সাত
ননীবালা উঠোনে ব’সে খেজুরপাতার পাটি বুনতে বুনতে ঘরের দিকে মুখ বাড়াল : ও ভাই, ও দিদি, গলার আওয়াজ পাচ্ছি না যে? না পড়লি কিন্তু চাকরি পাবা না, বাকরি পাবা না, শেষে মস্সোবাসার মুখ্যু জামাই হয়ে থাকতি হবে।
শুধু মহেশ্বরবাসা কেন, ননীবালার আমলে পুব-পাকিস্তানে অনেক পুরুষই স্কুল কী বস্তু চিনত না। তো, এক বিয়েবাড়ির বাসররাতে কনের বান্ধবীরা বরের পড়াশুনোর পরীক্ষা নেবে ঠিক করল। একটা পোস্টকার্ড এনে তার হাতে দিয়ে বলল, সইয়ের কাকা বিয়েতে আসতে না পেরে এই চিঠিখানা লিখেছে। আমরা মুখ্যু অবলা নারী, একটু যদি পড়ে শোনান।
জামাইয়ের বিদ্যে না থাক, বুদ্ধিতে সে মহামতি আকবর। পোস্টকার্ডটা নেড়ে-চেড়ে আবার মেয়েদের হাতে ফেরত দিয়ে বলল, কী আর পড়ব, সবই মায়াদয়ার কথা!
চাঁদের মা এমন হাসিয়ে গল্প ক’রে শাসনবার্তা দিতে পারে না। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোয় ঢিলে ভাব আসে — স্কুলের ছুটি, সরস্বতীপুজো, নতুন ক্লাসে ওঠা, রামযাত্রা, সার্কাস… আর ততই সে “না পড়লি খাবি কী? জোন-খাটার মুরোদও তো নেই” ব’লে বাচ্চাদের আত্মায় আতঙ্ক গুঁজে দেয়। যেন পণ্ডিতবাড়িতে একটা যজ্ঞই চালু থাকবে — পুস্তকহোম; স্কুলের মার্কশিটই মানুষের আত্মপরিচয় হবে।
পাঁচ ভাইবোনের শরীরে তাই স্মৃতি ছাড়া কোনও শক্তি নেই; এমন সব ছত্রপতি চেহারা, ইলশেগুঁড়ির সঙ্গেও লড়ে জিততে পারে না। তাদের বাবা জানলা থেকে এসব লক্ষ করে পরীক্ষার খাতা দেখতে দেখতে। এর মধ্যেই তুড়ুক ক’রে কিশমিশ ঘরে ঢুকলে থিন বিস্কুট চারভাগ ক’রে এক টুকরো ছুঁড়ে দিল। ছেলেমেয়ের বেড়ালপ্রীতি নির্মলকে খুশি রেখেছে। কুকুরপোষা মানুষের অনেক দাবী পোষ্যের কাছে — বশম্বদ হও, নিরাপত্তা দাও, চোরডাকাত ধরো; কিন্তু যে বেড়ালকে বুকে টেনে নেয়, তার তাকত আছে কিছু পাওয়ার আশা না ক’রেই ভালোবাসার।
এসব ঘটনার মাঝখানে তর্বোরে-কে দেখা গেল — ফোকলা দাঁতে তড়বড় ক’রে কথা বলা সদাবিরক্ত এক ভগ্নদূত। হাড়-সম্বল শরীরে শায়াব্লাউজহীন একখানা কোরা কাপড় জড়িয়ে খালি পায়ে খরখর ক’রে পাড়া টহল দিয়ে বেড়ায়। নিমতিতা কলোনির সমস্ত ভালো খবর তুমি যেমন সুধার মুখে পাও, দুঃসংবাদপত্র এই তর্বোরে।
— চারপেয়ে নিয়ে আর আদিখ্যেতা করবেন না, মাস্টারমশাই। অ্যাহোনি দেহে আসলাম বিড়েলের হাঁচোড় খায়ে মোন্সাবাড়ির ছোটো ছেলেডা অজ্ঞান!
