'সপ্তক' ও 'কালবেলা' – হায়াৎ মামুদ... শেষ ভাগ

স্বপ্ন ও সময়: ‘সপ্তক’ ও ‘কালবেলা’ – হায়াৎ মামুদ… ১ম ভাগ।
স্বপ্ন ও সময়: ‘সপ্তক’ ও ‘কালবেলা’ – হায়াৎ মামুদ… ২য় ভাগ।

‘সপ্তক’ বেরিয়েছিল তো এভাবেই। সপ্তক নামে সাত জন। কারা তারা? দলিলে লেখাপড়া করে তো কিছু হয়নি। এই সপ্তকের কিছু ছিল আড়ালে, জনা কয়েক সামনে। সামনের লোকগুলোকে তো দেখতেই পাচ্ছি: জ্যোতিপ্রকাশ, সেবাব্রত, হুমায়ুন, হায়াৎ। বাকি ত্রিমূর্তি, তারা কি? এইখানে মনে ধন্দ লাগছে। শফিক খান যিনি তাঁর প্রেস থেকে বিনি পয়সায় ছাপিয়ে দিতেন, পরে ‘কণ্ঠস্বর’ও ছাপিয়েছেন, এখন খুব বড়ো কর্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, অদ্যাবধি পূর্ববত্‍ ভালোবাসেন আমাকে- তিনি কি ছিলেন এই দলে? নাকি লিখতেন না বলে তাকে আমরা ধরিনি আমাদের মধ্যে? দেবুদা, সেবাব্রত চৌধুরীর জ্যেষ্ঠভ্রাতা, যিনি কবিতা লিখতেন, গল্পও লিখতেন, বিলেতের বাসিন্দা গত প্রায় তিরিশ বছর ধরে, সেখানে বসেই বছর দেড়েক-দুয়েক পূর্বে প্রকাশ করেছেন কাব্যগ্রন্থ, তিনি কি ছিলেন হিসেবের ভিতরে?

‘সপ্তক’-এর প্রথম সংখ্যায় দেবুদার কবিতা ছাপানো হয়েছিল। আর গোত্রভুক্ত কি ছিলেন আল মাহমুদ বা শহীদ কাদরী? হলে আল মাহমুদ হওয়ারই কথা। তখন আমরা সকলেই সকলের খুব কাছাকাছি ছিলাম। পরে দূরত্ব বেড়েছে। জীবনের রাস্তা একেকজনের একেক দিকে বাঁক নিয়েছে। কাদরী, আল মাহমুদ, আমি, জ্যোতি রাত বারটা একটা পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া স্টেশনে আড্ডা দিচ্ছি- এমন দৃশ্য এখনও চোখে লেগে আছে। এমনি আরেকটা ছবি সেলিমাবাদ রেস্টুরেন্টে আল মাহমুদকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন। কাউকে ঐ রেস্তোঁরার চেহারা স্বভাব বলে বোঝানো যাবে না। ওয়েটারের সঙ্গে ভাব জমাতে পারলে বিনে পয়সায় খেয়ে চলে আসা যেতো। কারণ কাউন্টারে বসে থাকা মালিকের পক্ষে খদ্দেরের আসা-যাওয়ায় নজর রাখা অসম্ভব ছিলো, খদ্দেরের ভিড় এতখানিই ছিলো।

