নদীর পাড়ে জেলে পাড়া আজকাল নীরব পড়ে থাকে,
একসময় সেখানে ছিলো চাঁদনী রাতের আলো।
এখন দিনেও সূর্যের আলোর দেখা মিলে না,
কয়েকটা মাত্র মনুষ্য বসতি ঘর, এখন যেন নীরব কবর।
বাড়ির সামনে বসে থাকা কুকুরটা, চোখ বুজে থাকে সারাটা প্রহর।
এইতো কিছু দিন আগেও যতীনের ঘর হতে ভেসে আসতো
এ,বি, সি কিংবা অ, আ, ই এর মিহি সুর।
যতীন বলে দাদাগো খাবার পাই না কেমনে পড়াই
মাইয়াটা, ঈশ্বর কেড়ে নিলো নদীর জোয়ার।
নেপাল বলে জাল ফেলতে পারি না নদীতে,
কি যেন বাঁধ দিয়েছে তিন নদীর মুখে।
ফেনী, মুহুরী আর কালী এক সময় ছিলো আমার
‘মা ও জননী‘ জোয়ার আসতেই জাল ফেলতে কত কত মাছ।
আজ আর ফেলতে পারি না জাল ধরতে পারি না মাছ, জমা হয় মিঠা পানি।
বালুর ট্রলারে কাজ করি ডুব দিয়ে বালু তুলি,
দিন শেষে ধার দেনা দিই, বাকি টাকা জমাই পোলাটার লাগি।
আচ্ছা দাদা বলতো, মিঠা পানির কেরামতি কি।
হয় না চাষাবাধ সব জিনিসের দাম বেশী।
কিছু লোক নদীর বালুর কারবারী তাই তারা কোটিপতি।
ফেনী নদীর এই স্বচ্ছ জলে ভারত মাতার জয়ধ্বনি।
loading...
loading...
লিখাটি যাপিত জীবনের বিপরীত উপলব্ধির নয়; যেন জীবনের সাথেই অঙ্গাঙ্গি।
আপনার লিখার সবচেয়ে বড় যেই মাধুর্য … সেটি হচ্ছে জীবন বাস্তবতা।
loading...
অসাধারণ লেখেছেন কবি মহী দা অনেক শুভেচ্ছা রইল
loading...
বাংলাদেশের আরও আরও নদীগুলো থেকে আমাদের নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীটির অবস্থা খুবই নাজুক! একসময় যেই নদী ছিল মানুষের জীবন, সেই নদীর পানি আজ হয়ে উঠেছে মানুষের মরণ।
তাই আপনার সময়োপযোগী কবিতা খানি আমাদের নারায়নগঞ্জবাসীর মনের কথাই বলে দিচ্ছে।
শুভকামনা থাকলো, দাদা।
loading...