কিছু ছড়া আর অল্প কিছু পদ্য নিয়ে ‘হিরের স্বপ্ন চারকোলে’ – একটা তিন ফর্মার সংকলন করেছিলাম ২০১১ সালের শেষে। তার শুরুতে এই চতুর্পদী ছিল –
রাত যদিও মূর্ছিত
সকাল জন্ম তার কোলে
ভাঙা ডানায় উড়ছি তো
হিরের স্বপ্ন চারকোলে
আমার তখন ভাঙা-ডানা নয়, মূর্ছিত দশাই। সেই বইয়ের বড়জোর পাঁচ কপি বিলিয়েছি বন্ধুদের। বাকিটা পড়ে থেকে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
গত আট-ন’ বছরে আমার কবিতা লেখার ক্ষমতাও হাত ফসকে জলডুব, আর টলমলে জাহাজডেকে দাঁড়িয়ে সেই অনুত্তীর্ণ হাতে ধরার চেষ্টা করেছি উড়ন্ত কিছু ঠাট্টাতামাশা, ছড়াপদ্যের রুমালে জড়িয়ে। এরাই আমার হালকাপুলকা ছোটলেখকি। আজকে নতুন-পুরনো লেখা থেকে বেছে একটা ‘ছদ্য’ সংকলনের কাজ গুছিয়ে রাখলাম।
কারও আপত্তি থাকলে ‘ছোটলেখকি’-র বদলে বইয়ের নাম হতে পারে –
‘ভালো হইতে সাবধান’
সমস্ত গাছ রাজনৈতিক, মাথায় পেরেক পতাকার
পাঞ্জাবিরঙ দিচ্ছে ব’লে কে কোন গানের কথাকার
ভাবুক চোখে ছাত্র পড়ায়… কী যেন ‘বিশ্বাস’ ছিল?
‘বিদ্বেষী’ ওর হাল-পদবী, মনে মেঘের চাষ ছিল!
আঙুরথোকায় ভক্তি রেখে দেশের সেবায় যোগদান
ঢোল বাজছে : “আমিই ভালো”। ভালো হইতে সাবধান!
বাংলা মায়ের কাঙাল ছেলে তাও তো পেলে সান্ত্বনা
পঞ্চধাতুর বিদ্যেসাগর আছাড় খেলে ভাঙত না
আমরা সড়কছাপ, শুধু এই পথের স্লোগান দেবো:
হাওয়াগাড়ি হে, সাইকেলকে মানুষ ব’লে ভেবো।
loading...
loading...
বাহ্। অনেক সুন্দর; অন্তত আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগলো প্রিয় চন্দন দা।
loading...