১ ২ ৩ এভাবে ৪৬ বছর…
তুমি নেই…
আজ ১৩ ডিসেম্বর…
আজকের দিনে স্বাধীন মাতৃভূমির স্বপ্নে বিভোর হয়ে সম্মুখ লড়াইয়ে…
সেই যে হারালে… ফিরলে না কখনই
২৭ ডিসেম্বর এলে দুই বছর হবে, তোমার জননী তোমার পথ চেয়ে ক্লান্ত হয়ে পরপারে… তুমি আসো নি।
তোমার দুটো ছবি, এসএসসির সনদ আর অমিল স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে আছে তোমার ভাই বোনেরা।
///শহীদ আশরাফুল ইসলাম ফজলুঃ
মহাদেবপুর উপজেলার বাগাচাড়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ৬মে, ১৯৫৩ইং সালে শহীদ আশরাফুল ইসলাম ফজলু’র জন্ম। পিতা. মৃত আছির উদ্দীন, মাতা. আয়েশা খাতুন। পিতার কর্মস্থলের সুবাদে সৈয়দপুরের জি.আর.পি কলোনীতে তাঁর বেড়ে উঠা। ১৯৬৯ইং সালে সৈয়দপুর কয়ানিজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন। চার ভাই ও দুইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ডানপিঠে ছিলেন। সাহিত্য, সংস্কৃতিতে ছিলো তাঁর অগাধ বিচরণ। নিজে গান, নাটক লিখতেন। মঞ্চ নাটকের সাথেও জড়িত ছিলেন। তৎকালীন কায়দে আজম সরকারী কলেজ সৈয়দপুর, অধ্যয়নরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তার মুক্তিযোদ্ধা নম্বরঃ এফ.এফ-১০৭৫ (ভারত)। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ইয়্যুথ ক্যাম্প ও মধুপুর শিলিগুড়িতে। ৭নং সেক্টরে তৎকালীন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন লেঃ কর্ণেল নুরুজ্জামান। শহীদ আশরাফুল ইসলাম মধুপুর ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনী নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দী ভাষায় পারদর্শি ছিলেন। সেই সূত্রে ভারতে মুক্তিযোদ্ধাদের তহবিল গঠন করার জন্য সংস্কৃতি কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ব্যক্তি জীবনে সৎ ও নির্ভীক ছিলেন। বদলগাছী, রাঙ্গামাটি, সাপাহার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সম্মূখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাত্র ৩দিন আগে সাপাহারের আগ্রাদ্বিগুন নামক স্থানে সম্মূখ যুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভোরে হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।///
**কংকালসার তামাটে দেহ
শক্ত চোয়াল তীক্ষ্ম চাহনি
নগ্নপায়ে রক্তবর্ণ চোখে,
স্টেনগান হাতে। হঠাৎ শব্দে-
মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনে
ট্রিগার টেনে ধরে।
উম্মাদটাও মেতে উঠে
প্রতিশোধের নেশায়,
স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবার
-দৃঢ় প্রত্যয়ে।**
ভাল থেকো তুমি স্বর্গ সুখে… এখনো আমরা তোমার সমাধীর সন্ধানে…
loading...
loading...
ভাল থেকো তুমি স্বর্গ সুখে… এ ছাড়া আমাদের আর কিই বা চাওয়ার আছে।
loading...
শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করি।
loading...