সভ্যতার আদি থেকেই মানব সমাজে দূর্নীতির অস্তিত্ব ছিল; যা এখন আরও প্রকটভাবে বিদ্যমান। প্রকৃতপক্ষে মানুষের সীমাহীন চাহিদা ও লোভ এবং সীমিত সাধ্যের মধ্যে থাকার যে সংঘাত, তা থেকেই দূর্নীতির উদ্ভব। বিভিন্ন প্রাচীন র্ধমগ্রন্থে দূর্নীতি বিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়। পবিত্র কোরআন, বাইবলে, বেদসহ নানা র্ধমগ্রন্থে দূর্নীতির কুফল ও পরিণাম বিষদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ অত্র উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত দন্ডবিধিতেও দূর্নীতি মূলক অপরাধের শাস্তির বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দূর্নীতির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। চানক্যের অর্থশাস্ত্রে বিভিন্ন প্রকারের দুর্নীতির বিশদ বিবরণ রয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধের চেষ্টাও প্রাচীন। ১৮৬০ সনে প্রণীত দ-বিধিতে কতিপয় অপরাধমূলক কার্যকে দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে দ-ের বিধান আরোপ করা হয়। তবে এ দ-বিধি প্রচলিত হওয়ার পূর্বেও এ দেশে এ জাতীয় অপরাধের দ-ের বিধান ছিল। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, দ-বিধি ১৮৬০ প্রণয়নের মাধ্যমে দুর্নীতিসংক্রান্ত অপরাধ বিচার প্রক্রিয়ার আইনগত কাঠামো সৃষ্টি হয় ।
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯৪৪ সনে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গণকর্মচারীদের দুর্নীতি দমনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সনে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ বলবৎ করা হয়। দুর্নীতি দমনে জারিকৃত এ আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিশ বিভাগের ওপর। এতে কাক্সিক্ষত ফল অর্জিত না হওয়ায় দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে একটি পৃথক সরকারি দপ্তর তথা দুর্নীতি দমন ব্যুরো গঠনসহ অন্যান্য লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি দমন আইন, ১৯৫৭ বলবৎ করা হয়। প্রাথমিকভাবে অস্থ’ায়ী দপ্তর হিসেবে কাজ করলেও ১৯৬৭ সন থেকে একটি স্থায়ী দপ্তর হিসেবে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কার্যক্রম শুরু হয়। তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর স্বাধীনভাবে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা করার আইনি সুযোগ ছিল না।
১৯৫৭ সনে দুর্নীতি দমনের নিমিত্তে একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান তথা দূর্নীতি দমন ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করা হয়। উক্ত আইনে কেবলমাত্র দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দুর্নীতি নিবারণ র্কাযক্রম পরিচালিত হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সকলের কাছেই এটি প্রতিবাদ হয় যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক যত কঠোর আইন-ই প্রণয়ন করা হোক না কেন; এর বিরুদ্ধে জনসচতেনতা বৃদ্ধি করা ব্যতীত এবং গণর্কমচারীদের ভিতরে দুর্নীতি বিরোধী মানসিকতা তৈরী ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়। এসকল বাস্তবতা অনুধাবন করেই দুর্নীতি দমনমূলক র্কাযক্রমরে পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক র্কাযক্রম পরিচালনাকে গুরুত্ব দেয়ার আবশ্যকতা দেখে দেয়। সময়ের সাথে সাথে র্দুনীতির প্রকার প্রকরণ পরিবর্তিত হওয়ায় এবং দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম সুসংহত করার জন্য ২০০৪ সালরে ২১ নভেম্বর হতে দুর্নীতি দমন কমশিন আইনরে মাধ্যমে স্বাধীন ও নিরপক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন যাত্রা শুরু করে।
একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর জরিপে বাংলাদেশ একাধিকবার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ প্রেক্ষাপটে দেশের সাধারণ মানুষ, উন্নয়ন সহযোগী, সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৪ সনের ২১শে নভেম্বর “বাংলাদেশ ব্যুরো অব এন্টিকরাপশন” বিলুপ্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