আট
চার বছরের বাচ্চা দুলুকে শুইয়ে রাখা হয়েছে মনসাভিটের বারান্দায়। তর্বোরের বাসি খবরে দুটো ভুল — অজ্ঞান নয়, সে মারা গেছে। বেড়ালদংশিতও হয়নি, বোড়া সাপের কামড় খেয়েছে মানিক দাসের ছেলে।
ঘটনার পুনর্নির্মাণ এভাবে করা যায় :
মানিকের বাড়ির পেছনে দাঁতনগাছ আর জার্মানিলতার ঘন ঝোপ; সকালে বাড়ির মেয়েরা সংসারে ব্যস্ত হলে দুলু তার ম্যাও বেড়ালকে নিয়ে সেই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে শুকনো ডোবা পেরিয়ে অশথের থানের দিকে যাচ্ছে। গাছটার কোটরে বৌদ্ধ সময়ের কষ্টিপাথরে গড়া এক যক্ষমূর্তি এমনভাবে ঝুরি আর শেকড়ের গরাদে আটকানো যে মূর্তিচোর আজও তুলে নিয়ে যেতে পারেনি। গ্রামের লোক তাতে শিবজ্ঞানে ফুল বেলপাতা চড়িয়ে থাকে। তো, এই রাস্তাতেই এক তাল গোবরের মতো পড়ে থাকা চন্দ্রবোড়ার ঘাড়ে দুলুর পা পড়ল, দুলুকে ছোবল মেরে গোড়ালি পেঁচিয়ে ধরল সাপটা, ম্যাও হাঁচড়ে-কামড়ে সরাল তাকে। অবোধ শিশু সেই অবস্থায় ঘুরতে থাকল জঙ্গলে, কুল কুড়িয়ে খেল। তারপর যখন স্নায়ু বিকল হয়ে আসছে, বাড়ি ফিরে গড়িয়ে পড়ল উঠোনে।
মনসাতলার সামনের রাস্তায় ভিড়ে মিশে দাঁড়িয়েছিল সঞ্জু, আর শক্ত ক’রে দাদার হাত ধ’রে চাঁদ। বাঁশের চটায় ঘেরা ছোট গরীব মন্দিরে চারটে আবছা নাগেশ্বরী প্রতিমা দেখা যায়, মূর্তির চেয়েও ভয়ানক লাগে মাথা ঘিরে জ্যোতিশ্চক্রের মতো সাপের ফণাগুলো। মানিক দাসের বাড়িতে দুটো ভিন্ন স্রোত পাশাপাশি বইছিল — দুলুর মা মৃতদেহের পাশে উপুড়, বাড়ির মেয়েদের কুক দিয়ে মরনকান্না; এদিকে দুই ছেলে উঠোনে আসন গোছাচ্ছে, বাজারে ছুটছে; শোক কম, প্রতিজ্ঞা বেশি তাদের চোখেমুখে। আর পাড়ার মহিলাদের মাথায় চাঁদ সদাগরের আখ্যান — সাপে কাটলে ছ’দিন পর্যন্ত প্রাণ থাকে। স্বয়ং মায়ের জাগ্রত থান যে-বাড়িতে, পদ্মাবতী তাদের সন্তানেরই প্রাণ হরণ করবেন, হয় নাকি? এ-সবই দেবীর লীলা, তিনি ভক্তের পরিক্ষে নিচ্ছেন।
তখন মানিকের বড় ছেলে শিবুর সঙ্গে ঝোলা কাঁধে দুজন বেঁটে বলশালী মানুষ ঢুকল বাড়িতে। জুতো খুলে উঠে গেল মনসামণ্ডপে, ওসমান নামের লোকটা মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলল জমায়েতকে, আর সুলেমান দুলুর শরীরের ওপর ঝুঁকে পড়ে তার বুকে চাপ দিল হাতের তালু দিয়ে। ফুস ক’রে শ্বাস বেরিয়ে এল কি নাক থেকে, গলায় হালকা গোঙানি শোনা গেল? দুলুর মা “আমার দুলদুল বাঁইচে আছে! আমি কোইছিলাম না” ব’লে শিশুর শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে গেলে তাকে একহাতে আটকে গলা চড়াল সুলেমান, “বাচ্চাকে সুস্তু ক’রে দেব, তিন দিন টাইম লাগবে”। প্রচুর হৈচৈ শুরু হল এর ফলে, দেবীকৃপাধন্য মানিক দাস ফেরেশতাজ্ঞানে ওঝার পা জড়িয়ে ধরল। এগিয়ে এল নিমতিতা কলোনির আপনি-মাতব্বর বলরাম, “সাওয়ালডারে যদি বাঁচাতি পারেন, আপনাগো নামে বেদী বানায় দেয়া হবে”।
ধূপধুনো, এক বালতি জল, ভাঙা নিমডাল, কাচের বাটিতে পাতিলেবু আর হাতপাখা — ছয় পদে সাজানো উঠোন। দুলুর শরীর নামিয়ে পূর্বাস্য ক’রে শোয়ানো হলে শীতের সন্ধেয় ঝপঝপিয়ে বালতির জল বাচ্চার গায়ে ঢেলে দিল সুলেমান। গা মুছিয়ে পায়ের ক্ষতয় ভালো ক’রে মলমপট্টি করল দুই ওঝা; মা পদ্মাবতীর নাম নিয়ে হাঁটুর ওপরে ধুলো-বাঁধন দিল। এবার আসনে ব’সে হাতে তুলল নিমডাল :
তিরপুনিয়ে তিরপুনিয়ে সঙ্গে ব’সে কান্দে রে
আও সখী বাও বন চৌষতি যাব না…
সঞ্জু বুঝতে পারে না এটা কোন ভাষা। একটা লাইন ধরতে গিয়ে পরেরটা মিস হয় :
উরবোড়া উরবোড়া, আরেক জায়গায় খাইয়ে মরা
চৌসবা মারবো লাত্থি, গায়ে হবে শব্দ, মুখে বিষ পাতাল ধায়…
মানিক দাস ওসমান-সুলেমানের ঠিক মুখোমুখি উবু হয়ে হাতজোড় ব’সে, যেন তারই বিষ ঝাড়ানো চলছে :
গ্যাল ফেলতে গেল নিয়া খেড়কা নদীর পার
গ্যাল ফেলতে গ্যাল ফেলতে ছিঁড়ল গলার হার
ওসমান এবার জিগ্যেস করছে :
ওরে ওরে ডোংকোর শোংকোর ভাই
কী সে সাপ কামড়াইল কও দেখি মোর ঠাঁই?
