আখের
নেতাইগঞ্জে আইজ য্যান পুরা দ্যাশের মানোষ আইসে হামলে পইড়েছে। মাইনষের মাথা মাইনষে খায়। রাইস্তে জুইড়ে লাইনে লাইনে বাত্তি ঝকমক কইরছে। পোয়া মাইল বাদে বাদে গেইট বাইন্ধেছে- আলিপ লাইলার কিইস্যার বাদসায়ী দরজার লাহান।
দ্যাশের বেবাক পাপী-তাপী আর দুখি মানোষ, ভালা আর মন্দ মানোষ সব আইসেছে বাবার দরবারে। রাইত আরেকটু বাইড়লেই আখেরি মোনাজাইত কইরবে বাবা। বাবার মোনাজাইতে দিল ঢাইলে হাত তুইললে সবার মনের আশা পূরণ হইবে, কুনু সইন্দেহ নাই। অহনও মানোষ খালি আইতেই আছে, নজরানা নিয়া আইতেছে, আইতে আছে নাজরানা ছাড়া।
রাইত বারোটায় মোনাজাইত ধইরেই কাইন্দা কাইন্দা চেল্লায় উঠলেন জিন্দাপীর কয়লা বাবা- ‘ইয়ে সোনা ঝুটা হ্যায়.. লাখো কয়লা ভুখা হ্যায়.. মাওলা গো, ও দয়াল সাঁই, সবার মনস্কাম পূর্ণ কইরে দাও, আমারে দাও হজম কইরবার শক্তি… মাওলাআআআআআ গোওওওওও…।’ ওরশের শেষ দিনে বাবার লাখ লাখ ভক্ত আশেকান মোনাজাতে কাইন্দে জারে জার.., মাইঝ রাইতের নিশুতি খুন কইরে নেতাইগঞ্জের আসমান জমিন কাইপে কাইপে ওঠে তাগো ‘ইয়া বাবা.. ইয়া বাবা..’ ধ্বনিতে।
loading...
loading...
সিরিয়াসলি অসাধারণ।
loading...
আপনার লেখা পড়ে বেদম আনন্দ পেয়েছি।
loading...
অণুগল্প নিয়ে আমি বেশি পেচাল পাড়ি; তাই বউ আমার ওপর খুব ক্ষ্যাপা। প্রথমত গল্প; দ্বিতীয়ত সেটা অণুগল্প যদি তা ভেঙ্গে আর ছোট করা না যায়। সেখানে লিখে রাখা কথার চেয়ে না লিখা কথায় পাঠক বেশি কিছু পড়বে এবং গল্পের শেষে এসে থমকে গিয়ে কিছু ভাববে। সেই ভাবনাটা মনের মধ্যে দীর্ঘ সময় লেগে থাকবে! তাইলেই তো সেটা ভালো অণুগল্প।
এরপর আসে গল্পের আধুনিকতা। জীবনের কথা নিয়ে গল্পই আধুনিক গল্প। গান/কবিতা দিয়ে ভূমিকা, মধ্যখানে গান কবিতা, শেষে একটা উপসংহার- আধুনিক গল্প এগুলোকে অনুমোদন দেয়না। আগে দিতো।
এতো কথা কেন বললাম? এই গল্পটা পড়ে এর অসাধারণত্বে মুগ্ধ হয়ে! একটু বাচাল হলাম সম্ভবত; যা ক্ষমার্হ!
এর “বহুস্বর” এবং আধুনিকতায় আমি যারপর নাই অভিভূত; যা একটা অণুগল্পের প্রাণ!
সব মিলিয়েই অসাধারণ!
loading...
* বেশ ভালো লেগেছে অনুগল্প…
loading...
সিমপ্লি নাইস!!!
loading...