দুদক প্রতিষ্ঠার পর অর্থ ও মুদ্রা পাচার, ভূমি, ভূমি রাজস্ব ও ইজারা, ঘুষ (অর্থ, সম্পদ বা সেবা), অবৈধ উপায়ে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ অর্জন, নির্মাণ কাজ ও যোগাযোগ খাতে দুর্নীতি, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ও বেসরকারি সংস্থাসমূহে দুর্নীতি, শুল্ক ও কর, রাজস্ব, ব্যবসায়ী/ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ, সরকারি ক্রয়-বিক্রয়, লাইসেন্স ইস্যু করা, অঙ্গীকারের শপথ ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুদক আইন-২০০৪-এর তফসিলে উল্লিখিত অপরাধসমূহ অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্তুর্ভুক্ত হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুসারে-২০১৩ সালের অনিষ্পন্ন অনুসন্ধানের সংখ্যা ছিল ৩১২১। এসব অনিষ্পন্ন অনুসন্ধানের মধ্যেও কমিশন ২০১৪ সালে ৪৬৫৪টি নতুন অনুসন্ধান কাজ হাতে নিয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালে দুদকে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১২৫০০টি এর অধিক অভিযোগ আসে, যার মধ্যে ১৬৮৯টি অনুসন্ধানের জন্যে গৃহীত হয় এবং ২৩৭টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়। কমিশন ২০১৪ সালে সর্বমোট ৭৭৭৫টি অনুসন্ধান কাজের মধ্যে ৩৭৭৫টি নিষ্পত্তি করেছে। সম্পন্ন এসব অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে কমিশন ৩৩৩টি এজাহারও দায়ের করেছে। বাকী সম্পন্ন অনুসন্ধানগুলোর ফলাফল কমিশনের রেকর্ডের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। কমিশনের তফসিলভুক্ত দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের হাতে-নাতে ধরতে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা নির্বাচিত অথবা মনোনীত জনপ্রতিনিধি কোনো কাজের জন্য ঘুষ দাবী করলে ঘুষ প্রদানের পূর্বেই তথ্যটি দুদকের প্রধান কার্যালয় অথবা নিকটস্থ’ দুদক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে ঘুষ বা উৎকোচ গ্রহণকারীকে ফাঁদ পেতে হাতে-নাতে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসব অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে দুর্নীতির উৎস স্থল।
দুর্নীতি বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে দুর্নীতি। একবিংশ শতাব্দীর পর দেশে ঘুষ-দুর্নীতির প্রভাব ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি চাকুরি প্রাপ্তি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে। বিভিন্ন টেন্ডার কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন তপশীলি ব্যাংকে ঋণ প্রদানের ক্ষেতেও দুর্নীতির মাত্রা ব্যাপক হারে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে কৃষি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলোতে সাধারণ কৃষকরা ঋণ গ্রহণের আগে ও পরে অনিয়ম দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন। দেশের চিকিৎসা সেবা এখন সেবার পরিবর্তে বাণিজ্যিক কারবার শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও কুচিং বাণিজ্য করছেন। কিছু জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিক জনসেবার আদলে দলের পদবী নিয়ে ক্ষমতায় পাকাপুক্ত হলে নানাভাবে অন্যায় দূর্নীতির আশ্রয় প্রশয় দিয়ে থাকেন। দেশের অফিস-আদালতের স্তরে স্তরে দুর্নীতির শাখা-প্রশাখা রীতিমত শেখড়ে পৌছে গেছে। চলমান ঘুষ-দুর্নীতির মহাউৎসবে জাতির গোড়ায় পচন ধরেছে। এই ঘুষ-দুর্নীতির ছোবল থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি কমেছে..? ঘুষ ছাড়া কী কোন কাজ করতে পারি..? আপামর জনসাধারণ কি সচেতন হয়েছে..? এসব প্রশ্নের জবাব আমজনতা অনেক ভাবে দিতে পারবেন। আমার যুক্তি তর্ক সচেতন পাঠকদের সংগে গড়মিল হতে পারে। কারণ একেক জনের চিন্তা চেতনা ভিন্ন।
