মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হল রাগ,জেদ,ক্ষোভ কিংবা প্রতি হিংসা আর লোভ। কেউ যখন এই কর্মগুলোর আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে যায় তখন সেই মানুষ জগত জীবনের সবচাইতে কঠিন ও নির্দয় রূপ ধারণ করে। তার কাছে সত্য সকল সত্য মরীচিকা মনে হয়। আর তাই যা করছে সেটাকে সঠিক বলেই মনে করে। আর এই ব্যপারগুলো যে অত্যন্ত বিপদজনক ও জীবননাশকারি, নির্দয় পাষাণ রূপ ধারন কারী, কিম্বা অত্যন্ত বিবেকবর্জিত চিন্তা সেটা তার বিন্দুমাত্র অনুমেয় নয়।
এই সকল মিথ্যে দাম্ভিকতা তার মস্তিষ্কের নিউরনে গ্রথিত তবে এই ভুলটা সবাই সাথে সাথেই বুঝতে পারেনা কোন এক সময়ে সে মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে কিন্তু সেখানে আর কোনোভাবেই সংশোধনের কোন পথ থাকেনা। তখন যন্ত্রণা ক্ষোভ আফসোস ঘৃণা লজ্জা ছাড়া নিজের কাছে কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাই বলবো কোন কিছু ঘটার আগেই নিজেকে একা সময় দিন। ভাবতে থাকুন নিজের সাথে নিজের বুঝ পরামর্শ করুন প্রয়োজনে একে অন্যের সাথে বসুন বোঝাপড়া করুন মনে রাখবেন ঐ সমস্ত বিষয় বস্তু যদি আপনার মস্তিস্কের নিউরনে জায়গা করে রেখে দেয় তবে আপনি অবশ্যই ভুল মানুষ।
আপনার জীবনে যা কিছুই ঘটুক না কেন আপনার মধ্যে যে হিংসা বিদ্বেষ রয়েছে তা ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে অগ্রসর হওয়ার আগেই নিজেদের ভুলগুলো সামনাসামনি বসে সমাধান করে নেয়া অত্যন্ত শ্রেয় ও বুদ্ধিমানের কাজ। যা একজন দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে আপনাকে অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ বলেই পরিচয় বহন করিয়ে দেবে। কেউ যদি সেই ভুলটা বুঝতে নাও পারে তারপরেও যেকোনো একজনকে নত হয়ে সমাধান করুন যদি মনে করেন তাকে ছাড়া আপনার জীবন অসম্পূর্ণ। আর যখন ভাববেন সে মানুষটা কোনকিছুই ঋতু আজ করছে না শুধু ঘৃণায় ছড়াচ্ছে তবে মনে করবেন সেই মানুষটি আপনার জীবনে কিছুই নয় তার জন্য কোন অস্তিত্ব নেই আপনার মাঝে। তাকে আপনার মস্তিষ্ক থেকে চিন্তা চেতনা থেকে ঝেড়ে ফেলুন নয়তো আপনার জীবন আর কোনোভাবেই জীবন থাকবে না তা খুব দ্রুত অন্ধকারে পতিত হবে যেখান থেকে ফিরে আসার পথ অবরুদ্ধ।
তবে আমি আমার এনালাইসিসে জানতে পেরেছি এই মানুষদের কোন পরিবার নেই কোনো সংসার জগত নেই কোন সারওয়ানডিং নেই কোনো বন্ধু নেই কোন মিত্র নেই তবে অদূরদর্শি চিন্তা চেতনাবোধের অভাবে এরা সর্বদা শত্রুই জন্ম দেয়।
কোনভাবেই তারা তাদের জগৎ জীবনের জন্য ভালো কিছু করে যেতে পারে না। বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এরা মিষ্টভাষী হতে পারে প্রথমে তাদের আচার-আচরণে ব্যবহারে কখনোই বুঝতে পারবেন না যে তারা এ ধরনের কাজে নিযুক্ত রয়েছে কিন্তু সময় যত গড়িয়ে যাবে আপনি আপনার জায়গা থেকে তা পরিষ্কার দেখতে পাবেন। এদের মধ্যে কোন অনুশোচনাবোধ জন্মে না এরা হাইনা নেকড়ের চেয়েও ভয়ঙ্কর যা কিনা সুস্থ মানুষের সুস্থ জীবনের চিন্তা চেতনা বলে বিবেচিত হয় না।
এরা যদি একটু বিবেক বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে অনুভব করার চেষ্টা করত নিজে কি করছে তা ভাবার চেষ্টা করত জানার চেষ্টা করত বোঝার চেষ্টা করত তবে এরা কখনোই এ ধরনের ভুল কাজ করতে পারত না। অন্যায় করতে পারত না আর করতে পারত না বড় ধরনের প্রতারণা ধোকা জেদ ও ক্ষোভের বশে একজন মানুষের জীবন নাশ হয়ে যেতে পারে শেষ হয়ে যেতে পারে তার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যেতে পারে তার মূল্যবোধ শেষ হয়ে যেতে পারে পারিবারিক সামাজিক জীবন ব্যবস্থা। তবে এই ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার বলতে পারি এরা এই সবকিছুতে দূরদর্শী যদি হয়ে থাকে আর এটাকে তারা যদি এনজয় বলে ধরে নেয় তাহলে এরা রক্তপিপাসু জানোয়ারের চেয়েও নিকৃষ্ট। মানব সমাজে তাদের মানব হিসেবে পরিচয় দিলে অবশ্যই অন্যায় বলে গৃহীত হবে।
loading...
loading...
মানব সমাজে তাদের মানব হিসেবে পরিচয় দিলে অবশ্যই অন্যায় বলে গৃহীত হবে।
loading...
পড়ে ভালো লাগলো। অসাধারণ
loading...