তুমি যদি আমার হৃদয়টা চাও
নিতে পারো…
এখানে পবিত্রতার ছুয়ে যাবে
রাত্রি রুপালি চাঁদ;
এখানে বিশ্বাস নিয়ে
কদাচিৎ রচনা করতে পারো
আরাধ্যতার প্রার্থনাগাঢ়;
আমি বহুকালের সোনালী বরফদ্বয়
সূর্যের তাপে রচনা করি তোমারই সৌন্দর্য
সূর্যের ঢ’লে পড়ায়
যে পিদিম রিফ্লেক করে
পশ্চিমের আকাশে জাজ্বল্যমান
একছত্র সোনালী মেঘ।
আমার অবয়ব জুড়ে রয়েছে
পৃথিবীর সৃষ্টি ও ধ্বংসের রহস্য
আমি সৃষ্টির প্রথম জীবাশ্ম
রেনু থেকে যেভাবে জেগে উঠেছি
বরং আজ তা আমাদের
শরীরের আঁকার;
এখানে
একটাই লাল গোলাপ
ফুটেছিল,
ভালোবাসার নিঃশ্বাস থেকে
অথচ একটি অন্ধকার
আর অবগুণ্ঠন রাত্রির মূর্ছিত লজ্জা
প্রলুব্ধকর জোসনাকে ঢেকে দিয়ে
গভীর সমুদ্রে নিক্ষেপ করে
জীবনের সব রঙ;
সব ভাবনা,
সব বাক্য একেকটি শব্দ
এই বিচ্ছিন্নতার স্বভাব রহস্যে ঢাকা!
অস্পষ্ট জীবনের শূন্যতা ছুঁয়ে
বিস্তৃত করেছে শুদ্ধতার পথ।
আমি এখন
নিরানন্দ গল্প ছাড়া কিছু নয়;
সকাল আর বিকেলের সমুদ্রের
বুকে, ছুটে চলা শঙ্খচিল
আমি এখন সাগরের ঝড়, বুঝি।
ঝড়ের পূর্বাভাস
আমাকে শিখিয়ে দেয়
সমুদ্রের শূন্যতা ও
অধিষ্ঠিত হওয়ার সময়।
তাই সবকিছু ছেড়ে
জীবনের নির্জনতায় নিজেকে
সঁপে দিয়ে কাছে নিয়েছিলাম
একেকটি বিদগ্ধ শূন্যতা…
যেখানে জীবনের কোন শুরু
আর প্রান্ত বেলা নেই, ছিলনা
তবুও কোথায় থেকে যেন
একটি জীবনের মোহর এসে হঠাৎ করেই
জেগে তুলল নতুন এক অস্তিত্বের কলরব।
যেখানে সুদূর হতে ভেসে আসা,আশা।
বিলীন থেকে উঠে আসা
প্রেমের উত্তাপ আবার নতুন করে
সঞ্চারিত করে নতুন কোন অস্তিত্ব
কিম্বা কোন শূন্যতার মাঝে
স্টার ফল! মনে হয়
কোনো এক নীহারিকার
সংকোচনে সৃষ্টি হয়েছে
নতুন একটি সভ্যতার।
এখানে নিয়মের কাঠখর পুড়ে
জীবনের রঙ বদলে
শুরু হয় নতুন অস্তিত্বের লেহন
নতুন একটি নক্ষত্র…
যা আমাদের কপাল ছুঁয়ে
চুম্বনের মতোই ঘুরতে থাকবে
যেখানে জন্ম নিবে নতুন সৌরমণ্ডল
যে স্বপ্নগুলো নীরব কাফনে
মোড়ানো ছিল দীর্ঘকাল
তা সোনালী স্মৃতির মাঝে আবার
জেগে উঠবে,
সভ্যতার এই অভূতপূর্ব অভ্যুদয়ে
যেখানে তুমি আর আমি
নিশিযাপন এর শেষ মুহূর্তটি ও
কখনোই হবে না সঙ্গীহীন।
তুমি যদি আমার হৃদয়টা চাও
নিতে পারো;
যেখানে তুমি মাথা রেখে
দিবসরজনী রচনা করবে’
সেটা তোমারি থাক
তুমি যদি আমার ভুবন চাও
নিতে পারো;
এখানে তো আমরা সবাইকে বাদে
নিজেদের করেছি অস্বীকার!
তবুও কখনো ফেরাতে পারিনি মুখ
চোখ বুজে যত কষ্টের চুমু
নিজেকে করেছে দহন
নিজেকে পুড়িয়ে আবার পড়েছে
কাফনের কাফন।
তবে কেন ভয় কেন সংশয়
তবে দ্বারাও জ্যোতিষ
একটু দিয়ে যাও মত
কোন মুল্লুকে গিয়ে শেষ হবে পথ।
আমিতো সময়ের আঁধার ঘেরে
বন্দী ছিলাম অনন্তকাল
আমাকে বলে যাও জীবনের মানে
বলে যাও সৌন্দর্যের মধুমিতা
যেন নতুন গৌরবে নিতে পারি
সৃষ্টির নতুন রহস্য
যেন নিতে পারি সময়ের উত্তাপে জ্বলে
উত্থাপিত জীবনের নতুন উদ্যান।
যেখানে ফুল ফুটবে
মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হবে
অস্তিত্বের সকল সত্য;
দুঃস্বাপনিক সময়ের সেই
বেড়াজাল ছিন্ন করে
আর দুর্বোধ্য সেই অন্ধকার ভেদ করে
উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হবে
আমাদের জগৎজ্যোতি।
তুমি আর আমি যেখানে আকারহীন
থেকে আকার দেবো
ভবিষ্যতের রুদ্রতাপে
রৌদ্রস্নাত সলোক বেলা।
loading...
loading...
কবি শামীম বখতিয়ার। আপনার প্রতিটি লিখা কবিতা বা আত্ম চারণে আমাদেরই যাপিত জীবনের ছবি উঠে আসে। কিছু শিক্ষা সেখানে পাই, কিছু অনুভূতি মিলিয়ে নিতে পারি।
loading...
চমৎকার বাক্যবিন্যাস
প্রাণবন্ত লাগলো খুবই
loading...