সোহাগবিদ্যা
: চেরমেন, ছোট বৌ’র জ্বালাতো আর সহ্যি হয় না!
: কচ্ছো কি মেম্বর! ছোট বৌ আবার কি করিলো!
: দজ্জাল মেয়েছেলে। কথায় কথায় সন্দেহ করে। বটি দিয়ে কোপাতে আসে, ভাবিতে পারো!
: মেম্বর, যত দজ্জালই হোক, সোহাগ করিতে জানিলে বৌ চ্যাতে না। সোহাগ দিয়া বৌকে বশ কইরে রাখো।
: সোহাগ করি বইলেইতো বড় বৌ মরিবার ১৫ বছর পরে শাদি কইরলাম। ছাওয়াল-পাওয়ালগো আপিত্তি অগ্রাহ্যি করি তিন বিঘা জমি ছোট বৌর নামে রেজিস্টি দিলাম।
: ধুর মেম্বর, আমি সেই সোহাগের কথা কচ্ছি না। আমি ঐ সোহাগের কথা কচ্ছি। বুঝিছো?
: বুঝিছি, কিন্তু বুঝি আর কি হবি?
: তুমি রফিক কবেরেজের থাকি এক ফাইল সোহাগের কেপসুল কিনি খাও। এই বুড়াকালে কে যে তোমারে সতেরো বছরের কচি মেয়ে শাদী কইর্তে কয়েছিলো!
চেয়ারম্যানের উপদেশ আর রফিক কবিরাজের ক্যাপসুলের উপর ভর করে মেম্বর সোহাগবিশারদ হয়ে উঠেছিলেন। দজ্জাল ছোট বৌকে বশ করেছিলেন। রসেবশে প্রেমেকামে বেশ ছিলেন। কিন্তু পাচ মাসের অন্তসত্বা ছোট বৌ এক বর্ষণমুখর রাতে মেম্বরকে কুপিয়ে খুন করে। কাছাড়ি ঘরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করার আগে পর্যন্ত মেম্বর বুঝতে পারছিলেন না জবরদোস্তি করে সোহাগবিদ্যা ফলানোর সময়ে নজু কামলার বোবা বৌটা এতো জোড়ে চেচিয়ে উঠেছিলো কিভাবে!
loading...
loading...
ক্লাসিক গপ্পো ভাই, সমেজদার গব বটে,








,,,,,,,,,,,,সোহাগবিদ্যা ফলানোর সময়ে নজু কামলার বোবা বৌটা এতো জোড়ে চেচিয়ে উঠেছিলো কিভাবে!
loading...
অসাধারণ স্যার।
loading...
গল্পের মধ্যে হারিয়ে গেলাম।ধন্যবাদ প্রিয়।
loading...
আরেকটা অসাধারণ।
loading...
অসাধারণ! সোহাগবিদ্যার শেষ লাইনটাতেই মূল বিষয় লুকায়িত!
loading...
চরম
সাঈদ ভাই এর তুলনা সাঈদ ভাই ই
loading...