দৃশ্য – ৩
লোকেশনঃ বাস স্ট্যান্ড এবং বাস
কাঁধের ব্যাগটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নাজির। নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য নেয় ; কোথায় যাবে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নাজির ব্যস্ত রাস্তায় বাস, রিক্সার আসা যাওয়া দেখছে। একটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকে। সিগারেট যখন অর্ধেকটা তখন একটা লোকাল বাস প্রায় নাজিরের বরাবর এসে দাঁড়ায়। কোন কথা না বলে হাতের সিগারেট ফেলে দিয়ে নাজির এক লাফে বাসে উঠে যায়। জানালার পাশে এটা সীটে জায়গা পায়। এক দৃষ্টিতে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে। মুখটা ভাবলেশ এবং অনেকটা ফ্যাকাশে দেখায়।
বাসের কন্ট্রাক্টর এসে নাজিরকে বলে –
কন্ট্রাক্টরঃ মামা কই যাইবেন?
নাজিরঃ বাস কই যাইব?
কন্ট্রাক্টরঃ মাওয়া ঘাট যাইব। আপনে কই যাইবেন মামা?
নাজিরঃ শেষ পর্যন্ত। মাওয়া ঘাট।
এই কথা বলে নাজির আবার অন্যমনস্ক হয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে থাকে।
দৃশ্য – ৪
লোকেশনঃ নদীর পাড়
বাস স্ট্যান্ড থেকে নাজির নদীর পাড়ে এসে দাঁড়ায়। তখন বিকাল পাঁচটা বাজে। নদীর পাড় ঘেঁষে ঘাসে উপর ভাল একটা জায়গা দেখে বসে নাজির। তখন মোবাইল ফোনটা বেজে উঠে।
মনিরঃ হ্যালো.. ..
নাজিরঃ হ্যালো.. .. হ্যা বল।
মনিরঃ কিরে কই তুই? ফোন দিতে বলছিলি কেন?
নাজিরঃ নাহ। এমনি। ভাবছিলাম কাছাকাছি থাকলে দেখা করব। তাই।
মনিরঃ ঠিক আছে। আমি তোর বাসার কাছেই আছি।
নাজিরঃ না রে। আমি বাসায় নাই।
মনিরঃ কোথায় তুই?
নাজিরঃ আমি মাওয়া ঘাট। এখন রাখি। পরে কথা বলবনে। বাই।
মনিরঃ কীরে তোর কি হয়ছে? তোরে কেমন যেন মনে হয়তেছে।
নাজিরঃ কিছু না। ফোন রাখি।
এই কথা বলেই নাজির ফোনটা রেখে দিল। মনিরকে আর কথা বলার কোন সুযোগ দেয় না।
দৃশ্য – ৫
লোকেশনঃ নদীর পাড়
দূরে একটা ছোট মেয়ে নদীরে বসে পানিতে পা ভিজিয়ে বরসি দিয়ে মাছ ধরছে। তার দিকে এগিয়ে যায় নাজির।
নাজিরঃ এই মেয়ে তুমি কি কর?
রীপাঃ কেন? আপনে কে?
নাজিরঃ নাহ। এ..এ..এমনি।
রীপাঃ নাচি।
নাজিরঃ বরসি নিয়ে কেউ নাচে জানতামনা তো। বরসি দিয়ে তো মাছ ধরে।
রীপাঃ দেখতাছেন, বুঝতাছেন। তাইলে জিগান কেন!!
নাজিরঃ তোমার নাম কি?
রীপাঃ রীপা। [নামটা বলেই মুখটা ভেঙ্গচি কাটে।]
নাজিরঃ তোমার বাড়ি কোনটা?
রীপাঃ কেরে? আপনে আমার বাড়ি দিয়া কী করবেন?
নাজিরঃ নাহ! এমনি জিজ্ঞাস করলাম। তুমি কি একলা আসছ? মাছ ধরতে পার?
রীপাঃ কেরে। আমি একলা আসলে আপনের কি। বলেই লাফিয়ে দাঁড়ায়। [এমন একটা ভাব যেন এখনই ধরে মারবে।]
নাজিরঃ না না ….. । রাগ কইরনা। তোমার কে কে আছে? [রীপা আবার বসে।]
রীপাঃ দাদা, দাদী আর আমি।
নাজিরঃ তোমার বাবা মা?
রীপাঃ মইরা গেছে।
নাজিরঃ ওহ। সরি।
রীপাঃ ওই যে আমার দাদা আসতেছে। [এই বলে রীপা বরসীটা টেনে তুলে গোছাতে থাকে।]
দাদা সামনে এসে দাঁড়ায়। একটু বিরক্ত নিয়ে রীপাকে বলে-
দাদাঃ কিরে তোর কি আক্কেল নাই? রোগা মানুষটারে ফেলাইয়া এখানে একলা একলা বইসা মাছ ধরছ?
রীপাঃ যাইতাছি। হগল সময় তো ঘরের ভিত্তেই থাকি। বাইরে কি আমি আর যাইতে পারি। একটু বাইরঅইছি আর বুইরাডা কি করতাছে।
দাদাঃ [একবার নাজিরের দিকে তাকিয়ে।] ভাই কে আপনি?
নাজিরঃ না …… মানে …… আসলে.. আমি ঢাকা থেকে এসেছি।
দাদাঃ কার বাড়িতে আসছেন?
নাজিরঃ কারও বাড়িতে না। আমি আসলে ঘুড়তে এসেছি।
দাদাঃ ও… আচ্ছা আচ্ছা…. [রীপার দিকে তাকিয়ে] রীপা তুই বাড়িতে যা। আমি আইতাছি।
[রীপা এক দৌড় দিয়ে নদীর পাড়ে উঠে যায়। তারপর ধীরে ধীরে এক সময় চোখের সীমানায় হারিয়ে যায়।]
loading...
loading...
এই পর্বেরও চিত্রায়ণ দারুণ হয়েছে মি. ফেনা। গুড লাক নেক্সট এপিসোড।
loading...
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মুরুব্বী।
কিন্তু আমি হতাশ যে শব্দনীড়ে কোন নাটকের ক্যাটাগরি নেই।
loading...
শিল্পসংস্কৃতি বিভাগটি বেছে নিতে পারেন।
loading...
দ্বিতীয় পাঠ পড়লাম কবি। বী কন্টিনিউ …
loading...
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ৩য় পর্ব ইনশাল্লাহ আগামীকাল আসবে।
loading...
এক্সাইটেড এরিয়ায় এসে শেষ হলো। আগামীকাল ৩য় পর্ব পড়ো আশা করি।
loading...
অনেক ধন্যবাদ।
জি জনাব আগামীকাল পরের পর্ব দিব।
ভাল থাকবেন।
loading...
ছোট নাটিকা জমিয়ে তুলেছেন মনে হচ্ছে। অভিনন্দন দাদা।
loading...
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
সাথে থাকুন।
loading...
হুম। ছোট আকারে হওয়ায় ভালো হয়েছে। সহজে পড়ে নেয়া যাচ্ছে।
loading...
আপনাদের ভাল লাগায় আমার সার্থকতা।
ভাল থাকুন সবসময়।
loading...
বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।আপনি ভালো লিখেন।
loading...