হীরক রাণী: গবেষক, করো কি? খাও কি শুধু ঘাস!
প্রজারা আমার পশ্চাদ্দেশে ঢুকাচ্ছে বাঁশ।
আহারে! বাঁশের ব্যাথা সে কি বুঝিতে পারে
কভু পশ্চাতে আইক্কা বাঁশে দংশেনি যারে।
গবেষক: মহারাণী, বুঝছি সব স্পষ্ট
ইশ! কত বেদনা! কত কষ্ট!
পশ্চাতে ঢুকলে আইক্কা বাঁশ
নিশ্চয় বন্ধ হয়ে আসে শ্বাস?
হীরক রাণী: গবেষক করো কি মশকরা!
ইচ্ছা তোমার বুঙ্গা খেয়ে মরা?
গবেষক: মহারাণী, আমি ক্ষমা চাই, ক্ষমা চাই
নিচের গরম মাথায় তুলতে নাই।
প্রজারা কেনো দিচ্ছে বাঁশ শোনান তাই
ভুলে কুকুরদের কি দিয়েছেন লাই!!
হীরক রাণী: দেশরে ভরে দিছি উন্নয়ন দিয়া,
তবু প্রজারা যায় সাগরে ভাসিয়া,
এ রাজ্য থেকে কি উন্নত মালেশিয়া?
গবেষক: মহারাণীর দুই নয়ন
হীরকরাজ্যের উন্নয়ন,
মহারাণীর শাসন কাল
দশ টাকায় ১কেজি চাল,
মহারাণীর স্বপন ভরে
চাকরী দিছেন ঘরে ঘরে,
তারপরেও সাগর দিয়া
যেতেই হবে মালয়েশিয়া!
প্রজারা অকৃতজ্ঞ কাঙ্গাল
উন্নয়ন বুঝেনা মূর্খ বাঙ্গাল।
হীরক রাণী: গবেষক, এসবই ষরযন্ত্র
পেটের ক্ষিধায় ভুলে গেছে মন্ত্র-
ভাত নাই? মোরগ পোলাও খাও,
চাকুরী নাই? ব্যাবসা করো ফাও,
খামাখা কেনো মালয়েশিয়া যাও?
গবেষক: মহারাণীর পশ্চাদ্দেশ- সহজ কথা নয় তো,
বাঁশ ঢুকানোর আগে সেটা বুঝে নাই হয় তো,
মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ছলাকলাময় তো,
দিতে হবে কঠিন শাস্তি জীবনভরা ভয় তো।
হীরক রাণী: যারা ক্ষুন্ন করছে হীরক রাজ্যের মান
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের নিতে হবে জান,
হীরক রাজ্যে গরীবের নাই কোন ঠাঁই
মাঝ সাগরে তাদের ডুবিয়ে দেয়া চাই,
উন্নয়ন জোয়ারে ভাসছে হীরক রাজ্য
অসম্মান অপমান করা হবেনা গ্রাহ্য।
গবেষক: মহারাণী, সাধু সাধু সাধু
সমাধান ঠিক যেন জাদু।
কোরাস: যায় যদি যাক প্রাণ
হীরকের রাণী ভগবান।
loading...
loading...
অ সা ধা র ন।
loading...
হীরক রাজার দেশ থেকে হীরক রাণীর দেশের উদ্ভব স্ববিস্ময়ে অবলোকন করে যারপরনাই পুলকিত হলাম !
loading...