দিদির নাম মল্লিকা ছিল না কিংবা
মল্লিকা-ই, নামের হেরফেরে ঘটনা বদলায় না
কাজল পড়া গাঁয়ের বধুর সৌভাগ্যটুকু
জোটেনি তার ভাগ্যে, দূর আকাশের
তারাও মনে রাখেনি, মুছে গেছে;
নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে আমাদের মল্লিকাদি।
এক চিলতে বারান্দার কোনে
ইজেলে এক মনে ছবি আঁকত দিদি।
নিজের জীবন ভাল করে বুঝে উঠার
আগেই ইজেলের মলিন ক্যানভাসে
সেঁটে গেল তার ছবি, সময়ের কষাঘাতে
মরে গেল ইজেলের রঙ। বিবর্ণ
কাঠ ক্ষয়ে ক্ষয়ে উনুনের আগুন হল;
পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করল মল্লিকাদির জীবন।
সাড়ে দশ খুব বেশি রাত নয়;
মফস্বল শহরের জন্য অবশ্য একটু বেশি।
শহরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা
আবৃত্তি শেষে একাই ফিরছিল। সাড়ে
বারোটায় ঘর থেকে উনপঞ্চাশ ফুট দূরত্বে
আহত অবস্থায় পাওয়া গেল, হাসপাতালে
ডাক্তার বলল ধর্ষিত। ভাল ঘরের মেয়ে
এত রাত বাইরে! প্রতিউত্তরে নিশ্চুপ
মুখ। ডুমুর গাছের ডালে মল্লিকাদি
যখন ঝুলছিল; হাফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম।
এখন রঙচঙ বড় শহরে থাকি। মফস্বল
ছেড়েছি কয়েকজন্ম আগে। পরিবারের
লজ্জা। মল্লিকা নামে আমাদের পরিবারে
কেউ ছিল না। আমার দিদির নাম মল্লিকা নয়।
তাকে আমরা ভুলিনি। মফস্বল ছাড়ার পূর্বে
ডুমুরের গাছ আমরা কেটে ফেলে ছিলাম।
loading...
loading...
এখন রঙচঙ বড় শহরে থাকি। মফস্বল
ছেড়েছি কয়েকজন্ম আগে। পরিবারের
লজ্জা। মল্লিকা নামে আমাদের পরিবারে
কেউ ছিল না। আমার দিদির নাম মল্লিকা নয়।
loading...