চারিদিকে জল যার সে আর কোথায় যাবে এই
অবেলায়, শ্রাবণের নিরুক্ত সন্ধ্যায় ? নিঃশ্বাসের
মত নিঃশব্দ, নির্জন পায়ে কারা যেন, জেনে নেই,
প্রতি রাতে এসে হানা দেয় পৌরাণিক বিশ্বাসের।
মন্দিরে মন্দিরে ! তবু একদিন শেষ সাহসের
কনিষ্ঠ আঙুল ধরে ও- পাড়ার ধ্রুপদী যুবক
কৌতূহলের কামড়ে সুন্দর, দুর্বোধ্য সিন্দুকের
নিভৃত অন্তরে উঁকি দিয়ে দেখেছিল কুরুবক।
ফুলের পাঁপড়ি মেলে দেবার নিমগ্ন ইতিহাস
আর আরক্ত রহস্য ভূতগ্রস্ত বোধের বিদ্যুতে
এবং বিস্ময়ে। রক্তকণিকার তুমুল সন্ত্রাস
বিপুল ধ্বসিয়ে দেয় সংবিধান। অচ্যুতে- অচ্ছুতে।
এক পাত্রে পান করে কোজাগরী রাত্রির গোপন
নির্যাস। শিল্পের মত অনিন্দিত, অব্যর্থ মুখোশে
নিজেকে আড়াল করে সন্তর্পণে জানি না কখন
আমিও চেয়েছি দেখে নিতে জীবনে জীবন ঘষে।
একান্তে জ্বালান যায় কি না নতুন আগুন কিছু
পুরোনো এ- পৃথিবীর সম্মোহনী সুড়ঙ্গের আর্দ্র
আবহাওয়ার বিপক্ষে। কিন্তু আঁকা- বাঁকা- উঁচু- নীচু
পথ পাড়ি দিয়ে পরিণামে দেখি মাঘ নয়, ভাদ্র।
বিশাল শীতল থাবা রৌদ্রদগ্ধ প্রাঙ্গনে প্রাঙ্গনে
ব্যাকুল বিস্তার করে আছে। বর্গী লুটেরার দল
লুটে নেয় ঐতিহ্যের তোরঙ্গ। প্রমার আবাহনে
আমার মননে শুধু ফণা তোলে নঞর্থক জল।
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই