শয়তান হাজার হাজার বছর ধরে প্রচন্ড প্রতাপে শয়তানি করেছে। কিন্তু দিন কি আর এক যায়! শয়তানি করতে করতে তার ফাকফোকড় মানুষজন ধরতে শিখে গেল। শয়তানের রমরমা শয়তানি ব্যাবসা বন্ধ হবার যোগাড়। পৃথিবীতে শয়তানের দূর্দিন নেমে এলো।
শয়তানের শয়তানি না করলে চলবে কেন! সে কাজ খুজতে লাগল। সে এখানে সেখানে ঘুরে ঘুরে আবিষ্কার করল তার যোগ্য শিষ্যরা এক একটা মহাশয়তানে পরিণত হয়েছে। তারা বেশীরভাগ রাজনীতির খোলস এটে সাধুসন্যাসী আর ভালো মানুষ সেজে জনসেবার নামে দিব্যি শয়তানি করছে। অনেকেই তাদের কৌশল বুঝেও ভয়ে কেউ কিছু বলেনা। তাদের জন্য জান দিতে পারে এমন অনুসারীর সংখ্যাও কম নয়। অথচ, এরাই নিরীহ শয়তানকে দেখলে মারমার কাটকাট করে হামলা করতো। শয়তানের পশ্চাদ্দেশে বাঁশ নয়, পুরো বাঁশ বাগান ঢুকিয়ে দিত।
শয়তান গণ্ডমূর্খ সেজে শিষ্যদের দাসগিরি শুরু করল। দিনে দিনে রাজনীতি শিখে শয়তান তার শিষ্যদের ব্যাবসা দখল করে নিজেই রাজনীতি শুরু করল। গুরু কিনা গুরু, তাই শয়তানের শিষ্যরা রাজনীতির এজেন্সী নিয়ে আবার আদি গুরুর দাসগিরিতে মগ্ন হলো।
শয়তান আর তার শিষ্যদের ছেলেপেলেদের রাজনীতি ব্যাবসা পছন্দ নয়। এ ব্যাবসা এখন ব্যাকডেটেড, ক্রিয়েটিভিটি নাই। তাই তারা কর্পোরেট কোম্পানীর রং ফর্সাকারী ক্রিম, চুল ঝলমলানী শ্যাম্পু ও মল্ট ড্রিংকের মিনি প্যাকে আর টিভির ডেইলী সিরিয়ালে সওয়ার হয়ে মানুষের ঘরে ঘরে শয়তানি সেবাদানের আপডেটেড ক্রিয়েটিভ ব্যাবসা করছে।
loading...
loading...
অ সা ধা র ণ।
loading...
শয়তানের জীবন চক্র সত্যিই রহস্যময় !
loading...