শেফা ফার্মেসী। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আড্ডা জমে। এলাকার বিভিন্ন বয়সী কয়েকজন নিয়মিত আড্ডা মারতে আসেন। ফার্মেসীর মালিক মজনুও যোগ দেয়। ফার্মেসী সামলায় রনি। রনির বয়স কম। ভীষণ করিতকর্মা। প্রাণবন্ত রসিক।
আড্ডার সদস্যরা ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যায় রনির শরণাপন্ন হন। রনির দেয়া ওষুধ খান। এক সকালে বিধ্বস্ত অবস্থায় শাহজাহান চাচা হাজির-
: রনি, মাথা ব্যাথায় মইরা যাইতাছি, বাবা রে বাচা।
: চাচা, নাস্তা খাইছেন?
: হ, বাবা।
: তেইলে টুলে বইসা এই ট্যাবলেটটা চুইসা চুইসা খান। দশ মিনিটে মাথাব্যাথা কইমা যাইবো।
শাহজাহান চাচা টুলে বসে চোখ বন্ধ করে ওষুধ চুষতে লাগলেন। দশ মিনিটের আগেই ব্যাথা কমে গেল। তিনি কৃতজ্ঞতার সুরে রনির কাছে জানতে চাইলেন-
: বাবা, এই ওষুধের নাম কি?
: চাচা, এইটা এলবেন ডিএস।
: মাথা ব্যাথার খুব ভালা ওষুধ।
: হে: হে: হে: এইটা মাথা ব্যাথার ওষুধ না।
: তবে কিয়ের ওষুধ?
: কৃমির ওষুধ হে: হে: হে:
: হারামজাদা, তুই আমারে কৃমির ওষুধ খাওইয়া মশকরা করস, ***বাচ্চা…
: চাচা, চ্যাতেন ক্যান! আপনার সমস্যাতো মাথায় না, সমস্যা অইলো কৃমিতে। প্যাটের কৃমি আশকারা পায়া পায়া মাথায় উইঠা গেছিল হে: হে: হে: তাগো নামায়া দিলাম হে: হে: হে:
শাহজাহান চাচা হঠাত শান্ত হয়ে যান। টুলে বসেন। রনিকে চা আনাতে বলেন। দৈনিক পত্রিকাটা হাতে নেন। হেডিংগুলো পড়তে পড়তে রনির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেন,’বাবা, তুইতো আমার মাথা থেকা কৃমি নামায়া দিলি। যে কৃমিরগুষ্ঠীরে আমরা দ্যাশের মাথায় তুইলা দিছি তাগো নামানের লেগা এলবেন ডিএস খাওয়াইবো কেডা!’
loading...
loading...
loading...
loading...
যে কৃমিরগুষ্ঠীরে আমরা দ্যাশের মাথায় তুইলা দিছি তাগো নামানের লেগা এলবেন ডিএস খাওয়াইবো কেডা!’


দারুন লাগলো ভাই।
loading...
loading...
বাস্তব এবং যৌক্তিক প্রশ্ন।
loading...
loading...
এলবেন ডিএস।
loading...
loading...
অসামান্য।
loading...
loading...
প্রায়শঃ ভিন্ন ধাঁচের লেখা পড়ি আপনার মাধ্যমে।
loading...
loading...
*এলবেন ডিএস


loading...
loading...
দারুণ
loading...
loading...