নয়
তিনের পিঠে তিনটে চাঁদ নেমে গেছে। আমাকে ছাড়ো, ব্রাহ্মণ।
সবক’টা আঁতুড়ঘরে উঁকি দেবো, সাহায্য করো ঋষি শৌণকের তিনজন দেবতা।
পাঁচ বছর আরও বিরহভোগ, তারপর ঘোর ইশারায় সায়নাচার্য এক অট্টালিকাধাম হন
ভেতরে তাকিয়ে আমার যোগশ্বাস কেন রুদ্ধ হয়ে আসে, ভেবো তা
সেই চোখে কোমল শিউলির ভার, বিদ্যুতের ছিলা এক নাসা।
নতুন শ্রেণীতে আজ হেডমিস সবাইকে রোল নাম্বার বলছেন
— তোর নাইনটি টু, বি সেকশান; তুই একশো তিন, সি।
— আমারটা কত, মিস? দাঁড়িয়ে জিগেস করল সবচেয়ে ছোট উচ্চাশা
“তোমার তো মোট্টে এক!” ঠোঁট টিপে মুখ ফেরানো হাসি।
বিষাদ নেমেছে দেহে — যে বৈশিষ্ট্যে পরমায়ু-খ্যাত হ’লে;
চোখের গবলেটও ভরা কানায় কানায়? ওলে বাবা লে!
এমন দৃশ্যে “হায় ম্যায় মর জাওয়াঁ” বলতে ভালোবাসি
ছুটে গিয়ে হাত ধরব? “কাছে থাকতে এসেছি, আর অন্য শর্ত নেই
মনে করো তোমার সে-লেখা ঋক: উত স্যানঃ সরস্বতী ঘোরা হিরণ্যবর্তনী…”
মুখ ঘোরালো এবার, স্কুলের হলঘরে গত বছরের প্রতিমা
চোখ ফিরে যাচ্ছে ব্ল্যাকবোর্ডে …ব্রহ্মা বলেছিলেন: শোন, না শুনলে ক্ষতি, মা
ও থাকবে অন্ধ প্রেমিক, তুই নিষ্ক্রিয় তারা
কোনওদিন দৃষ্টি পেলে সামনে গিয়ে দাঁড়াস…
.
[গ্রন্থ : ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক (২০১৪)]
loading...
loading...
আপনার এই ধারাবাহিকের লিখা গুলোন আমি চেষ্টা করছি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। আমার কাছে বেশ লাগছে। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় চন্দন ভট্টাচার্য দা।
loading...