মাত্র ৩২টি পৃষ্ঠা সম্বল করে ‘সপ্তক’ বেরোয় সমকালীন সাহিত্য সংকলন হিসেবে। মাস মনে নেই, সাল ১৯৬৩। পিছন মলাটে মুদ্রিত হয়েছিল এইসব কথা। সমকালীন তরুণ সাহিত্যিকদের কবিতা, গল্প ও সাহিত্য চিন্তামূলক রচনার সংকলন সপ্তক। সপ্তকের প্রথম পুস্তিকায় সেবাব্রত চৌধুরী, হায়াৎ মামুদ, শহীদ কাদরী, দেবব্রত চৌধুরী, আল মাহমুদ এবং জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সাম্প্রতিক সৃজনীচেতনার নিদর্শন গ্রন্থিত। সম্পাদক হিসেবে কারও নাম ছাপা হয়নি। জ্যোতিপ্রকাশ লিখেছিলেন গল্প: ‘আরো কয়েকটি পুতুল’। সেবাব্রতের কবিতা ছাড়াও ছাপা হয়েছিল ‘মতান্তর’ নামে গদ্য রচনা যেখানে ঐ প্রথম পুস্তিকাতেই গ্রন্থিত রচনাসমূহের নিরিখে লেখক চরিত্র বুঝে নেয়ার চেষ্টা ছিলো। ‘সপ্তক’ পরের সংখ্যা বেরোয় সমকালীন সাহিত্য সংকলন দ্বিতীয় পুস্তিকা হিসেবে আগস্ট ১৯৬৩-তে। প্রচ্ছদের ছবি এঁকেছিলেন চট্টগ্রামের আশীষ চৌধুরী, স্বশিক্ষিত চিত্রী ছিলেন চিত্রকর স্বপন চৌধুরী ও সংগীত শিল্পী তপন চৌধুরীর বড় ভাই।
এ সংখ্যাটি আয়তনে বড় ছিল, ৮০ পৃষ্ঠার এবং কবিতা ব্যাতিরেকে গল্প ছিল জ্যোতির, আলী আনোয়ার লরেন্স ডারেল বিষয়ে একটি রচনা লিখেছিলেন উমর হাবিব ছদ্মনামে ‘মতান্তর’ শিরোনামে। আর আল মাহমুদ লিখেছিলেন সেবাব্রত চৌধুরীর প্রথম সদ্যপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘স্বদেশ আমাকে নিসর্গ’ নিয়ে আলোচনা। নতুন মুখ ছিলো এ কজন- মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মনজুরে মওলা, জিয়া হায়দার, উমর হাবিব। পূর্ববর্তী সংখ্যার ন্যায় এ সংখ্যার দাম রাখা হয়েছিলো এক টাকা।

আর তৃতীয় সংখ্যাটি ছিলো ‘সপ্তক’-এর শেষ সংখ্যা: সমকালীন সাহিত্য সংকলন, তৃতীয় পুস্তিকা, বিশেষ গল্প সংখ্যা। জুলাই ১৯৬৪ তে বেরুলেও মুদ্রণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো তেষট্টির শেষেই। কিন্তু ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার সূত্র ধরে পূর্ব বঙ্গেও তুমুল দাঙ্গা বাঁধিয়ে তুললো উর্দুভাষা জনগোষ্ঠী-ডিসেম্বরের (১৯৬৩) শেষ থেকে জানুয়ারির (১৯৬৪) প্রথম দিক পর্যন্ত। এর অভিঘাতে আমাদের জীবনের সব সুস্থিরতা তছনছ হয়ে গিয়েছিলো।
অবস্থা শান্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সময় লেগেছিলো। এই জটিলতার ফলে পত্রিকা ছেপে বের করতে দেরি হয়েছিলো। দেরীর কারণে আমার অবশ্য লাভ হয়েছিলো। দাঙ্গার পটভূমিতে লেখা গল্প দেয়া সম্ভব হয়েছিলো। এই শেষ সংখ্যায় গল্প লিখেছিলেন দেবব্রত চৌধুরী, শওকত আলী, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, সেবাব্রত চৌধুরী, হায়াৎ মামুদ ও হুমায়ুন চৌধুরী।

আমার স্থির ধারণা এ রকমের যে, আল মাহমুদ প্রথম ভালোভাবে সকলের নজর কাড়েন ‘সপ্তক’-এ প্রকাশিত হওয়ার পরে। ঘটনাটি সন্দেহ নেই, কাকতালীয়। কারণ তিনি পূর্বেও এদিক-ওদিক লিখেছেন। কিন্তু ‘সপ্তক’ বিশেষভাবে সকলের লক্ষ্যযোগ্য হয়ে উঠেছিলো। তার যে ঠিক কারণ কী, তা বলতে পারবো না। তবে আন্দাজ করতে পারি। কারণ হলো তরুণেরা নিজেদের লেখা নিজেরাই যোগারযন্তর করে একটি কাগজ বের করেছে এবং প্রবীণদের কারও কোনো লিখা নেয়নি। প্রবীণ তো ছিলেন অনেকেই।
‘সমকাল’ নিয়মিতভাবে বেরুচ্ছে কত আগে থেকে। তার একটি শিথিল লেখকগোষ্ঠীও ছিলো। ‘পরিক্রম’ বেরুচ্ছিল লেখক সংঘের কাগজ হিসেবে। ‘পূবালী’ ছিল, নিয়মিত মাসিক। এ রকম আরো দুই-চারটে। কিন্তু এই সাহস বা দুঃসাহসকে কেউ কুনজরে দেখেননি, স্পর্ধা মনে করেননি। সকলের মধ্যেই এক ধরনের মমতার বাঁধন ছিলো। লেখক- শিল্পী- কবি- সাহিত্যিক সংখ্যায় তখন কত জনই বা। সকলে সকলকে চিনতেন, জানতেন। মনের ছাঁচ ছিল গ্রামীণ। সামন্ততান্ত্রিক অনাগর।
১৯৬৩-র জানুয়ারীতে ‘সপ্তক’ বেরিয়েছিলো। আকারে যথেষ্ট চটি, এখন হলে কেউ ছুঁয়ে দেখতো না। আমরা সবাই কিন্তু ঐ কাগজটার দৌলতেই আর অখ্যাত থাকলাম না।