সুলেমান উত্তর দিল :
বিদ্যাপতি মরোলা পাইট্যা আছে যার
চল্লিশ কোটি বোড়ার বিষ শিব দিল সে
আবার দুজনে একসঙ্গে :
কোন কোন বোড়া, এর বোড়া শিব বোড়া
কোইয়া জিকুরিয়া চক্করিয়া কাদুরিয়া মান্ডলিয়া
সদাই উড়ে পড়ে রক্তে তোলপাড় করে
মানুষ-গোরু যে যেখানে পায়
ফুঁ দিয়া উড়িয়া তার গা’য়
দুজনে হামাগুড়ি দিয়ে দুলুর কাছে পৌঁছে নিমডালের ঝাপটা মারে তাকে :
ছাপ্পান্ন কোটি বোড়া বিষ যে নালে আসিয়াছিস
সেই নালে যা-গা রে বিষ
বিষে বিষহরি আইগ্যা
নাই বিষ মা পদ্মা, নাই
ভিড় থেকে নাগমাতার নামে জোকার উঠলে মানিক ও তার বউ আভূমি প্রণাম করে।
এবার হাতে তালি দিয়ে গান শুরু। কপালে অ্যাত্তো বড় গোলা সিঁদুরের টিপ একটা বউ কুলোর ওপর মনসার ঘট বসিয়ে কলোনির বাড়ি-বাড়ি সিধে তুলে বেড়াত। সঞ্জুর তাই চেনা লাগল কথাগুলো :
বন্দিলাম বন্দিলাম মাগো যন্ত্রে দিয়া ঘা
অবধান করো মা গো জগৎগৌরী মা
হংস বাহনে বন্দম দেবী পদ্মাবতী
অষ্টনাগ সহিত মা এসো শীঘ্রগতি
এবার “ওগো মা, পুরাও মনের বাসনা” ব’লে ধুয়ো টানল দুই ওঝা, গলা মেলাল পাড়ার সবাই।
নয়
বাকি পদ লিখতে পারছি না, মায়া এসে সঞ্জু-চাঁদকে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে গেছে। কিন্তু খবর তো ঘনত্বহীন তরল, অণুছিদ্র পেলেই চুঁইয়ে পড়ে। শোনা গেল, রাতে কলকাতায় ফিরে পরের দিন দুপুর-দুপুর এসে দুই ওঝা আবার লেগেছে বিষ নামানোর কাজে। কী আশ্চর্য, আস্তে আস্তে শুকনো কাঠ হয়ে যাওয়া শরীর নরম হচ্ছে, চোখের পাতা অল্প ফাঁক হল দুলুর, হাতের মুঠো খুলে গেল তার একটু পরে — ততক্ষণে চোঁয়ানো জলে ভিজে গোটা নিবাধুই গ্রাম ভেঙে পড়েছে মনসাবাড়িতে। শেষে দুলু পেছছাপ ক’রে দিতেই আত্মবিশ্বাসী জনতা জয়ধ্বনি দিল বিষহরার নামে।
ছেলেটাকে মণ্ডপের ভেতরে রেখে গায়ে কাঁথা চাপা দিয়ে দুই ওঝা বিদায় নিচ্ছে আজকের মতো — কাল ভোরে রোগি চোখ মেলবে, এক কাপ গরম দুধ যেন প্রস্তুত থাকে। কিন্তু পরের দিন থেকে আর মুখ দেখাল না ওসমান-সুলেমান, না জাগল দুলদুল। উলটে তার ছোট্ট উদর ফুলে ঢোল, সারা গায়ে চাকা-চাকা কালো দাগ, ভক করে দুর্গন্ধ নাকে আসছে মন্দিরের দরজা খুললেই। তর্বোরে আবার “ও দিদি, শুনিছেন” ডাক দিয়ে চাঁদের বাড়িতে।
— সত্য, তেতা, দ্বাপর পার হয়ে কলিতি আইছি। চাদ্দিক পাপে পরিপুন্নো। এ-যুগি জ্যান্ত মানুষ মরে যায়, তার মরা বাঁচবে কী ক’রে!
