উজ্জ্বল আঁধারের উপাখ্যান
তোমাকে মুখস্থ করে নিয়েছি।
না দেখেও বলে দিতে পারি
অনামিকার জড়ুল, গলার ডানপাশের তিল আর
কপালে ফুটে থাকা জন্ম-চিহ্নের উপাখ্যান।
বাতাসের গোপন কোঁচড় থেকে
অনায়াসে নিতে পারি তুলে
তোমার বৈশাখী-ঝড়, শ্রাবণের ঘ্রাণ।
আঁধারে প্রদীপ ঢেকে পেরুতে পারি
রাতের গোলাপ ক্ষেত,অন্দরমহল,
তোমার অরণ্যভূমি, মহুয়ার বন।
উজ্জ্বল আঁধারে এসো, কী হবে আলো দিয়ে আর!
তোমাকে মুখস্থ করে নিয়েছি।
কী এসে যায়, থাকলো কি না থাকলো
জ্যোতির্ময়ী চোখেরা আমার!
ছোটবেলায় কলাপাতার ছাউনি আর বেড়া দিয়ে খেলাঘর বানাতাম। সেই ঘরে পুতুল-কন্যা আর পুতুল-পুত্র থাকতো, আমি তাদের মা। পুতুলের বিয়েতে রান্না হতো পিঁপড়ের মাটির পোলাও , কচুরিপানার মাছ, কলাপাতার ডাটির গরুর মাংস, কাদা মাটির হরেক রকম পিঠা আর জামরুল ফুলের সেমাই। যা ইচ্ছে তাই দিয়ে সেখানে পৃথিবীর দুর্লভতম খাবারটিও রান্না করা যেতো। সেই খেলা ঘরে ছিলো না কোনো বেঁধে দেওয়া নিয়ম, ছিলো না বাধ্য-বাধকতা। ছিলো কেবল “যেমন ইচ্ছে সাজাবার” অপার স্বাধীনতা। যতই দিন গেলো, বড় হলাম, আমার খেলাঘর-আমার পুতুলেরা-পিঁপড়ের মাটির পোলাও চাল ক্রমশঃ দূরে সরে গলো। এক সময় খেলাঘর হারিয়েই গেলো। কিন্তু এই বড় আমি-র ভেতরে লুকিয়ে রয়ে গেলো সেই ছোট আমি। তার ছোট হৃদয় এখনও খুঁজে ফেরে খেলাঘরের প্রশান্তি। সময় বদলের সাথে বদলেছে খেলাঘরের সকল উপকরণও। ব্লগ আমার খেলাঘর। এখানে আমি খুঁজতে আসি আমার বিবর্তিত ছেলেবেলা আর ইচ্ছের স্বাধীনতা। … প্রিয় ব্লগার আফরোজা হক। আজ তাঁর শুভ জন্মদিনে জানাই প্রিয় অভিনন্দন।
জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ হোক ব্লগিং।
ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।
loading...
loading...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
loading...