মনে রাখা দরকার, ‘সপ্তক’ ছিল বাংলাদেশের তখনকার পূর্বপাকিস্তানের প্রথম লিটল ম্যাগাজিন যাতে গল্প- কবিতা- প্রবন্ধ আলোচনা সবই ছাপা হতো। শামসুর রাহমান ও ফজল শাহাবুদ্দিন তারও পূর্বে ‘কবিকণ্ঠ’ বের করেছিলেন। ১৩৬২-র ২৫শে বৈশাখ কিন্তু সেটি ছিলো শুধুই কবিতার লিটল ম্যাগাজিন। আবদুল্লাহ্ আবু সায়ীদ সম্পাদিত ‘কণ্ঠস্বর’ বেরোয় ১৯৬৪-র শেষ দিকে কি ১৯৬৫ সালের প্রথমার্ধে কোন সময়ে। এ দুয়ের মধ্যবর্তী কালে প্রকাশিত হয়েছিলো ‘স্বাক্ষর’৷ সম্পাদক হিসেবে প্রথম সংখ্যায় কারো নাম ছাপা হয়েছিলো আজ মনে পড়ে না। তবে বৃত্তের কেন্দ্র শক্তি ছিলেন প্রশান্ত ঘোষাল, মুন্সীগঞ্জের ছেলে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র, গল্প লিখতেন; অনন্তকাল হলো সাহিত্যজগতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সাংবাদিকতায় এখনও লেগে আছেন ইত্তেফাকে।
‘সাম্প্রতিক’ প্রকাশ করেছিলেন কবি সিকদার আমিনুল হক ও সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম বেদু মিলে। যদি আয়ুষ্কাল বিবেচনায় আনি তবে সবচেয়ে ক্ষীণায়ূ ছিল ‘সপ্তক’। তারপর ‘স্বাক্ষর’। দুটোকেই শিশুমৃত্যুর পর্যায়ে ফেলা চলে। কিশোর বয়সে মারা যায় ‘সাম্প্রতিক’, শৈশব ও বাল্য পার হয়ে এসে। আর বৃদ্ধ বয়সে স্বাভাবিক মৃত্যু ‘কণ্ঠস্বরে’র। জ্যোতি ও আমি পরে ‘কালবেলা’ বের করি। ‘সপ্তক’ এর আসর ভেঙে যাওয়ার অনেক পরে। ‘কালবেলা’র প্রথম সংখ্যা হারিয়ে ফেলেছি। ‘সপ্তক’ অনেকের ভাবনা ও শ্রমের যৌথ ফসল ছিলো বলে সম্পাদনা দায়িত্বে কারোরই নাম ছাপা হয়নি। কিন্তু ‘কালবেলা’য় হল জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও হায়াৎ মামুদ সম্পাদিত।

জ্যোতির প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘দুর্বিনীত কাল’ ততদিনে বেরিয়ে গেছে। আমার কোন বই বেরোয়নি। ‘কালবেলা’র দ্বিতীয় সংখ্যার তারিখ (এপ্রিল ১৯৬৬) আর সম্পাদকদের নিবেদন অংশ পড়ে হিসেব করে দেখতে পাচ্ছি প্রথম পুস্তিকা মানে ১ম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৫-র সম্ভবত অক্টোবর মাসে। দ্বিতীয় পুস্তিকায় বলা হয়েছিল সাম্প্রতিক কবিতার অনিয়মিত সংকলন কিন্তু তৃতীয় পুস্তিকায় দেখতে পাচ্ছি ঘোষণা করা হয়েছে সাহিত্য ও শিল্প বিষয়ক সাম্প্রতিক রচনাবলীর সংকলন। বেরিয়েছিল ১৯৬৭-র ফেব্রুয়ারিতে। এই সর্বশেষ সংখ্যাটিতে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ আলোচনা সবই ছিল। বয়ঃপ্রবীণ থেকে নবীন সকলকেই স্থান দেয়া হয়েছিলো। এক প্রান্তে সৈয়দ আলী আহসান, সিকান্দার আবু জাফর তো অন্য প্রান্তে মহাদেব সাহা, আবুল হাসান।
দ্বিজেন শর্মা লিখেছিলেন বিজ্ঞান ও অপচয়িত ধী আর করুণাময় গোস্বামী গান নিয়ে কণ্ঠ- সংগীতে রসস্বরূপ। গল্প ছিল শওকত আলী, হাসান আজিজুল হক ও জ্যোতিপ্রকাশের। হায়াৎ মামুদের ছিল নব্য ভাবনা।

এবার একটা বিষয় মনে হয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন। সেটি আর কিছুই নয়, এই কথাটা বলা যে; ‘সপ্তক- স্বাক্ষর- সাম্প্রতিক- কণ্ঠস্বর’ মূলত একটিই পত্রিকা ছিল। অর্থাৎ যেসব মানুষজন এদের পিছনে ছিলেন তাঁরা প্রায় সমচিন্তারই লোক সবাই, একসঙ্গে মিলে একটা মাত্র কাগজকে (নাম তার যাই হোক) ঘিরে জোট বাঁধতেই পারতেন। তবে, সেটা ঘটে ওঠেনি, এই যা। এর পশ্চাৎপটে কোনো বৈরীতা, প্রতিযোগিতা, মতাদর্শগত (শিক্ষা বা সংস্কৃতি সংক্রান্ত) ভিন্নতা কাজ করেছিলো বলে আমার মনে হয় না।

মানুষগুলো কমবেশি এখনও ঢাকাতেই রয়ে গেছি, এখনও দেখা-সাক্ষাৎ হয় কম- বেশি, শোকে- দুঃখে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। বয়স বাড়ায়, জীবন ও জীবিকার তাগিদ ও দাবিতে, এখন বরং দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেই বয়সে তেমন ছিলো না। অন্তত আমার গণনায় তা বলে না। তবে, ঈর্ষার অস্তিত্ব ছিল না এমনও হয়তো নয়। সে তো হতেই পারে। ঈর্ষার যে কারণ থাকবেই এমনও তো নয়। কিন্তু তার পরিমাণ বা তীব্রতা এরকম কখনও হয়নি যে, সকলের সামাজিক বন্ধুত্ব সম্পর্ককে বিপন্ন করে তুলতে পারে।

এবং যোগ-বিয়োগ করে এখন বুঝি কেনো ‘কণ্ঠস্বর’ সবচেয়ে বেশিদিন টিকেছিলো। প্রধান কারণ সম্পাদকের চরিত্র বৈশিষ্ট্য। আবদুল্লাহ্ আবু সায়ীদ নিঃসন্দেহে আমাদের সকলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্থিতিস্থাপক, সাংগঠনিক, প্রসন্নচিত্ত খুঁতখুঁতে মানুষ ছিলেন। তবে, আমার বিচারে ‘কণ্ঠস্বর’ পরে ছোট কাগজের (লিট্ল্ ম্যাগ) চরিত্র থেকে সরে এসেছিলো। আর, ‘সপ্তক’ ভেঙেছিল দৈব দুর্বিপাকে। প্রধান কারণ ছিলো, যা কেউ জানে না, ১৯৬৪-র দাঙ্গা। শেষ সংখ্যা বেরোয় দাঙ্গা থেমে গেলে। আমার ‘অবিনাশের মৃত্যু’ গল্প তাতে ছাপা হয়। গল্পকার না হওয়া সত্ত্বেও প্রায় রাতারাতি বিখ্যাত হই ঐ গল্পের জোরে। কারফিউ তোলার পর প্রথম যেদিন প্লেন চলল সেবুকে সবাই মিলে উড়োজাহাজে চড়িয়ে দিয়ে এলাম। চাকরি বাকরির টানে এদিক-ওদিক ছিটকে পড়লাম। মনের ভেতরের সুরটা একেবারেই আর আগের মতো থাকলো না।

আর এখন? কিছুই আর আগের মতো নেই। প্রতিটি দিন একটা থেকে আর একটা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সেসব দিন মনে হয় কোন পূর্ব জন্মের।

স্বপ্ন ও সময় : ‘সপ্তক’ ও ‘কালবেলা’ – হায়াত্‍ মামুদ। Munshigonj.com

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

কোন মন্তব্য নেই

মন্তব্য বন্ধ আছে।