পথিক ও পরাণপর্ব
কতটা পথ হাঁটলে হওয়া যায় পথিক! কতটুকু ভূমি
পেলে নির্মাণ করা যায় একটি সড়ক, তা ভেবে আমি,
কখনোই পথে দাঁঁড়াই’নি। বরং কয়েকটি হাসনা-হেনার
ডাল রুয়ে রেখেছি, পথের দু’পাশে। কেউ এসে
নেবে সেই সুবাস।
অথবা কেউ পাঠ করবে মমিচিত্র, মনচিত্র, মানচিত্র
এমন আরাধনায় সাজিয়েছি ভোর, সেরেছি
পরাণপর্বের পঞ্চম সুরবীক্ষণ।
মানুষেরা অনেক কণ্ঠধ্বনিই শোনে না,
মানুষেরা অনেক চিত্রের আদলেই আঁকতে
পারে না নিজস্ব অবয়ব, তা জেনেই
হাত বাড়িয়েছি মানুষের দিকে-
পৃথিবীর সকল পাথরকে সাক্ষী রেখে।
#
ভাসমান যমুনার মুখ
আমাদের রাত্রিকলায় সংরক্ষণ করে রেখেছি নিরংকুশ নদীদের
জীবন। স্রোতের দেখা পেলে মিশিয়ে দেবো আমূল নগ্নতা,
ভূমিতে-শেকড়ে-স্বপ্নের প্রতিটি বিভায়। একটি ভ্রূণের বৃত্তান্ত
লিখে জানিয়ে যাবো জন্মসংক্রান্তির আদি উন্মীলণ। কারা দেখবে
ভাসমান যমুনার মুখ, কারা পাবে পাপড়ির প্রাণপরিধান – সবই
নির্ধারণ করে লিখে যাবো লাভাপৃথিবীর পৃথক ভূগোল। আপাতত:
উৎপাদিত অগ্নিগিরির অনলে-
নিজেদের মুখ দেখে ভেসে যাবো বেদেদের বাহারি জলে।
#
ভুলে যাওয়া উষ্ণতার গান
আর কোনও দিন বৃষ্টি এসে আমাদের ডাকবে না তাদের কাফেলায়।
বলবে না- চলো সমুদ্র দেখে আসি। দেখে আসি পাখিদের সংসার, আর
লাঙল কাঁধে যে পিতামহ প্রত্যুষে ছুটে চলতেন মাটির টানে-তার পদছাপ।
আর কোনও দিন আমাদের ডাক দেবে না কোনও প্রতিবেশী আগুন।
বলবে না- উষ্ণতা নেবে, উষ্ণতা ! সওদাপাতি কিনতে না পেরে যে
অভিমানী পিতা খালি হাতে বাজার থেকে ফিরে যান, দেখবে তার হাত!
অথবা যে মা- সাবালিকা কন্যার দায় মাথায় নিয়ে ঘুরেন পথ থেকে
পথে, আমাদের ডাকবে না সেই পথও। বলবে না- দ্যাখো মানুষ,
তোমরা ভুলে যাচ্ছো অনেক কিছুই। ভুলে যাচ্ছো- তোমাদেরও একদিন
আয়ু ছিল। অরম্ভ ছিল। এখন এই যে তোমরা বেঁচে আছো, তা কিন্তু
মূলত আয়ুহীন। আরম্ভহীন। আরাধনাহীন। শিকলঘেরা বালাখানায়।
loading...
loading...
ভুলে যাচ্ছো- তোমাদেরও একদিন
আয়ু ছিল। অরম্ভ ছিল। এখন এই যে তোমরা বেঁচে আছো, তা কিন্তু
মূলত আয়ুহীন। আরম্ভহীন। আরাধনাহীন। শিকলঘেরা বালাখানায়।
loading...
চমৎকার লিখেছেন, কবি। শুভকামনা থাকলো।
loading...
লিখতাম মন্তব্য, হয়ে গেলো জবাব! শোধরে নিবেন দাদা।
loading...
চমৎকার উপস্থাপন। কবির জন্য শুভকামনা থাকলো।
loading...