ফ্রাংক মজুমদার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। ভীষণ মেধাবী, সৃজনশীল। স্কুল জীবনে কবিতা লিখতেন। এখনও বেহালা বাজানো ধরে রেখেছেন। বন্ধুরা তাকে আইনস্টাইন বলে ডাকে।
তিনি যুগান্তকারী এক সফটওয়ার বানিয়েছেন। দশ বছরের নিরলস পরিশ্রমের ফল। এই সফটওয়ার ব্যাবহার করে খুব সহজে যে কেউ কালজয়ী লেখকের মত কবিতা, গল্প, গান, উপন্যাস লেখা সম্ভব।
সফটওয়ারটি মাত্র ছয়টি ধাপে কাজ করে-
প্রথম ধাপে নিজের নাম লিখতে হয়।
দ্বিতীয় ধাপে সংক্ষেপে নিজের মনের ভাব লিখতে হয়।
তৃতীয় ধাপে মেনু হতে অণুগল্প/ছোটগল্প/বড়্গল্প/উপন্যাস/গান হতে ক্যাটাগরী সিলেক্ট করতে হয়।
চতুর্থ ধাপে লিস্টের রোমান্টিক/ট্রাজেডি/স্যাটায়ার/কমেডি/এবাস্ট্রাক্ট/ফিকশন/থ্রিলার/সাইফাই হতে কাংখিত টাইপ সিলেক্ট করতে হয়।
পঞ্চম ধাপে শব্দ বা ফর্মা সংখ্যা সিলেক্ট করতে হয়।
ষষ্ট বা শেষ ধাপে ‘রাইট এজ (Write As)…’-এর মেনু হতে কোন কালজয়ী লেখকের মত লিখতে হবে তা সিলেক্ট করতে হবে। যেমন- প্রথম পাঁচটা ধাপ পূরণ করে ষষ্ট ধাপে রাইট এজ-এ রবীন্দ্রনাথ বা শেকসপিয়্যর বা মার্ক ট্যয়েন সিলেক্ট করলে ত্রিশ সেকেন্ড হতে পাঁচ মিনিটের মাঝে লেখা প্রস্তুত হবে। এই সফটওয়ার ব্যাবহার করে যে কেউ নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী রবীন্দ্রনাথের মত ছোটগল্প, শেকসপিয়্যরের মত ট্রাজেডি বা জীবনানন্দের মত কবিতা লিখতে পারবে।
ফ্রাংক সফটওয়ার দিয়ে বেশকিছু রবীন্দ্রসংগীত, হুমায়ুন আহমেদের নতুন তিনটা মিসির আলী বিষয়ক উপন্যাস আর জন কিটসের গোঁটা দশেক রোমান্টিক কবিতা লিখেছেন। প্রথম ধাপে তিনি নিজের নাম লিখেছিলেন- ফ্রাংক মজুমদার আইনস্টাইন। কিন্তু সফটওয়ার প্রতিবার তার নাম লিখছে ফ্রাংকেনস্টাইন। তিনি কোনভাবেই ফ্রাংকেনস্টাইন-কে ফ্রাংক মজুমদার আইনস্টাইন করতে পারছেন না।
পুনশ্চ: ফ্রাংকেনস্টাইন মানবসৃষ্ট এক দানব- যে তার মনিবকে বিনাশ করেছিল।
loading...
loading...
অ সা ধা র ণ।
loading...
বরাবরের মতই দুর্দান্ত।
loading...