এক
যা ভাত রেঁধেছি, বাকি জীবন এতেই হয়ে যাবে
প্রেশারে রাঁধতে পারি না, তার চেয়ে
শান্ত গোল-গলা হাঁড়িতে চাল নেওয়া ভাল
এরকম কত মেয়ে উদ্বেগঅসুখে ভোগে
রান্নাঘরে বঁটি সোজা রেখে সেই পথে
ছুটে গিয়ে গ্যাস নিভিয়ে দেয়
দুধের বদলে তার উথলে ওঠে পা
সাঁড়াশি হারিয়ে ফেলে আঁচলে নামাতে যায়
ভোরের মোরগ, আর পোড়ে বিয়ের আংটি আশিভাগই। কিন্তু এত কেরিপোকা অনাহার থেকে সার দিয়ে হেঁটে এসে বাঁশকাঠি ফসলে ঢুকে গেছে, আমি বড় ব’কনো থালায় চাল ঢেলে সাবধানে সংশোধন করতে বসি। ওমা, মেরে ফেলা কীট ফের দু’পা বেয়ে উঠে আসছে যে!
দুই
যে ধান ফলায় সে বিস্তীর্ণ নায়ক, যে ভাত রাঁধে
সে অন্তরাল নায়িকা। বাকি ব্যবসায়ি, বিজ্ঞানী, কবি পেছনে না নাচলেও সিনেমা বন্ধ হবে না।
যখন কাঁচা তেলে কাঁচা ফোড়ন প’ড়ে নাগাসাকি,
রান্নাঘরের মাথায় প্রপেলার চালিয়ে দিলে
বাড়ি আস্তে ক’রে নেমে যাচ্ছে সমুদ্রে…
সেখানে কড়াইনৌকোয় পরাশরমাছ মিলিত হবেন জেলেনিমাছের সঙ্গে। আমি তাতে আকাশঢাকনা বসিয়ে স’রে আসি; পাঁচ মিনিট পর গরগর শব্দ পেয়ে দেখা যায় গোটা একটা দ্বৈপায়ন প্রসব হয়েছে নুনে নুন, হলুদে হলুদ…
যদি এই দ্বীপবিশ্ব ভেঙে ভেঙে
রাহুগরাস-কেতুগরাসে মেখে ছুঁড়ে দিই, বেড়ালেরা সহাস্যে খাবে তো?
loading...
loading...
পাঁচ মিনিট পর গরগর শব্দ পেয়ে দেখা যায় গোটা একটা দ্বৈপায়ন প্রসব হয়েছে নুনে নুন, হলুদে হলুদ…
যদি এই দ্বীপবিশ্ব ভেঙে ভেঙে
রাহুগরাস-কেতুগরাসে মেখে ছুঁড়ে দিই, বেড়ালেরা সহাস্যে খাবে তো?
____ দারুণ প্রকাশ প্রিয় কবি।
loading...
মুগ্ধকর লেখনশৈলী, মুগ্ধতা অন্তহীন।
loading...