মাসুদ রানা, শার্লক হোমস, ওয়াটসন, কিরীটি রায়, বোমক্যাশ, ফেলুদা, টেনিদা, দস্যু বনহুর ব্যাস্ত মানুষ। কিছুটা সময় বের করেছেন। জংগলে দল বেধে কাটাবেন। রাতে হৈ চৈ করবেন। একটু অবসর উপভোগ করবেন। চিন্তা নেই, তাদের শিষ্যরা আজকাল অপরাধের আগেই অপরাধী ধরে ফেলছে।
রাতে তাবুর নিচে ঘুমোতে গিয়ে ফেলু মিত্তির প্রথম বুঝতে পারলেন তার লাল আন্ডারওয়ারটা নেই। মহামূল্যবান আন্ডারওয়্যার। সুপারম্যানের কমোডের ফ্ল্যাশ রহস্য সমাধান করার জন্য গিফট পেয়েছিলেন। সেই আন্ডারওয়্যারে নিকোবর দ্বীপপূঞ্জে জলদস্যূ জলি রোজার্সের গুপ্তধনের সাংকেতিক নকশা আছে। ডায়মন্ডের দুইটা বোতাম দিয়ে বিভিন্ন সংকেত অাঁকা আছে। এঞ্জেলিনা জুলির অরিজিন্যাল অটোগ্রাফ আছে।
এখানে যারা আছে তারা কেউই ফেলুদার আন্ডারওয়ার চুরি করবেনা। তবু তদন্তের স্বার্থে সবাইকে সন্দেহ করতে হচ্ছে। তারা সবাই ভালো ভাবে অনুসন্ধান চালালেন। নিজের নিজের প্যান্ট খুলে চেক করলেন। শুধু ওয়াটসনের প্যান্টের জিপার জ্যাম হওয়াতে খোলা যায় নাই। জিপারে জ্যাম লাগার ব্যাপারটা খুব রহস্য ও সন্দেহ জনক।
তদন্তের ফলাফল শুন্য। অথচ এই আন্ডারওয়ারটাই ফেলুদার সবেধন নীলমনি, অমূল্য সম্পদ।
মাসুদ রানা হোমসের কাছ থেকে একটা হাভানা চুরুট নিয়ে জ্বালালেন। তারপর ফেলুদাকে বললেন-
: আপনি শেষ কবে আন্ডারওয়ারটা পরেছিলেন?
: আজ সকালে।
: তারপর খুলে রেখেছিলেন কোথায়?
: রানা ভাই, আমি সেটাই মনে করতে পারছিনা।
: ফেলু বাবু, আপনি সুপারম্যানের মত আন্ডারওয়ারটা প্যান্টের উপরে পরেছিলেন?
: হ্যা, কিন্তু আপনি জানলেন কিভাবে?
: কারণ, এখনো লাল প্যান্টের উপরে আপনি লাল আন্ডারওয়ার পরে আছেন। স্কীন টাইট বলে বোঝা যাচ্ছেনা।
: আপনি বুঝলেন কিভাবে?
: যখন চুরুট জ্বালালাম, তখন আপনার আন্ডারওয়ারের ডায়মন্ডগুলো চিকচিক করে উঠেছিল।
সবাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে খুলে ফেলা নিজের নিজের প্যান্ট পরে নিলেন। ফেলুদা প্যান্টের উপর থেকে লাল আন্ডারওয়্যার খুলে বাক্সে লক করে রাখলেন। রানা মনে মনে বললেন, আজ সুপারম্যানের আন্ডারওয়্যারের নামে কেমন সবার প্যান্ট খুলিয়ে ছাড়লাম। শুধু বোকা ওয়াটসনই প্যান্ট না খুলে অর্ধেক জিপার খুলেছিল। এখন জিপার লাগাতেও ভুলে গেছে। ও ওভাবেই থাক।
loading...
loading...
loading...
ধন্যবাদ মুরুব্বী আজাদ ভাই।
loading...
হাহাহা। বড়ই উপভোগ্য হয় আপনার প্রতিটি লিখা আবু সাঈদ ভাই।
loading...
ধন্যবাদ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী ভাই।
loading...
loading...
ধন্যবাদ কবি রিয়া।
loading...
যারা সাহিত্য খুঁজেন এই অণুগল্প পড়ে তৃপ্ত হবেন। শত শত দুর্বল (অ)অণুর ভিড়ে এটা আমার চোখে ঝিলিক দিয়ে গেলো।
এর সাহিত্যমান প্রশ্নাতীত। ফান আছে এবং তা পরিমিত, মার্জিত! সবচে বেশি ভালো লেগেছে লেখাটার ভিতরে লুকায়িত “বিদ্রুপ” যা যোগাযোগ বা দ্রোহের শক্তিশালী উপায় হিসেবে বিবেচিত। এতে বহুস্বর আছে এবং এই “বিদ্রুপ” থেকে আমি আমার মতো করে মেসেজ নিয়ে নিলাম।
মুগ্ধ!
loading...
ধন্যবাদ ভাই মিড ডে ডেজারট।
loading...
অসাধারণ ক্রিয়েশন হরবোলা আবু সাঈদ আহমেদ ভাই।
loading...
ধন্যবাদ কবি সুমন আহমেদ ভাই।
loading...
খুবই ভালো মানের আবু সাঈদের অণুগল্প। শুভকামনা ভাই।
loading...
ধন্যবাদ কবি শাকিলা তুবা।
loading...
খুব সুন্দর। ভালো লাগলো।
loading...
ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
হা হা হা হা
চিনি দিয়াও দাঁত ভাঙা যায় তা আপনার লেখাতেই সম্ভব
অনেক ভালোলাগা।
loading...
loading...