তারপর গলা নামিয়ে — মান্কে মনে হয় পাগোল হয়ে যাবেনে।
এগারো
“শালার মোনোশা” বলতে বলতে মন্দিরের মধ্যে একবার ক’রে ঢুকছে মানিক দাস আর এক একটা প্রতিমা তুলে এনে উঠোনে আছাড় মারছে। মূর্তির মুকুট খুলে গড়াচ্ছে মাটিতে, ধড় থেকে মুন্ডু খ’সে গোঁজের লাঠি বেরিয়ে পড়ছে। কখনও পতনের ধাক্কায় দেবীর বুক দুই স্তনের মাঝখান দিয়ে ফেটে গিয়ে হাঁ ক’রে পড়ল ভেতরের খড়মাটি। শোনা গেল, ওঝাদের খোঁজ নিতে শিবু কলকাতার রাজাবাজারে গিয়েছিল, সেখানে দুই জোচ্চোর তাকে মেরেধ’রে টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে ভাগিয়ে দিয়েছে।
কাঁচাখেগো দেব্তাদের পুজো করতে যারা ডরায় — পাছে আচারবিচারে ভুল হয়ে দেবীর কোপদৃষ্টিতে পড়ে — ঈশ্বরহত্যায় মেতে ওঠা লোকটাকে দেখে তারা সরে যাচ্ছিল। হঠাৎ মানিকের হাত থেকে পাকা কলার মতো সাপের ফণার এক সজ্জা মাটিতে সবেগে প’ড়ে এদিক-ওদিক ঠিকরে গেল, আর পেছনে কাঠি গোঁজা একটা ফণা, যার মুখে দুটো লোহার তার চেরা-জিভের অনুকরণে বসানো, ছিটকে এসে অবিকল ছোবলের মতো ফুটে গেল চাঁদের পায়ের আঙুলে। মুহূর্তের ঘবরাহট আর ব্যাথায় কেঁদে উঠেছে সে। তখনই পেছন থেকে কারও রোগা উষ্ণ করতল “কিচ্ছু হয়নি” শব্দের সঙ্গে মিশে তার পায়ের পাতাটা মুঠোয় তুলে নিল, যেন সোনার গয়না মুড়ে রাখা হল সিল্কের কাপড়ে। আহ, যে বাবা সর্বত্র অনুপস্থিত, ফতুয়ার ওপর ধুতির খুঁট জড়িয়ে কখন কলোনির রাস্তায় ছেলের গা ঘেঁষে এসে দাঁড়িয়েছে!
পরমব্রহ্ম কারও দায়িত্ব নেন না, আগে থেকেই হাত তুলে দিয়েছেন, তাই নির্বিষ তাত্ত্বিক ছাড়া তিনি শত্রুহীন। কিন্তু লৌকিক দেবতার বেলায় যদি ভক্ত মরে, তবে ভগবানেরও ছাড়ানকাটান নেই। সাপ ঘুরছে বনেবাদাড়ে, বেড়াল পাবে রাস্তায়, জঙ্গল নিশ্চিত বাঘস্থান, তাছাড়া গরমে ঘরে ঘরে ভেদবমি আর মারু বেহাগ তো নয়, মারী বসন্ত। মানুষের সঙ্গে একই সংসারে একই প্রকৃতিতে বাস করছেন দেবতারা, দুধটা-কলাটা নিচ্ছেন গরীবের, তাই বিশ্বাসঘাতকতা করলে ফল ভুগতে তো হবেই। ছেলে নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে নির্মল এসব ভাবে। ব্রহ্মের সাধনা হল অর্থনীতির মূলসূত্র মুখস্থ করার মতো, তাতে চাকরিতে মাইনে বাড়বে না। কলকাতায় খাদ্য আন্দোলনের মিছিলে পা মেলানো মানুষ যেমন সরকারকে ভোট দিয়েও অভুক্ত থাকে, মানিক দাসও সেভাবে নিজেকে প্রতারিত মনে করছে। এটা কবিতার বিষয় হতে পারে, না প্রবন্ধের — নির্মল সহসা ঠিক করে উঠতে পারল না।
(আরও আছে)
loading...
loading...
অসামান্য এবং অসাধারণ পরিশ্রমী লিখা। এমন লিখায় সম্যক জ্ঞান এবং যথেষ্ঠ তথ্য উপাত্তের প্রয়োজন পরে, যা কিনা সুপাঠক মাত্রই অনুধাবন করতে পারবে।
শুভেচ্ছা প্রিয় লিখক।
loading...