আমি মনে করি, দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের পরে ঘুষ-দুর্নীতি শব্দটির লাগাম খুব বেশি না হলেও কিছুটা টানা পড়েছে। ফলে প্রকাশ্যে ঘুষ-দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। কিন্তু জাতির শেখড়ে ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি। তথ্য-প্রযুক্তির যুগের সংগে তাল মিলায়ে ঘুষ-দুর্নীতির লেনদেনে পরিবর্তন এসেছে। ঘুষ-শব্দটি পরিবর্তন হয়ে নতুন নামকরণ হয়েছে ‘‘স্প্রীট মানি’’। এই নতুন শব্দটি এখন অফিস-আদালতে ঘুষখোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও ঘুষের বিপরীতে নতুন শব্দ ‘‘স্প্রীট মানি’’ কথাটি শুনেছেন একজন ১ম শ্রেণির চিকিৎসক সরকারি কর্মকর্তা। তিনি পেশায় একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। বর্তমানে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি তেঁতুলিয়ায় সরকারি চাকুরিতে যোগদানের পর মাসিক বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির জন্য নিয়মানুযায়ী যাবতীয় কাগজপত্র তেঁতুলিয়া উপজেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেবার পরও দীর্ঘ কয়েক মাস ঘুরেছেন। তিনি ন্যায্য বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। কিন্তু উদীয়মান চিকিৎসক তাঁর নীতিতে অটল থেকে বৈধভাবে কাজ হাসিলের চেষ্টা করেন। এজন্য হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিট অফিসার সহ অন্যান্য কর্মচারীদের কথামত দীর্ঘদিন ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।
আমি বিষয়টি জেনে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা বলি। সেদিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসের ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে বাহিরে ছিলেন। তিনি মুঠোফোনে আমার পরিচয় জেনে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য পরের সপ্তাহে অফিসে যেতে বলেন। আমি হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কথামত যথারীতি ভুক্তভোগী চিকিৎসক সহ অফিসে যায়। এই অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার সাংকেতিক নাম (গোকি)। তিনি দেশের মফস্বল সাংবাদিক সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আদলে আমাকেও সেই পাল্লায় উঠালেন। একপর্যায়ে তিনি নিজেও সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জাহির করে তার ভিজিটিং কার্ড তুলে দেন। তাঁর কথা শেষে কিছুটা যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে বুঝালাম ওই ধরণের সাংবাদিক আমি নই। এবার তিনি চিকিৎসকের কাজটি অর্থাৎ বেতন-ভাতার ‘পে-ভিক্সেসন’ করে দিলেন। আমি অফিস থেকে বেরিয়ে গেলাম। এই সুযোগে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ভুক্তভোগী চিকিৎসক কে বুঝালেন এসব কাজে ‘স্প্রীট মানি’ লাগে। ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসকের মুখে পরক্ষণে শুনলাম নঁথিপত্র প্রস্তুত করতে ঘুষ লাগে না ‘‘স্প্রীট মানি’’ লাগে। ঘটনা চলতি বছরের শুরুর দিকে কিন্তু সময়ের অভাবে লেখনি প্রকাশ করতে পারিনি।
আমাদের দেশে দুর্নীতি কমবেশী সব ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। কিন্তু কেউ দুর্নীতি করতে সহায়তা করেন; কেউ কেউ প্রতিবাদ করেন। তবে প্রতিবাদকারীর সংখ্যা খুব সীমিত। এখনো অনেকে ঘুষের টাকা দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন। আর কোন কারণে স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে তখন দুর্নীতির বিরুদ্ধের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেন। এরআগে দুর্নীতিকারীর বিষদাঁত না ভেঙ্গে স্বার্থ হাসিলের জন্য নিশ্চুপ থাকেন। এখনো সময় আছে দেশকে দুর্নীতির কোরাল গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য সকলের প্রতিবাদী হতে হবে। নিজ নিজ পরিবার থেকে দুর্নীতিমুক্ত পরিবার গঠনে কাজ করতে হবে। প্রত্যেককে মনে শপথ নিতে হবে ‘নিজে দুর্নীতি করব না; কারো দুর্নীতি মানব না’। এক্ষেতে উপজেলা/জেলা/ইউনিয়ন দুর্নীতি দমন কমিটিকে শক্তিশালী করে জনসচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রত্যেককে নিজ পরিবার ও ছেলে-মেয়েদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধি চেতনা সৃষ্টি করতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সমাজ থেকে অন্যায়,ঘুষ-দুর্নীতি, স্প্রীট মানি ইত্যাদি শব্দগুলো চিরতরে নির্মুল করতে পারলে বাংলাদেশ একদিন সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি লাভ করবে। #
loading...
loading...
loading...