হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড এর লিখা। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ সাহিত্য থেকে।
খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে প্যাপিরাসে লিখে যাওয়া আলেকজান্দ্রিয়া তথা মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার গাওয়া মিশরের আদিবাসী রাজ্যহারা ফারাও বংশধর হারমাচিস এর উদ্দেশে একটি গান …।
মনে করো কোন এক সাগরে ভাসছি আমরা রাতে
হৃদয় ছিঁড়ে বেরুতে চায় অতুলনীয় এক সুর যাতে
ফিসফিস করে কথা বলতে পারি আমি তোমার সাথে।
মেঘ ভেবে ভুল করে ঠাঁই নেয় বাতাস আমার চুলে;
তুমি ঠাঁই নাও আমার বুকে, জানিনা সজ্ঞানে কি ভুলে,
হায়! যদি থেমে যেত রাতটা, যদি চড়াত সময়কে কেউ শূলে!
তারা গুলোতে প্রতিধ্বনিত হয় কার গানের সুর?
তোমার হৃদয়ের আবেগ আর আমার ভালোবাসায় বিমূঢ়
ভাগ্যকে ভুলে আমরা কি পারি না যেতে বহুদূর?
তাকাও প্রিয়, চিনে নাও আমাদের গন্তব্যের ওই তারকারাজি,
নাকি দু’হাত পেতে চাও চাঁদের প্রাচীন আলোর কারসাজি?
নিশ্চুপ থেকো না, সব সূর্যের দোহাই, আমার জানতে হবে আজই।
পায়ের নীচে এই সাগর রোষে ধেয়ে চলে তীরের পানে,
আর আমি দেখি তোমার হৃদয় নতজানু হয়ে সসম্মানে
কুর্ণিশ করে আমায়। বলে, আমার হৃদয় কি মিথ্যে জানে?
নিষ্ঠুর মরণের কিনারায় আমাদের অসহায় বসবাস,
একবার নিয়তি, আরেকবার লোকলজ্জা ছাড়ে বিষ নিঃশ্বাস;
কি লাভ সংযমে? চলো, বুক ভরে নেই যৌবনের নিষিদ্ধ সুবাস।
জানিনা কোন ধাতুতে গড়া তোমার আবেগহীন ওই মন,
অথচ প্রেমের বিষ শুষে নিয়ে আমার আত্মা সর্বদা করে টনটন;
নিষ্ঠুর, কাছে এসে আঁকো আমার ঠোঁটে অনন্ত চুম্বন।
গান না গাও অনন্ত করো গুনগুন, আমি আসি তোমার কাছে
কিসের ভয় তোমার? তাকিয়ে দেখো আর কেউ কি আছে?
শুনবে না কেউ, জানবেনা; অপবাদ দেবে না পাছে।
মাংসল দেহকে একদিন খাবে সময়, কিন্তু জীবন হবে না শেষ,
অনন্তের পানে যাত্রা শুরুর আগে একবার করো মনোনিবেশ
নিজের সত্তায়। কামনা জাগায় কি সেখানে এই গানের আবেশ?
আসুন। ভালো মন্দ যেটাই হোক লাইক চর্চ্চা অব্যহত রাখি।
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই