আমি জয়ি বলছি,
ওদের তোমরা ক্ষমা করো না।
যাদের উদ্মাত্ত রক্তের নেশায়
বলি হতে হল আমায়,
বিদায় বলতে হল-
প্রিয় মা,মাটি, মানুষকে।
বিদায় বলতে হল সহপাঠি ও
প্রিয় শিক্ষকদের কে।
ওদের তোমরা ক্ষমা করো না।
মা-বাবা,
আমায় ক্ষমা করে দিও।
আমি চাইনি তোমাদের ছেড়ে,
তোমাদের কাঁদিয়ে চলে আসতে।
আমি কি কষ্ট পাইনি?
অনেক কেঁদেছি মা।
তবু আমি পারিনি,
আমি পারিনি ঐ নরপশুর হিংস্র
থাবা থেকে নিজেকে বাঁচাতে,
পারিনি নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে।
তোমাদের ভালবাসার মূল্য
দিতে পারলাম না।
আমাকে ক্ষমা করে দিও।
প্রিয় সহপাঠিনী,
তোরা আমাকে ক্ষমা করে দিস।
কাছে থেকেও তোদের বলে আসতে
পারলাম না।
নিজের অসম্মানের কথা কি করে
তোদের বলতাম বল।
বলার ক্ষমতাটাও ঐ মানুষ রুপী জানোয়ার
কেড়ে নিয়োছিল আমার কাছ থেকে।
কেড়ে নিয়েছিল আমার
সকল হিতাহিত জ্ঞান কে।
পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।
প্রিয় এলাকাবাসি,
তোমাদের সজাগ দৃষ্টিও
আমাকে রক্ষা করতে পারলাে না,
পারলো না ঐ কালপিট কে দমিয়ে রাখতে।
কষ্ট নিয়ে এসেছি এতে
আমার কোন দুঃখ নেই।
শুধু দুঃখ পাই এ জন্য-
এখনো ওরা সমাজের বুকে
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
এখনো ওরা অট্টহাসি হেসে বলছে,
জয়ি তোরা মর।
আমাদের হাতে মরার জন্য
তোদের জন্ম হয়েছে।
তাই বলছি,
আর চোখের জল নয়।
ঐ চোখে দেখতে চাই
প্রতিবাদের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ।
যে আগুনে ভস্মিভূত হবে-
ঐ মানুষরুপী কুলাঙ্গার,
ওদের সকল আস্তানা।
loading...
loading...
চমৎকার বাক্য বিন্যাস। নিয়মিত লিখুন প্রিয় কবি।
loading...
আপনার অনুপ্রেরনায় অনুপ্রানিত।
সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা। জয়ি নামের মেয়েটা ০৭-১১-১৭ ইং তারিখে ইভটিজিং এর শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে।
দোয়া করবেন।
loading...
আপনার প্রতিও আমার শুভাশীষ থাকবে কবি।
loading...
ধন্যবাদ
loading...