এই রাত সেই রাত
আজও রাত আসে ফি-রাতের মতো। আসে জ্যোৎস্না আসে পূর্নিমা। তবে আজ আর আমি কোন রাত জাগা পাখি নই। রাতভর চলে না কপোত-কপোতীর কথোপকথন। স্বপ্নরা আর প্রজাপতির পাখায় রং ছড়ায় না। ঘাস ফড়িং মন আর হারিয়ে যায়না অজানা স্বপ্নের দেশে। স্বপ্নের নির্মাণ-বিনির্মাণ চলে না মানসলোকে। কোন এক অজানা পথিকের বাঁশির সুর আঁধারের প্রাচীর পেরিয়ে শ্রবণ ইন্দ্রীয়ে সাড়া জাগায় না আর। রাত আসে। তমসা ভরা রাত। পাখির গান, প্রজাপতির রং, বাঁশির সুর সব চাপা পড়ে তমসার ঘন আঁধারে।
অথচ এই ফি-রাতগুলো ছিলো নতুন নতুন রুপের। ছিলো নিত্য আয়োজনের। পূর্ণিমা মানেই হাত বাড়িয়ে একমুঠো জোস্না ধরে আনা। বাঁশির সুরে হারিয়ে যাওয়ার রাত। বৃষ্টি মানেই রিনিঝিনি শব্দে মধ্যরাতে এককাপ কফি আর কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ। ছিলো বাঁশির সুরে হারিয়ে যাওয়ার রাত। আর রাতের নির্জনে কবিতা পড়ার প্রহর। নিত্য রাতের নিত্য নতুন রুপ। কত কত শীতের রাত গেছে স্বপ্ন নির্মাণ-বিনির্মাণ এর খুনসুটিতে।
আজও রাত আসে ফি-রাতের মতোই। শুধু বদলে যাওয়া অনুভূতিরা সঙ্গী হয় তার। আসে নিস্তব্ধ রাত্রি। রাত্রির গভীরতা বাড়ে। বাড়ে চিন্তার গভীরতাও। জীবন অনুভূতি যেন গা ঝাড়া দিয়ে উঠে। পাওয়া না পাওয়ার হিসাবগুলো তাড়া করে ফেরে। শীতের হিমশীতল পরশ যতটা না শরীরের কাঁপন তোলে, জানা-অজানা আশঙ্কা মনকে কাঁপিয়ে তোলে তার চেয়ে বহুগুণ। এতটুকু উষ্ণ পরশ এর খোঁজে অতীতের স্মৃতি আর ভবিষ্যতের সমস্ত সম্ভবনা গুলোকে হাতড়ে মরে স্বাপ্নিক মন। তমসা তমসা আর তমসা। ভগ্ন হৃদয় আর মৃতপ্রায় অনুভূতিগুলো স্তব্ধ হয় ক্ষণিক কাল। মুহুর্তের স্তব্ধতা নিস্তব্ধ রাত্রির গভীরতা কে করে গভীর থেকে গভীরতর।
( আহা! প্রথমবার মা হবার জার্নিটা আচমকাই থেমে গিয়েছিলো। ২০১০ সাল। এটা সেই সময়গুনোতে লেখা। পেইন।)
loading...
loading...
শব্দনীড়ে সু স্বাগতম আপুমনি। জীবনের লেখাটা প্রাণ ছোয়া। ভালবাসা অহর্নিশ।
loading...
মায়ের পেইন। লিখাটি এতটাই হৃদয়স্পর্শী যে, চোখ আমার কেমন করে উঠলো।
loading...
স্বপ্নরা আর প্রজাপতির পাখায় রং ছড়ায় না। ঘাস ফড়িং মন আর হারিয়ে যায়না অজানা স্বপ্নের দেশে। স্বপ্নের নির্মাণ-বিনির্মাণ চলে না মানসলোকে।
* অসাধারণ শব্দ চয়ন…
loading...
লেখাটি পড়তে পড়তে মানসপটে যেন ভেসে উঠছিলো আপনার আপনাকে। ভাল থাকুন।
loading...
বিমুগ্ধতা।
loading...
বাহ ! চমৎকার ও নান্দনিক লেখা
loading...