শপথের শব্দগুলো শুনে হেসে উঠে কুমিরের দল।
”আমি ফকির সালাহউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াস এই মর্মে
শপথ করিতেছি যে ………………. ”
বলার পর পরই থমকে উঠে আমার কণ্ঠ। কাঁটাবিদ্ধ
হরিণের গলা কিংবা ধনুকবিদ্ধ পাখির ডানা এর আগেও
স্পর্শ করেছে আমার হাড়।আমার দেহের পরাজিত লৌহকণিকা
আমাকে জানিয়েছে,নদীর প্রতিটি বাঁকেই গড়ে উঠেছে
প্রতারকের ফাঁদ।যে ফাঁদে আটকা পড়েছে অগণিত বিবেক।
আর দুষ্ট শিকারীরা সেই দৃশ্য দেখে হেসেছে বহুবার।
এর আগে কতবার আমি পাঠ করেছি শপথবাক্য অথবা
কতটি শপথানুষ্ঠানের পুষ্প বর্ষিত হয়েছে আমার মাথার উপর,
তার পরিসংখ্যান খুঁজার চেষ্টা করি।
” শপথ ভঙ্গ করা ধর্মীয়,নৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় অপরাধ— ”
নির্দেশবাণী আবারও আমার কানে বাজে।
ভাবতে চেষ্টা করি, হোয়াইট হাউসের সিঁড়ি স্পর্শ করার আগে
মহাত্মন প্রেসিডেন্ট বারাক হোসেন ওবামা যে শপথবাক্য
পাঠ করেছিলেন—
কেমন ছিল সে দিনটি। কেমন ছিল সেদিন ওয়াশিংটনের আকাশ।
আমি জানি, শপথবাক্য যদিও খুন কিংবা গুমের স্বীকৃতি দেয় না—
তবুও সেই বাক্য পাঠ করার পরও কারো কারো হাত
রক্তে রঞ্জিত হয়।
আমি জানি, শপথবাক্য পাঠ করার পরও রাষ্ট্রের কাছে দোষী
সাব্যস্থ হন না ঘুষখোর বিচারক।
কিংবা যে সৈনিক শপথ পড়েছিল তার স্বদেশের নামে— সে ও
নেতৃত্ব দেয় অবৈধ রাহাজানির।
আমরা কি তবে শপথবিহীন আদিম পৃথিবীর কাছে ফিরে যাচ্ছি !
আমরা কি তবে উচ্চারণ করছি আমাদের ভুল নাম !
মানুষের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠে বানরের দল।
এবং হিস্যাপর্ব ভুলে গিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে,
আমরাই আমাদের অঙ্গীকার রক্ষা করি—
মানুষেরা করে না।
loading...
loading...
শপথবাক্য পাঠ করার পরও রাষ্ট্রের কাছে দোষী
সাব্যস্থ হন না ঘুষখোর বিচারক।
কিংবা যে সৈনিক শপথ পড়েছিল তার স্বদেশের নামে— সে ও
নেতৃত্ব দেয় অবৈধ রাহাজানির।
loading...
সুন্দর
loading...