পেনসিল দিন, তারপর পেনসিল কাটার, যাকে শার্পেনারও বলে, তা দিন।
সেলসম্যান হাসিমুখে বলল, প্রথমেই বুঝছিলাম আপনে পেন্সিল কাটার চাইছেন, তবু টেনসিল পেপার (স্টেনসিল তার কাছে টেনসিল) দিয়া শিওর হইলাম।
সেলসম্যানের স্মার্টনেসে মুগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনে আগে কোথায় জব করেছেন?
সে হাসিমুখে উত্তর দিলো ‘কেজিবি’তে ছিলাম। গত মাসে এখানে জয়েন করছি।’ সেলসম্যানের উত্তর শুনে যতটা বিস্মিত হলাম, জায়েদ খান হেলিকপ্টার চালিয়ে আমার মাথায় ল্যান্ড করলেও ততটা বিস্মিত হতাম না।
সেলসম্যানের বয়স পঁচিশ কি ছাব্বিশ বছর হবে। এদিকে পরাক্রমশালী রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি বন্ধ হয়ে এফএসবি চালু হয়েছে, সেও প্রায় তিন দশকের বেশী হয়ে এলো। অথচ মেঘমেঘ দুপুরে উপশহরের স্টেশনারিজ স্টোরে কেজিবি’র এক তরুণ স্টাফের মুখোমুখি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।
ঘোর কাটিয়ে জানতে চাইলাম, আপনি কেজিবি’তে ছিলেন? কিন্তু কেজিবি তো ত্রিশ বছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
দোকান কাঁপিয়ে হেসে উঠলো সেলসম্যান, হাসতে হাসতে বললো, ভাই, আমাদের কেজিবি মানে কিশোরগঞ্জ ব্রাঞ্চ চালুই তো হইছে চাইর বছর আগে, আপনে এইটা কি কইতাছুন!
না, আমার বলার কিছু ছিলো না।
loading...
loading...
যাপিত জীবনের অস্ফুট সব শব্দ প্রকাশে আপনি অতুলনীয়।
loading...