ছাপতন্ত্র
তোমার চোখের দিকে তাকালেই আমি জেনে যাই
আমার সীমাবদ্ধতা। জেনে যাই, বোশেখ আসার আগেই
এই নগরে নামবে ঝড়। বিদায়ী চৈত্রের তাণ্ডবরেখা
উড়িয়ে নেবে আমার দারিদ্র, দীনতা, দু’খের দরজা,
কেবল জানালাটি তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে
আর বলবে তুমি কি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে চাও
কবি! আরও কিছুদিন হতে চাও বেদনার ছায়া বিক্রেতা!
আমি কেবলই পসরাহীন বানিজ্যের সওদাগর হয়ে
ঘাটে ঘাটে ভিড়িয়েছি আমার ডিঙা। কোনো রেখা
রেখে যাবো না জেনেই, রোদের গলায় পরিয়েছি
বাসন্তী মালা, লিখেছি এমন ছাপতন্ত্র- যেখানে কেউ
কখনো খুঁজে পাবে না আমার
একান্ত গমনদৃশ্য।
::
শিকলের শ্রেণীবিন্যাস
লুট হয়ে যায় আমাদের রাজকোষ। যারা জুয়া খেলে
ব্যাংকক, ম্যানিলা,ওয়াশিংটনে- তারা জানে কোথা থেকে,
এসেছে পুঁজি। হ্যকিং সভ্যতার মন্দিরা বাজিয়ে
যারা সারারাত করেছিল মদ্যপান, তারাও ছাড়ে
হুক্কা হুয়া আওয়াজ।
তবে কি শিয়াল তাড়াবার কৌশল ভুলে গেছে
মানুষ ! চৌকি কেঁপে উঠলে “ভূমিকম্প”-“ভূমিকম্প”
বলে দৌড়ে বাইরে বেরুতো যারা,
তারাও এখন হয়ে পড়েছে ঘরকুনো !
বৈষম্যের ব্যাধি নিয়ে কুঁকড়ে উঠছে যে শিশু-
তাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে একজুড়ো
চকচকে কালোজুতো।
::
loading...
loading...
কোনো রেখা
রেখে যাবো না জেনেই, রোদের গলায় পরিয়েছি
বাসন্তী মালা, লিখেছি এমন ছাপতন্ত্র- যেখানে কেউ
কখনো খুঁজে পাবে না আমার
একান্ত গমনদৃশ্য।
loading...
ভালো লাগলো কবিতা দুটো। কবির জন্য শুভকামনা থাকলো।
loading...