সেদিন দু’জনে জ্যোৎস্না দেখতে গিয়েছিলাম
মেঠোপথ ছাড়িয়ে যেখানে উদাস
বন শুরু হয়েছে সেখানে।
রূপোলি থালার মতো চাঁদ উঠলো
মনে পড়লো কি ভীষণ
রোম্যান্টিক ছিলো ছেলেবেলা;
এরকম জ্যোৎস্নায় ছুটোছুটি করে
কেটেছে খেলার ক্ষণ গুলো।
বনের ভেতরই মাথা উঁচু করে
দাঁড়ালো শৈশবের গ্রাম
পাশে বয়ে যাওয়া পদ্মা।
বনের প্রান্ত থেকে যেন একদল
হরিণী নেমে এলো-
সেই হরিণীদের একজন শৈশবের সঙ্গিনী।
বন তখন মাতাল জ্যোৎস্নায়
বুঁদ হয়ে আছে
মনে পড়লো ওর কোমল স্নিগ্ধ
স্পর্শ নেয়ার কথা।
শৈশব কৈশোর আর যৌবন
পিঠাপিঠি তিন সময়
কি দুর্দান্ত, এই ভরা জ্যোৎস্নার মতো
প্লাবিত করে সমস্ত কিছু।
আমি জানি আমার বলা হবেনা কিছুই।
আমি জানি কখনো হবার নয়,
তারপরেও যদি কখনো কোনো চাঁদনী রাতে আমার কথা মনে পড়ে-
তাহলে ওই খোলা আকাশের দিকে চেয়ে দেখো;
দেখবে তোমার মাথার উপর ছোট তারা হয়ে জ্বলজ্বল করে জ্বলছি।
কিম্বা কোন এক শীতের সকালে যদি আমার কথা মনে পড়ে-
তাহলে তোমার পদতলের ওই দূর্বা ঘাসের দিকে চেয়ে দেখো;
দেখবে দূর্বা ঘাসের আগায় শিশির বিন্দু হয়ে ভাসছি।
আজকের কথা কোনদিনই আর মনে থাকবে না তোমার,
তবু তুলতুলে ওই দুটি হাতের ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে
তোমার জন্য কেনা তোমার জীবনের প্রথম ডায়েরির
প্রথম পাতায় লিখে দিয়ে গেলাম আমার অভিব্যক্তি।
যদি আর কখনো সময় না পাই …
… কথা গুলোন আমার পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে
অপূর্ব আজাদ পার্থক্য‘র উদ্দেশে লিখা।
সবাই চলে যাবে
আবার সবাই একদিন ফিরেও আসবে।
এই নীল জ্যোৎস্নায় …
ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই