এগারো
লক্ষ্মীর পাঁচালির বাবু-আসন থেকে আমি উঠে এসেছি ব্রহ্মসূত্রের পাঁচশো টাকার নোটে। ক্লাস টেনের মনোজগতে ফুটে গেছিল কাফকার বিষ,
তবু কে কাকে গ্রেট ডিবেট ক’রে দিল, কে কাকে ট্রাফালগার স্কোয়্যার — দেখতে দেখতে মনে হয় বাবাটা চলে গিয়ে কী ভুলই করেছে!
জানতেও পেল না বাদামফুরোনো বিটনুন থেকে আমার স্ফটিকের গণেশে বাসাবদল
তাকে প্রণাম তো করেছি বহুবার, এক প্যাকেট
কর্তব্যপ্রণাম; অথচ লুকিয়ে-পড়ার আগে না পেলাম ফোনে দীর্ঘাঙ্গ হাসি, না স্পিড পোস্টে তালশাঁস চোখদুটো। আমি তখন ভেবে যাচ্ছি চেনার গাছের লম্বাঈ আনব কবিতার লাইনে,
তার দুদিকে বাজারভর্তি ব্যাগ ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
যদি ভল্ল দুলতে থাকে শত্রুদের হাতে, আমার শ্লোক ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়বে যতক্ষণ না রক্তধারা নেমে ওদের মুঠো পেছল করে দেয়।
আগুনের গালে একটা চড়; তৃষ্ণাফলের ভেতরে যে তৃপ্তিবীজ, তাকে নাচিয়ে অক্ষরসভায়
কবিতার লাখ লাখ অর্থ তুলে দেব
তোমার হাতে — চিকিচ্ছে করাও
ভাবিনি মেসেজ পাব : মরে গেছি, ফেলে দিয়ে যাস
মৃতের পায়ের স্বর গুনে গুনে কবিতার ওপরে হাঁটি, হাঁটু ভেঙে পড়ে…
কানে আসে জাতিস্মর ফিসফিস —
নিজের জননী হও, হে পুরুষ, নিজের জননী!
loading...
loading...
অসাধারণ ধারাবাহিক।
loading...
অতুলনীয় ভাবনা
loading...