ছবি : নেট থেকে
প্রিয় বন্ধু,
আমি আসলে জ্ঞানগর্ভ কাহিনী লিখে গদ্য ফাঁদতে শিখিনি। সে ক্ষমতা আমার নেই। কোন কিছুর গভীরে চলে গেলে, নিজেকে ফেরাতে পারিনা। মনে যে যুক্তিটা গ্রহনযোগ্য মনে হয়, অনায়াসে লিখে ফেলি। তবুও আমার মতো অর্বাচীনের লিখা তুমি ধৈর্য্য ধরে পড়ো, আমি আনন্দিত।
লিখার শুরুতে ওপরের বিষয়গুলোনে দৃকপাত এই জন্য করলাম যে – যে কোন সভ্য মানুষ মাত্রই দিন শুরুতে নিজের অবয়ব দেখে নেন কাছের যে কোন আয়নায় যাতে নিজ সম্বল নিয়ে সতর্ক থাকেন। চরিত্র চক্র থেকে সহসা বেড়িয়ে আসা কারুরি সহজ নয়। চরিত চক্র যদি হয় বৃত্ত, আমরা সবাই সেই বৃত্ত খাঁচায় নিত্য ছোটায় ব্যস্ত গিনিপিগ। অদৃশ্য স্রষ্টা সে ঘরে ছক এঁকে দিয়েছেন শিল্পী সুলভ তুলির ছোঁয়ায়, আমরা সবাই নির্বোধের মত একেকটা ছকে ঢুকি আর সেটাকেই ভাগ্য মনে করে মেনে নেই। বোধকরি ভাষা রসিক জনেরা এ কারণেই অকারণে বলেন, মানুষ মরে গেলে সার হয় আর বেঁচে থাকলে বদলায়। প্রতিদিনের অদল বদলের চক্র পৃষ্ঠায় আমি আমরা সবাই।
দিগন্তের ঠিক কোথায় সাগর আর আকাশ মিলিত হয়েছে
চিহ্নিত করা সম্ভব নয় তা,
তবে দিগন্তরেখার উপরে বা নিচে তাকিয়ে
যে কেউ বলতে পারবে এখানে আর ওখানে সাগর।
সাগর আকাশের চেয়ে বেশী গাঢ়!
জীবন বরাবরই সাগরের মতো।
যখন নিথর, শান্ত, অবসাদ মুক্ত বুঝে নিতে হয়-
এই বুঝি সময় হলো
এলোমেলো হবার পালা।
একঘেঁয়েমীর সূত্র কোথায়!
এটাইতো অজানা।
যদি জানতাম যত অসাধ্য আর শব্দের অভাব থাকনা,
অন্তত আর কাউকে না হলেও তোমাকে জানাতাম।
একঘেঁয়েমী মানসিক ব্যাধি।
মগজের টিস্যু গুলোন যখন ভীষন উত্তেজিত
তখনই হই ব্যাকুল,
আশ্রয় পেতে চাই অপরিচিত পরিবেশে।
ব্যাধির ব্যথায় অসচেতন
তারা না বুঝনেওয়ালাদের দলে,
প্রায়শঃ থাকেন বিমর্ষ, অমনোযোগী।
এই আমারই মত।
শেষে শ্রী রবী ঠাকুর স্বরে বলি…
গোধূলী।
আমি বলি- ধূলি।
ধূলি আমার একলা ধূলি।
সে আমাকে আদর করিয়া বলে-সখা।
হয়তো কোন একদিন চিঠির শেষে কবিতা লিখিবে-
“ধরণীর যেথা যাও তুমি সখা; তব চরণ যাবে ধূলি চুমিয়া।”
ইতি।
বন্ধু।
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই