একদিন সব প্রজাপতি সাদা ছিলো। তারা সাদা ফুলের মধু খেত। সাদা ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াত। তাদের জীবন ছিলো সাদায় সাদায় ভরপুর।
একবার একদল সাধারণ প্রজাপতি রাজদরবারে পণ্ডিতদের মুখোমুখি হলো-
: আমরা নীল রংয়ের ফুলের মধু পান করিনা কেনো?
: শাস্ত্রে নিষেধ আছে, নীল কষ্টের রং।
: আমরা হলুদ রংয়ের ফুলের মধু পান করিনা কেনো?
: শাস্ত্রে নিষেধ আছে, হলুদ জীর্ণতার রং।
: আমরা লাল রংয়ের ফুলের মধু পান করিনা কেনো?
: শাস্ত্রে নিষেধ আছে, লাল বিদ্রোহ আর রক্তের রং।
: আমরা বেগুনী, গোলাপী, আকাশী রংয়ের ফুলের মধু পান করিনা কেনো?
: শাস্ত্রে নিষেধ আছে। আমাদের প্রপিতারা পান করেন নাই। আমাদের পিতারা পান করেন নাই। আমরা পান করি নাই। তোমরাও করবে না, করবেনা, করবেনা।
কিছুদিন পরে রাজ্যে দূর্যোগের ঘনঘটা দেখা দিল। তরুন প্রজাপতির দল শাস্ত্র অমান্য করে রংগীন ফুলের মধু পান করেছে। তাদের সাদা সাদা পাখায় দেখা দিয়েছে লাল, নীল, হলুদ, গোলাপী, বেগুনী নানা বর্ণের ছটা। শাস্ত্র লংঘনের শাস্তি কখনো সামান্য হয় না। শাস্ত্রের অন্ধ অভিশাপে সকল প্রজাপতি কুৎসিত শুয়োপোকা হয়ে যায়।
অভিশপ্ত শুয়োপোকাদের সাধ জাগে বর্ণিল পাখার একটা প্রজাপতি জীবনের। সাধ পুরণের দূর্বার আকাংখায় তারা ঝাপিয়ে পরে দীর্ঘ সংগ্রামে। একদিন ঠিক ঠিক শিখে নেয় প্রজাপতির রংগীন জীবন লাভের বিদ্যা। সেই থেকে অভিশাপকে পরাজিত করে প্রতিটা শুয়োপোকাই হয়ে উঠে প্রজাপতি, বাতাসে মেলে দেয় বর্ণিল পাখা।
loading...
loading...
ভালো লিখা। শুভদিন শুভ নববর্ষ মি. আবু সাঈদ আহমেদ।
loading...
loading...
loading...
loading...
অসাধারণ লেখা।
loading...
loading...
প্রজাপতির বর্ণিল পাখা।
loading...
loading...
দারুণ হরবোলা আবু সাঈদ আহমেদ ভাই।
loading...
loading...
সুন্দর।
loading...
loading...
loading...
loading...
ভালো লাগলো আপনার এই সুলেখিত লেখনী। শুভেচ্ছার সাথে শুভকামনাও থাকলো দাদা।
loading...
loading...