এক
এক দাঁড়ে পাশাপাশি আমি-প্রাণপাখি
আমার উন্মাদ হতে অল্প কিছু বাকি
বাইরে বসন্তশিলা, সরানো যাবে না
আলো তার ধর্ষক, অত্যাচারী সেনা
ডায়েরি নেয় না তবু থানা, মনোবিদ
আমার উন্মাদদশা কত দূরে, নবী?
দেখি আজ রাতে তুমি কোন স্বপ্ন দাও
নিজে আসো, না ভাড়ার মেয়েকে পাঠাও
নৈবেদ্য, তাঁতের শাড়ি, কাঁসায় পালিশ
ঝুরো ফুল, জলশঙ্খ, যেন ঘিষ নদী
সাদা বাতাসা কই গেল, প্যাকেট খোলোনি?
সবুজ সুহৃদ বাড়ি, পুরোনো কলোনি
ধূপশান্ত ঘরে আজ গড়প্রণাম রাখি
চন্দন উন্মাদ হতে চন্দ লমহে বাকি
আমারই পূজন, আর আমি বধ্য বলি
হাড়িকাঠ জন্ম — যেই দুভাগ অঞ্জলি
এবার পাগল হলে কত কাজ আছে
আকাশ ঘুরিয়ে আনা বাড়ির কানাচে
নস্ কেটে বাঁচিয়ে দি’ মৃত্যুসারিগান
আমার বিভোর টানে দেবী চমকে যান
সমস্ত পড়ার ভালো উন্মাদ-পাশ
সূর্য সানস্ক্রিন মেখে ভোলে রাহুগ্রাস
তবুও বলো তো তুমি ঢালতে পারো কি
যে সুধা বসুধা, তার অণুকণাটি?
যে গোঁজ তোমার পিছে বিচুলিপ্রতিমা
আজও ঝরে পড়ছে তার গলনমহিমা
তীর্থঘরে দরজা দিই, পুজোপাঠ সারা
নিজেই নিজের আমি অনন্ত পাহারা
ডান হাতে ছুরি ফোঁসে, বাঁহাতে ঠেকাই
‘পথে আছি’, ‘পৌঁছে গেছি’ আজন্ম দু’ভাই
দুই
প্রাণ বড় উল্কাদলা, আকাশ চেতনা
চেতনা থাকলে মা বাচ্চাকে খেত না
বেঁচে থাকা প্রতিদিন মৃত্যু-অন্তাক্ষরী
ব্যাঙের গোঁফের নীচে ঘুমোচ্ছে ফড়িং
মনের গাছটা ঝরা, টাক পড়েছে মনে
ভূলোকের দুঃখনাশ করিব কেমনে?
ভূলোক চুলোয়, খুঁজছি এসকেপ রুট
পাগলামি-মৃত্যুস্বাদমাখা ডালমুট
হাতে নিই, মুখে পুরবো, তক্ষুনি মেগ্যালো-
ম্যানিয়াক প্রজাপতি ধাঁধাঁ শুনিয়ে গেল
“কোন দেবী এসেছিল নাস্তিকের ঘরে?’
ঘাসের ভেতর জুনিপোকা নড়েচড়ে
ধাঁধাঁর পেছনে হেঁটে আকাশে দাঁড়াই
সুখ নেই, নাহি কোনও শোকেরও বালাই
মাগো শোনো, দিদা শুনছো? তিত্লি শুন না!
ফেড আউট করে যাচ্ছে আমার উন্মাদ…
.
[‘আমি আর প্লক্ষতরুণী’ কবিতার একটু অংশ। গ্রন্থ ‘ছোট পুষ্পবৃষ্টি হোক’]
loading...
loading...
"আজও ঝরে পড়ছে তার গলনমহিমা
তীর্থঘরে দরজা দিই, পুজোপাঠ সারা
নিজেই নিজের আমি অনন্ত পাহারা
ডান হাতে ছুরি ফোঁসে, বাঁহাতে ঠেকাই
‘পথে আছি’, ‘পৌঁছে গেছি’ আজন্ম দু’ভাই।"
loading...
দারুণ বিশ্লেষণমূলক লেখা
loading...