গিয়াছো কি দূর পরবাসে কখনো কি – পড়িছে মনে তারে কোনদিন কোন মাসে। একদা সারাটিক্ষণ যে ছিলো তবপাশে বিটপীর পত্রকের মতো ছায়া করে সে ছিলো তোমার সাথে সাথে। ঈষদারক্ত বেদনা তোমার সূর্য আলোকচ্ছটায় পুড়িবার – কালিরেখা যে ছায়ার – মতো সর্বক্ষণে। ললাট তোমার – উজ্জ্বল শ্যামল। বর্ষার পানির মতো স্বেদশ্রুতি যেন ঝরেছিলো ঝরঝর। আবার কখনো তব দুলেছিলো অলকাবলী ঈষৎ সমীরে তাকিয়ে থেকেছি কত সেথা পাণে আমি রে। তাহা পাণে চাহি যে পরিস্ফুট স্মিত বদনও আহারে ফুটেছিলো ক্ষণে তব ঐ বদনেতে রে। ঈষৎ কৃষ্ণ ভাঙ্গাভাঙ্গা ওষ্ঠাধরে হাসির রেখা করেছিলো যে রাশি রাশি সর্বক্ষণে। সুবন্কিম পল্লব রেখা ঐ নেত্র তোমার মদন রসে টলটলায়মান যৌবন আবার চলেছিলো খুঁজি সর্বক্ষণ আহার, মুখকান্তিতে অনির্বচনীয় – ফুটেছিলো শোভার বাহার। তাহা যে আমি আর দেখিতে না পাই কাহারে এখন তুমি ঐ রূপ দেখাইতেছো হায় ভাবিয়া সারা হই তাই। আসিবে তুমি দিবে দেখা দেখিবো গোলাপ কান্তি শোভা স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি এইটুকুই সর্বক্ষণ যে স্মরি।
( আমি কবি নই। শখের বশে সময় করে চেষ্টা করি মাত্র। আজকের চেষ্টাটি সামান্য ভিন্ন। যা সম্ভবত আমার আমি’র সাথে যায়না। পিছন ফিরে দেখার চেষ্টা ছাড়া ভিন্ন কোন উদ্দেশ্য আমার নেই। পাঠক আমি ক্ষমাপ্রার্থী। )
loading...
loading...
কোন মন্তব্য নেই