বিবর্তন
তবুও বাজিয়েই যাচ্ছ মৃত্যুঘন্টা
হাঘরে মানুষের ডাক
মাছিদের ঢেউ ভেঙ্গে ছুটে চলা নিরন্তর
ওপারে অপেক্ষায় জান্নাতি হুর
এপারে একটা বিষণ্ণ কাক
কর্ষিত ঠোঁটে ডাকছে
কা – কা – কা – কা
সিঁড়ি বেয়ে উঠছে স্মৃতির বালক
বিচিত্র সব নাচন – কোদন
শেষে জানা গেল
মৃত্যু একটা পটপরিবর্তনের নাম।
.
চিৎকার
এ আমার মাটির কসম,
জলবন্দি না রেখে
ধুলোয় ছড়িযে দাও বীজ।
আমি তো ভাতের কাঙাল নই
সবুজ ধরিত্রীর রাখালগিরি করি।
শুধু জন্মের অধিকার দাও
কিছু চিহ্ন রেখে যাব
কলমের ফলায় অনরবত চাষে
শিল্পের খোরাক যুগিয়ে যাবো।
সবাই শুনতে পায়না সোনালী দুপুরের ডাক
আমার প্রতি স্নিগ্ধ মাটির সুবাসিত বিশ্বাস রেখ
বিনয়ী ঘাসফুল যেমন নিজেকে বিলিয়ে দেয়
মানুষের চরণধুলার তলে সেখানে আমি নাহয়
সত্যের ঝাণ্ডা উর্ধ্ব হাতে ধরে রাজপথে দাঁড়িয়ে যাবো।
__________________________________
মৃত্যুসুখ
এখানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে জন্মান্ধ রাত
মৃতরা আলিঙ্গন ভালোবাসে বলেই আঁধারকে করে সঙ্গী
নারীর অধরে দেয়া প্রথম চুম্বনের কথা ভুলে কেউ কেউ
স্বেচ্ছায় বেচে নেয় দীর্ঘতম মৃত্যুযন্ত্রণার স্বাদ।
শূন্যতা যখন গ্রাস করে সন্ধ্যামন্দিরের মঙ্গল প্রদীপ
নিষিদ্ধ হতে হতেই তখন বেদনারা দু’বোন দু’হাত
প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে যায় আকাশের ঠিকানায়,
ঝুলে যাওয়া দুপুর বারান্দায় বসে রিলিজ স্লিপে
লিখে রাখে সচিত্র মৃত্যুর ইতিহাস।
এখানে মুখ খুবড়ে পড়ে থাকে জন্মান্ধ রাত
রংবাহারির দুঃসময়ে রৌদ্রলোকে দু’চোখ খোঁজে গুপ্ত ক্ষত
আমরা মানবিক মানুষ নই, ফাল্গুন রাতে
দুর্বিষহ আগুনে পুড়িয়ে দিই মলাটবন্দি সুখ।
loading...
loading...
চমৎকার তিনটি কবিতার স্বাদ পেলাম কবি মোকসেদুল ইসলাম। শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ।
loading...
দারুন লিখা
loading...